ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে চীন বা যুক্তরাষ্ট্র—কোনো একক উৎসের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর না থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অফ কমার্স ইন চায়না। সরবরাহ শৃঙ্খলে অস্থিতিশীলতা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় এ সতর্কতা আরও জোরালো হয়েছে।
উচ্চ নির্ভরতার ঝুঁকি
চেম্বারের নতুন প্রতিবেদন ‘ডিলিং উইথ সাপ্লাই চেইন ডিপেনডেন্সিস’–এ বলা হয়েছে, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত সম্ভব হলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশের ওপরই একক নির্ভরশীলতা দূর করা। চেম্বার প্রেসিডেন্ট ইয়েন্স এসকেলুন্ড জানান, ইউরোপের শিল্প খাত চীনা উপকরণের ওপর কতটা নির্ভরশীল, তা এখনো পুরোপুরি বোঝা যায়নি। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “চীনের সাহায্য ছাড়া ইউরোপ টুথপেস্টও তৈরি করতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত নই।”
চীনের শিল্পকেন্দ্রের শক্তি
চীন দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্র। শক্তিশালী উৎপাদন ক্লাস্টার থাকার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য বৈচিত্র্য আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক ধাক্কা দেখিয়ে দিয়েছে, একক দেশের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ভবিষ্যতে বড় ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রকেও পর্যবেক্ষণে আনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
প্রতিবেদনটি জানায়, চীন নয়—যুক্তরাষ্ট্রও এখন নির্ভরতার ঝুঁকির তালিকায়। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় আকস্মিক শুল্ক আরোপ, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে অবস্থান পরিবর্তন এবং সামগ্রিক অস্থিরতা অনেক ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের চোখে যুক্তরাষ্ট্রকে কম নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। ফলে কিছু প্রতিষ্ঠান তুলনামূলকভাবে চীনকে বেশি স্থিতিশীল বলে মনে করছে।
টেকসই ব্যবসার স্বার্থে বৈচিত্র্য আনা জরুরি
প্রতিবেদনটি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—দুই পরাশক্তির যেকোনো একটির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ব্যবসার ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তুলবে। তাই সরবরাহ শৃঙ্খলে বহুমাত্রিক উৎস নিশ্চিত করা এখনই জরুরি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















