এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে বাহ্যিক আঘাতের কোনও সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুর আগে তিনি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা নির্ধারণের জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেহের অবস্থা

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জান্নাতারা রুমির মাথার চুল কালো এবং আনুমানিক এক ফুট লম্বা ছিল। কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি কালচে দাগ লক্ষ্য করা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি।
হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য অংশ
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের দুই হাত শরীরের পাশে লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল
পুলিশ জানায়, জান্নাতারা রুমির আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতেই সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, জান্নাতারা রুমি তার কক্ষে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা
বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে জিগাতলা পুরান কাঁচাবাজার এলাকার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে জান্নাতারা রুমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ধানমন্ডি থানা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

পুলিশের বক্তব্য
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক জানান, জান্নাতারা রুমি পারিবারিক কলহ ও কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন। সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















