পঞ্চান্ন বছর বয়সে দাঁড়িয়ে মিনি ড্রাইভার আজও বিশ্বাস করেন, তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। নব্বইয়ের দশকে হঠাৎ করেই আলোচনায় আসা এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী এখনো অভিনয়, পরিবার আর নিজের পছন্দের জীবনের মাঝামাঝি এক ভারসাম্যের পথ বেছে নিয়ে চলছেন। হলিউডের ঝলমলে খ্যাতি কিংবা নিভৃত গ্রাম্য জীবন, কোনোটাতেই পুরোপুরি না গিয়ে তিনি গড়েছেন নিজের মতো এক অসম্ভব কিন্তু সন্তুষ্ট জীবনের গল্প।
অসম্পূর্ণ পথের প্রতি আকর্ষণ
মিনি ড্রাইভার প্রায়ই ভাবেন, যদি তিনি ভিন্ন পথ বেছে নিতেন তবে জীবন কেমন হতো। এক জীবনে হয়তো তিনি পুরোপুরি হলিউডে ডুবে যেতেন, আরেক জীবনে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে সাত সন্তানের মা হতেন। এই না হওয়া জীবনের ভাবনাই তাকে আজও কৌতূহলী করে রাখে। তার মতে, এই মাঝামাঝি অবস্থানই তাকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিয়েছে।
বর্তমান ব্যস্ততা ও নতুন কাজ
এখন মিনি ড্রাইভারকে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক প্যারিসে এমিলির নতুন মৌসুমে এবং রহস্যধর্মী ধারাবাহিক রান অ্যাওয়েতে। দীর্ঘ এক বিরতির পর আবারো টানা কাজের মধ্যে ফিরেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি মঞ্চেও ফিরেছেন একক নাটকে, যেখানে প্রতিদিনের ক্লান্তি আর আবেগের মধ্যেও তিনি নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন।

খ্যাতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে একের পর এক সফল ছবিতে অভিনয় করেও মিনি ড্রাইভার কখনোই তারকাখ্যাতির পেছনে দৌড়াননি। বড় বাজেটের মূলধারার কিছু কাজ তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন, যা পরে অন্য অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছে। এখন ফিরে তাকিয়ে তিনি স্বীকার করেন, সেই সিদ্ধান্তগুলো সহজ ছিল না, তবে সেগুলোই তাকে আজকের জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
মা হিসেবে জীবনের মোড়
২০০৮ সালে সন্তান জন্মের পর তার জীবনের গতি বদলে যায়। কয়েক বছর অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও ধীরে ধীরে টেলিভিশনের নিয়মিত চরিত্রের মাধ্যমে তিনি ফিরেছেন। এই সময়টুকু তাকে শিখিয়েছে ধৈর্য আর স্থায়িত্বের মূল্য।
বয়স, ভয় আর আত্মবিশ্বাস
পঞ্চাশে পা দিয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেছিলেন, কাজ কি কমে যাবে। প্রেমের চরিত্রগুলো কি আর আসবে না। তবু তার বিশ্বাস, যেভাবে একসময় অসম্ভব মনে হওয়া সাফল্য তিনি পেয়েছিলেন, সেভাবেই সামনে এগোনোর শক্তি এখনো তার আছে। বয়স তার কাছে বাধা নয়, বরং নতুন চ্যালেঞ্জ।
সন্তুষ্টির সংজ্ঞা
দীর্ঘ তিন দশকের ক্যারিয়ারের পর মিনি ড্রাইভার নিজেকে সবচেয়ে বেশি গর্বিত মনে করেন সুখী থাকতে পারার জন্য। তার ভাষায়, পঞ্চান্ন বছর বয়সে দাঁড়িয়ে যদি তিনি বলতে পারেন যে জীবন তাকে হতাশ করেনি, তাহলেই সব পরিশ্রম সার্থক।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















