দুই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী দেশের পুরোনো সীমান্ত-বিরোধ আবারও রূপ নিয়েছে ভয়াবহ সংঘাতে। মাত্র কয়েক দিনে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ১১ জন, আর ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। ভেঙে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি। আকাশে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ও ড্রোনের হামলা—সব মিলিয়ে সীমান্ত এলাকা পরিণত হয়েছে উন্মুক্ত যুদ্ধক্ষেত্রে।
সংঘাতের আগুনে পুড়ছে দুই দেশ
ঔপনিবেশিক আমলের ৮০০ কিলোমিটার সীমান্তরেখাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের দাবি পাল্টা দাবি দীর্ঘদিনের। প্রাচীন মন্দিরঘেরা অঞ্চলকে ঘিরে উত্তেজনা আবারও বিস্ফোরক হয়ে উঠেছে। জুলাইয়ের সংঘাতের পর এবারই সবচেয়ে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

মানুষের জীবন বাঁচাতে পালানোর ঢল
উত্তর-পশ্চিম কাম্বোডিয়ার সামরুং শহরসহ কয়েকটি এলাকায় সকালে থেকেই শোনা গেছে তুমুল আর্টিলারি হামলা। থাইল্যান্ড জানিয়েছে, সাতটি প্রদেশে চার লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাম্বোডিয়ায় আরও এক লাখের বেশি মানুষ মন্দির, স্কুল ও আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
যুদ্ধ মানুষের গল্পেই স্পষ্ট
কাম্বোডিয়ার ওসমাচ শহরের নিরাপত্তাকর্মী লে নন বলেছেন, এবার হামলা অনেক বেশি ভয়ংকর। তিনি পরিবার নিয়ে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের কৃষক প্রাতুয়ান চুয়াওং বলেন, গোলার শব্দ প্রতিরাতে আরও জোরে শোনা যায়। জুলাইয়ের যুদ্ধের ভয় এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

খেলাধুলাও ছাড়েনি উত্তেজনার আঁচ
যুদ্ধের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান গেমস থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে কাম্বোডিয়া। খেলোয়াড়দের পরিবার দেশে ফেরার জন্য তীব্র অনুরোধ জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক কূটনীতির নতুন পরীক্ষা
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও আসিয়ান জুলাইয়ে যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছিল তা ভেঙে যাওয়ায় বৈশ্বিক কূটনীতিও চাপে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আবারও ফোন করে সংঘাত থামানোর চেষ্টা করবেন। তার দাবি, “আমি ফোন করব আর যুদ্ধ থামবে”—এই বক্তব্য নিয়েও বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে।




সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















