সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। কম লেনদেনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকই দিন শেষ করেছে নিম্নমুখী অবস্থায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিত্র
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনশেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৮ পয়েন্ট বাড়ে এবং ভালো মানের শেয়ারের সূচক ডিএস৩০ ৯ পয়েন্ট উর্ধ্বমুখী থাকে।
বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি ছিল নেতিবাচক। এদিন ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে, বিপরীতে দাম বেড়েছে ৬৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।

লেনদেন ও ব্লক ট্রেড
ব্লক মার্কেটে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ছিল ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারে, যার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি টাকা।
ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি টাকায়, যা চলতি সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের কার্যদিবসে এই লেনদেন ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা।
দর বৃদ্ধিকারী ও দর পতনকারী শেয়ার
ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, যার শেয়ারদর ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি দর কমেছে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের, যা ৬ শতাংশেরও বেশি হারিয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সেখানে প্রধান সূচক ক্যাসপি ৬৯ পয়েন্ট কমেছে।

লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে, ৩৬টির দর বেড়েছে এবং ২৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
চট্টগ্রাম বাজারে লেনদেনের পরিমাণ
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের কার্যদিবসের ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা থেকে কম।
দর বৃদ্ধিতে ও পতনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান
চট্টগ্রাম বাজারে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, যার শেয়ারদর ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি সবচেয়ে বেশি দর হারিয়ে ১০ শতাংশ কমেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















