০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজশাহী–খুলনা অঞ্চলে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে নতুন সতর্কতা কক্সবাজারে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নাজুক,পর্যটকদের জন্য সতর্কতা সাভারের আশুলিয়ায় রাজনৈতিক তৎপরতা, সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু, কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চট্টগ্রাম–সিলেট–ময়মনসিংহে ঘন কুয়াশায় ভোরের যান চলাচল ব্যাহত গুগল আর অ্যামাজনের বিরল জোট: এক সেতুতে যুক্ত হচ্ছে দুই ক্লাউড জায়ান্ট ইউরোপে বায়ু বিদ্যুতের জোয়ার—পোল্যান্ডের ব্লেড কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ করছে ভেস্তাস ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যা–ভূমিধসে মৃত ১,২০০ ছাড়াল আবার পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে হুমকি–ইঙ্গিত, নতুন দৌড়ের আশঙ্কা বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এরাস যুগের বিদায়: টেলর সুইফট প্রকাশ করলেন ‘দ্য ফাইনাল শো’ কনসার্ট ফিল্মের ট্রেলার

ইউরোপে বায়ু বিদ্যুতের জোয়ার—পোল্যান্ডের ব্লেড কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ করছে ভেস্তাস

গোওলেনিয়োভে নতুন বিনিয়োগ, লক্ষ্য জার্মানিসহ গোটা ইউরোপ
ডেনমার্কের টারবাইন নির্মাতা ভেস্তাস পোল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গোওলেনিয়োভে অবস্থিত অনশোর ব্লেড কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করছে। এখানে ভি১৭২–৭.২ মেগাওয়াট মডেলের বড় আকারের টারবাইনের ব্লেড তৈরি হয়, যা বর্তমানে ইউরোপের অনশোর প্রকল্পগুলোর অন্যতম পছন্দ। নতুন উৎপাদন লাইনের মাধ্যমে কোম্পানি আরও কয়েকশ নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। মূল লক্ষ্য জার্মানি—যেখানে অনশোর বায়ু বিদ্যুতে ২০২৫ সালে রেকর্ড হারে নতুন সক্ষমতা যোগ হচ্ছে—তবে পোল্যান্ডের এই কারখানা থেকে ব্লেড যাবে ইউরোপের নানা দেশে।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই জার্মানি অনশোর বায়ু বিদ্যুৎ থেকে প্রায় ২.২ গিগাওয়াট নতুন ক্ষমতা পেয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। বছর শেষে এই অঙ্ক ৫ গিগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বড় ক্ষমতার টারবাইন ব্যবহারে একটি এলাকায় কম টাওয়ার বসিয়েও বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়; তাই নতুন ব্লেডের এমন চাহিদা অস্বাভাবিক নয়। পোল্যান্ডে ভেস্তাসের ইতিমধ্যে হাজারের বেশি কর্মী আছে, নতুন সম্প্রসারণ সেই শিল্প উপস্থিতিকে আরও শক্ত করবে এবং দেশটিকে সবুজ জ্বালানিভিত্তিক সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ কড়ি বানাবে।

জলবায়ু অঙ্গীকার থেকে জ্বালানি নিরাপত্তা
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপের বহু দেশ দ্রুত রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। সে লক্ষ্যেই অনেকে বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখছে। অনশোর উইন্ড টারবাইন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম, আবার স্থানীয়ভাবে স্থাপন করা যায় বলে আমদানি ঝুঁকিও কমে। তবে নির্মাতা কোম্পানিগুলোর সামনে আছে সুদের হার বৃদ্ধি, কাঁচামালের দাম ওঠানামা আর এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে দামে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ।

Vestas Wind Turbine: Vestas shelves Polish wind turbine plant on low  European demand, ETManufacturing

এ অবস্থায় ইউরোপের ভেতরে বড় কারখানা দাঁড় করিয়ে ভেস্তাসের মতো প্রতিষ্ঠান দুটি লক্ষ্য একসঙ্গে পূরণ করতে চাইছে। একদিকে তারা দেখাতে চাইছে—প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থানীয়ভাবেই তৈরি করা সম্ভব, অন্যদিকে কয়লা বা ভারী শিল্প নির্ভর এলাকাগুলোতে নতুন ধরনের সবুজ চাকরি সৃষ্টি করছে। তবে শুধু টারবাইন বানালেই হয় না; অনেক দেশে এখনো গ্রিড সংযোগ, অনুমোদন প্রক্রিয়া আর স্থানীয় আপত্তি সামলাতে গিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি আটকে যায়।

নতুন শিল্প মানচিত্র, পুরোনো শিক্ষার প্রশ্ন
গোওলেনিয়োভের এই সম্প্রসারণ ইউরোপের সামগ্রিক শিল্প মানচিত্রেও নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত দেয়। যেখানে আগে কয়লাখনি বা ভারি কারখানা ছিল, সেসব অঞ্চলে এখন টারবাইন, ব্লেড, টাওয়ার আর ইলেকট্রিকাল যন্ত্রাংশের কারখানা বসানোর প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিটি বড় কারখানার আশপাশে গড়ে উঠছে ছোট ছোট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান—কেউ কম্পোজিট তৈরি করছে, কেউ পরিবহন আর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সামলাচ্ছে। স্থানীয় নেতৃত্বের চোখে এটি শুধু কয়েকশ চাকরি নয়; ভবিষ্যতের দক্ষতা, ট্রেনিং আর অবকাঠামো উন্নয়নেরও সুযোগ।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—শুধু একটি কারখানার ওপর ভর করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ভাবা ঠিক হবে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাজারেও নীতি বদল বা দরপত্রের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উত্থান–পতন দেখা যায়। তাই সরকারকে বড় বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষা, গবেষণা আর বহুমুখী শিল্পায়নের পরিকল্পনাও হাতে নিতে হবে। তবেই কোনো নির্দিষ্ট প্রযুক্তির মন্দা পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলবে না।

Vestas to repurpose UK factory for onshore wind blade production

ইউরোপের জলবায়ু লক্ষ্যে মানে কী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে অনশোর বায়ু বিদ্যুৎ অন্যতম ভরসা। বাতাসপ্রবণ এলাকায় এটি প্রায়ই নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে সস্তা উৎস। তবে একা বায়ু বিদ্যুৎ দিয়ে পুরো সংকট সমাধান হবে না; তার সঙ্গে লাগবে সৌরবিদ্যুৎ, ব্যাটারি স্টোরেজ, আধুনিক গ্রিড আর চাহিদা ব্যবস্থাপনার সূক্ষ্ম সমন্বয়। তবু ব্লেডের মতো মূল উপকরণ তৈরির পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকলে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য কেবল কাগজেই থেকে যাবে।

সাধারণ মানুষের চোখে এই সবকিছুর অর্থ অনেক সরল—বিদ্যুতের বিল কতটা স্থিতিশীল থাকবে, আর স্থানীয়ভাবে কী ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। যদি গোওলেনিয়োভের মতো কারখানাগুলো পরিকল্পনামতো চলে, তবে মানুষ একসঙ্গে কম কার্বন নিঃসরণ আর নতুন ক্যারিয়ার—দুই সুবিধাই পেতে পারে। বিপরীতে, যদি নীতিগত জটিলতায় প্রকল্প আটকে যায়, তবে জলবায়ু নীতি “খরচের বোঝা” হিসেবে দেখা হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই পোল্যান্ডের নতুন ব্লেড লাইনের প্রথম ব্যাচ যখন টারবাইনে লাগিয়ে ঘুরতে শুরু করবে, তখন সেটি শুধু কিলোওয়াট নয়—ইউরোপের সবুজ ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বাসেরও প্রতীক হয়ে উঠবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী–খুলনা অঞ্চলে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে নতুন সতর্কতা

ইউরোপে বায়ু বিদ্যুতের জোয়ার—পোল্যান্ডের ব্লেড কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ করছে ভেস্তাস

০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

গোওলেনিয়োভে নতুন বিনিয়োগ, লক্ষ্য জার্মানিসহ গোটা ইউরোপ
ডেনমার্কের টারবাইন নির্মাতা ভেস্তাস পোল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গোওলেনিয়োভে অবস্থিত অনশোর ব্লেড কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করছে। এখানে ভি১৭২–৭.২ মেগাওয়াট মডেলের বড় আকারের টারবাইনের ব্লেড তৈরি হয়, যা বর্তমানে ইউরোপের অনশোর প্রকল্পগুলোর অন্যতম পছন্দ। নতুন উৎপাদন লাইনের মাধ্যমে কোম্পানি আরও কয়েকশ নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। মূল লক্ষ্য জার্মানি—যেখানে অনশোর বায়ু বিদ্যুতে ২০২৫ সালে রেকর্ড হারে নতুন সক্ষমতা যোগ হচ্ছে—তবে পোল্যান্ডের এই কারখানা থেকে ব্লেড যাবে ইউরোপের নানা দেশে।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই জার্মানি অনশোর বায়ু বিদ্যুৎ থেকে প্রায় ২.২ গিগাওয়াট নতুন ক্ষমতা পেয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। বছর শেষে এই অঙ্ক ৫ গিগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বড় ক্ষমতার টারবাইন ব্যবহারে একটি এলাকায় কম টাওয়ার বসিয়েও বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়; তাই নতুন ব্লেডের এমন চাহিদা অস্বাভাবিক নয়। পোল্যান্ডে ভেস্তাসের ইতিমধ্যে হাজারের বেশি কর্মী আছে, নতুন সম্প্রসারণ সেই শিল্প উপস্থিতিকে আরও শক্ত করবে এবং দেশটিকে সবুজ জ্বালানিভিত্তিক সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ কড়ি বানাবে।

জলবায়ু অঙ্গীকার থেকে জ্বালানি নিরাপত্তা
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপের বহু দেশ দ্রুত রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। সে লক্ষ্যেই অনেকে বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখছে। অনশোর উইন্ড টারবাইন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম, আবার স্থানীয়ভাবে স্থাপন করা যায় বলে আমদানি ঝুঁকিও কমে। তবে নির্মাতা কোম্পানিগুলোর সামনে আছে সুদের হার বৃদ্ধি, কাঁচামালের দাম ওঠানামা আর এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে দামে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ।

Vestas Wind Turbine: Vestas shelves Polish wind turbine plant on low  European demand, ETManufacturing

এ অবস্থায় ইউরোপের ভেতরে বড় কারখানা দাঁড় করিয়ে ভেস্তাসের মতো প্রতিষ্ঠান দুটি লক্ষ্য একসঙ্গে পূরণ করতে চাইছে। একদিকে তারা দেখাতে চাইছে—প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থানীয়ভাবেই তৈরি করা সম্ভব, অন্যদিকে কয়লা বা ভারী শিল্প নির্ভর এলাকাগুলোতে নতুন ধরনের সবুজ চাকরি সৃষ্টি করছে। তবে শুধু টারবাইন বানালেই হয় না; অনেক দেশে এখনো গ্রিড সংযোগ, অনুমোদন প্রক্রিয়া আর স্থানীয় আপত্তি সামলাতে গিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি আটকে যায়।

নতুন শিল্প মানচিত্র, পুরোনো শিক্ষার প্রশ্ন
গোওলেনিয়োভের এই সম্প্রসারণ ইউরোপের সামগ্রিক শিল্প মানচিত্রেও নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত দেয়। যেখানে আগে কয়লাখনি বা ভারি কারখানা ছিল, সেসব অঞ্চলে এখন টারবাইন, ব্লেড, টাওয়ার আর ইলেকট্রিকাল যন্ত্রাংশের কারখানা বসানোর প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিটি বড় কারখানার আশপাশে গড়ে উঠছে ছোট ছোট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান—কেউ কম্পোজিট তৈরি করছে, কেউ পরিবহন আর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সামলাচ্ছে। স্থানীয় নেতৃত্বের চোখে এটি শুধু কয়েকশ চাকরি নয়; ভবিষ্যতের দক্ষতা, ট্রেনিং আর অবকাঠামো উন্নয়নেরও সুযোগ।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—শুধু একটি কারখানার ওপর ভর করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ভাবা ঠিক হবে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাজারেও নীতি বদল বা দরপত্রের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উত্থান–পতন দেখা যায়। তাই সরকারকে বড় বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষা, গবেষণা আর বহুমুখী শিল্পায়নের পরিকল্পনাও হাতে নিতে হবে। তবেই কোনো নির্দিষ্ট প্রযুক্তির মন্দা পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলবে না।

Vestas to repurpose UK factory for onshore wind blade production

ইউরোপের জলবায়ু লক্ষ্যে মানে কী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে অনশোর বায়ু বিদ্যুৎ অন্যতম ভরসা। বাতাসপ্রবণ এলাকায় এটি প্রায়ই নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে সস্তা উৎস। তবে একা বায়ু বিদ্যুৎ দিয়ে পুরো সংকট সমাধান হবে না; তার সঙ্গে লাগবে সৌরবিদ্যুৎ, ব্যাটারি স্টোরেজ, আধুনিক গ্রিড আর চাহিদা ব্যবস্থাপনার সূক্ষ্ম সমন্বয়। তবু ব্লেডের মতো মূল উপকরণ তৈরির পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকলে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য কেবল কাগজেই থেকে যাবে।

সাধারণ মানুষের চোখে এই সবকিছুর অর্থ অনেক সরল—বিদ্যুতের বিল কতটা স্থিতিশীল থাকবে, আর স্থানীয়ভাবে কী ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। যদি গোওলেনিয়োভের মতো কারখানাগুলো পরিকল্পনামতো চলে, তবে মানুষ একসঙ্গে কম কার্বন নিঃসরণ আর নতুন ক্যারিয়ার—দুই সুবিধাই পেতে পারে। বিপরীতে, যদি নীতিগত জটিলতায় প্রকল্প আটকে যায়, তবে জলবায়ু নীতি “খরচের বোঝা” হিসেবে দেখা হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই পোল্যান্ডের নতুন ব্লেড লাইনের প্রথম ব্যাচ যখন টারবাইনে লাগিয়ে ঘুরতে শুরু করবে, তখন সেটি শুধু কিলোওয়াট নয়—ইউরোপের সবুজ ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বাসেরও প্রতীক হয়ে উঠবে।