১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
জুলাইযোদ্ধাদের মৃত্যু ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সামান্তা শারমিন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২৪০ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১ রাজধানীর আবাসিক হোটেল থেকে জাতীয় পার্টির নেতার মরদেহ উদ্ধার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেই স্বাভাবিক জীবন চলবে: পুলিশকে নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের বরিশালে তিন ঘণ্টায় তিন লাশ, আতঙ্কে নগরী ও আশপাশের এলাকা এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যু: সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশের প্রাথমিক তথ্য ঢাকায় কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিন ককটেল বিস্ফোরণ, নারী পথচারী আহত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত আনোয়ার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের সর্বনিম্ন লেনদেন জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?

এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যু: সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশের প্রাথমিক তথ্য

এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে বাহ্যিক আঘাতের কোনও সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুর আগে তিনি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা নির্ধারণের জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে দেহের অবস্থা

আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু'—সহযোদ্ধাকে জানিয়েছিলেন এনসিপির রুমী

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জান্নাতারা রুমির মাথার চুল কালো এবং আনুমানিক এক ফুট লম্বা ছিল। কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি কালচে দাগ লক্ষ্য করা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি।

হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য অংশ

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের দুই হাত শরীরের পাশে লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল

পুলিশ জানায়, জান্নাতারা রুমির আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতেই সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, জান্নাতারা রুমি তার কক্ষে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা

বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে জিগাতলা পুরান কাঁচাবাজার এলাকার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে জান্নাতারা রুমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ধানমন্ডি থানা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় নতুন ওসি | ডিএমপি নিউজ

পুলিশের বক্তব্য

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক জানান, জান্নাতারা রুমি পারিবারিক কলহ ও কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন। সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাইযোদ্ধাদের মৃত্যু ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সামান্তা শারমিন

এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যু: সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশের প্রাথমিক তথ্য

০৮:৪০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে বাহ্যিক আঘাতের কোনও সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুর আগে তিনি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা নির্ধারণের জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে দেহের অবস্থা

আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু'—সহযোদ্ধাকে জানিয়েছিলেন এনসিপির রুমী

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জান্নাতারা রুমির মাথার চুল কালো এবং আনুমানিক এক ফুট লম্বা ছিল। কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি কালচে দাগ লক্ষ্য করা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি।

হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য অংশ

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের দুই হাত শরীরের পাশে লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল

পুলিশ জানায়, জান্নাতারা রুমির আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতেই সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, জান্নাতারা রুমি তার কক্ষে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা

বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে জিগাতলা পুরান কাঁচাবাজার এলাকার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে জান্নাতারা রুমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ধানমন্ডি থানা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় নতুন ওসি | ডিএমপি নিউজ

পুলিশের বক্তব্য

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক জানান, জান্নাতারা রুমি পারিবারিক কলহ ও কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন। সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।