২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। এদিন সি ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি কার্যক্রমের সূচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও উপ-রেজিস্ট্রার শিক্ষা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা শনিবার সন্ধ্যায় জানান, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য মোট নয়টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষায় ওএমআর শিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে সঠিকভাবে উত্তরপত্র পূরণ করতে হবে। ভুলভাবে পূরণ করা ওএমআর শিট গ্রহণযোগ্য হবে না। উত্তরপত্র ভাঁজ করা, ছেঁড়া, দাগ লাগানো কিংবা স্ট্যাপল বা পিন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
প্রার্থীদের রোল নম্বর, শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড ইংরেজিতে লিখতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট এবং প্রশ্নপত্র উভয়ই কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও আসনসংক্রান্ত তথ্য ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রেই উল্লেখ থাকবে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের অন্তত দশ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকক্ষে কোনো ধরনের ব্যাগ, বই, মুঠোফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র বহন করা যাবে না। সময় ব্যবস্থাপনার জন্য পরীক্ষাকক্ষে দেয়ালঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধু পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই প্রবেশ করতে পারবেন। বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।
ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঢাকার প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সম্ভাব্য যানজটের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগেভাগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর সাতটি ইউনিটে মোট এক হাজার আটশ চুয়াল্লিশটি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে দুই লাখ উনিশ হাজার তিনশ নিরানব্বইটি। ফলে গড়ে প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন প্রায় একশ উনিশ জন শিক্ষার্থী।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















