চট্টগ্রাম নগরের কুলগাঁও এলাকায় চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় স্থানীয় যুবদল নেতা আহমেদ রেজা বাবুর বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীরা ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার সময় ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়া
গত রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নগরের বালুচরা উত্তর কুলগাঁও এলাকায় ফরিদ মেম্বারের বাড়িতে এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।
ভুক্তভোগী কে
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলিবর্ষণের লক্ষ্য ছিলেন আহমেদ রেজা বাবু। তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে যুবদলের পদপ্রত্যাশী। তাঁর বাবা ফরিদ উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
চাঁদা দাবি ও হুমকির পটভূমি
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বালুচরা উত্তর কুলগাঁও এলাকায় একটি খালি জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০ থেকে ১২ জন যুবক ঠিকাদার মো. জনির কাছে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর নামে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি জানতে পেরে আহমেদ রেজা বাবু ঘটনাস্থলে গেলে ওই যুবকরা চাঁদার বদলে ‘চা-নাশতার’ টাকা দাবি করে। বাবু দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও এবং ঠিকাদার তিন হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা তা গ্রহণ না করে চলে যায়। এরপর থেকেই বাবু বিদেশি দুটি নম্বর থেকে একাধিকবার হুমকি পেতে থাকেন।

গুলিবর্ষণের ঘটনা
এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে চারজন যুবক এসে বাবুর বাড়ি লক্ষ্য করে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর পরিবারসহ আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের অবস্থান
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পর উপপুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ থানায় মামলা করেননি।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য
আহমেদ রেজা বাবু জানিয়েছেন, গুলির ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করেছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
নগরীতে আগের সহিংসতার প্রসঙ্গ
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলাকালে গুলিতে সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলা নিহত হন। ওই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার সঙ্গেও জড়িতদের গ্রেপ্তারের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















