০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মব ভায়োলেন্সে সন্দেহভাজন চোরের মৃত্যু, চারজন আটক দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন ঘরেই রক্তাক্ত মৃত্যু, গলা কাটা অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার এআই উন্মাদনায় বাজারের ভেতরের সতর্ক সংকেত, শর্ট বিক্রেতারা কোথায় বাজি ধরছেন ট্রাম্প অনিশ্চয়তায় এশিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার চোখে নিঃসঙ্গ ও কঠিন ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাতের কাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়—এল ফাশার দখলের পর সুদানে গণপলায়ন এশিয়াকে বেঁধে রাখা কালো স্রোত: কুরোশিও যেভাবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জলবায়ু গড়ে তুলেছে ইউরোপে খাবারের যুদ্ধ: কার্বোনারার প্লেট ঘিরে নতুন জাতীয়তাবাদ

দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশের দুটি শীর্ষ দৈনিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এই ঘটনার জন্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিসংযোগের ঘটনা
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সালাহউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ সংবাদপত্রে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোও রয়েছে। এসব ঘটনা শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে এই ঘটনার জন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। শুধু দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি শেষ করা যায় না। এটি একটি গভীর সংকেত, যা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভাঙা আয়না
সালাহউদ্দিন বলেন, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম একটি জাতির বিবেক ও মতামতের প্রতিচ্ছবি। তারা জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে এবং ক্ষমতার জবাবদিহি নিশ্চিত করে। কিন্তু সেই প্রতিচ্ছবিই এখন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের সেই মর্যাদা ও আত্মসম্মান হারাতে দেওয়া যায় না। গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে পুরো জাতির কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, হাদির মৃত্যুর পর গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, আগাম তথ্য ও পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন তা আমলে নেওয়া হয়নি, সে প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরও এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের, তাদের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

মবতন্ত্রের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ
সালাহউদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমে লক্ষ্যভিত্তিক হামলা নতুন নয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও বিভিন্ন গণমাধ্যম চাপ ও হামলার মুখে পড়েছে। তার মতে, এসব ঘটনা আগেই অনুমান করা যেত।

তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্র চাওয়া হয়েছিল, সেখানে ধীরে ধীরে মবতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে যেভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতার তাণ্ডব চালাতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

সহিংসতা রুখতে কঠোরতার আহ্বান
এই সংস্কৃতি কেন গড়ে উঠতে দেওয়া হলো, সে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন সরকারের দুর্বলতার দিকটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মবতন্ত্রকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন

০৩:৩৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের দুটি শীর্ষ দৈনিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এই ঘটনার জন্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিসংযোগের ঘটনা
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সালাহউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ সংবাদপত্রে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোও রয়েছে। এসব ঘটনা শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে এই ঘটনার জন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। শুধু দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি শেষ করা যায় না। এটি একটি গভীর সংকেত, যা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভাঙা আয়না
সালাহউদ্দিন বলেন, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম একটি জাতির বিবেক ও মতামতের প্রতিচ্ছবি। তারা জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে এবং ক্ষমতার জবাবদিহি নিশ্চিত করে। কিন্তু সেই প্রতিচ্ছবিই এখন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের সেই মর্যাদা ও আত্মসম্মান হারাতে দেওয়া যায় না। গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে পুরো জাতির কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, হাদির মৃত্যুর পর গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, আগাম তথ্য ও পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন তা আমলে নেওয়া হয়নি, সে প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরও এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের, তাদের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

মবতন্ত্রের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ
সালাহউদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমে লক্ষ্যভিত্তিক হামলা নতুন নয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও বিভিন্ন গণমাধ্যম চাপ ও হামলার মুখে পড়েছে। তার মতে, এসব ঘটনা আগেই অনুমান করা যেত।

তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্র চাওয়া হয়েছিল, সেখানে ধীরে ধীরে মবতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে যেভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতার তাণ্ডব চালাতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

সহিংসতা রুখতে কঠোরতার আহ্বান
এই সংস্কৃতি কেন গড়ে উঠতে দেওয়া হলো, সে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন সরকারের দুর্বলতার দিকটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মবতন্ত্রকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।