জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক জোট গঠিত হলেও প্রার্থীরা নিজেদের দলীয় প্রতীকেই ভোট চাইতে বাধ্য থাকবেন—হাইকোর্ট এমনই রায় দিয়েছেন। জোটের নামে বা বড় দলের প্রতীক ব্যবহার করে ভোট করার সুযোগ আর থাকছে না।
হাইকোর্টের রায়
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ জোটের প্রার্থীদের প্রতীকসংক্রান্ত রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে। আদালত জানায়, সম্মিলিত জোটের মনোনীত প্রার্থী হলেও ভোটের প্রতীক হবে শুধুমাত্র তার নিজস্ব দলের প্রতীক।

সরকারের সংশোধিত আরপিও
৩ নভেম্বর সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে। এতে বলা হয়, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জোটে গেলেও প্রতিটি দলের প্রার্থীকে নিজেদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে।
২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনী খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংশোধিত ২০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। শেষ পর্যন্ত জোট গঠন করলেও নিজস্ব প্রতীকে ভোটের বিধানই বহাল থাকে।

নির্বাচনে এর প্রভাব
এই অধ্যাদেশের ফলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল মিলে জোট করলেও জোটের মনোনীত প্রার্থী অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
এতে স্পষ্ট হলো, জোট কৌশলগতভাবে থাকলেও নির্বাচনী প্রতীকের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ই চূড়ান্ত নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















