শেয়ারবাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উচ্ছ্বাস যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের ভেতরের শঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন পরিচিত শর্ট বিক্রেতা মনে করছেন, অতিরিক্ত আশাবাদ শেষ পর্যন্ত ঝুঁকির দিকেই নিয়ে যেতে পারে। তাঁদের মতে, প্রযুক্তির সম্ভাবনা বাস্তব মুনাফায় রূপ নিতে না পারলে বড় ধাক্কা আসতে পারে
এআই ঘিরে অতিরিক্ত আশাবাদী
দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিনিয়োগকারী জিম চ্যানোস বলছেন, এআই নিয়ে কল্পনা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে বাস্তবতা হারিয়ে যাচ্ছে। তথ্য কেন্দ্র মহাকাশে পাঠানোর মতো উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাকেও তিনি সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখছেন। তবে তিনি এটাও মানছেন, এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না বাজার বুদবুদের মধ্যে আছে কি না।
বাজার কি ভাঙনের পথে
কারসন ব্লক মনে করেন, বড় ধস এখনই আসছে না, কারণ উচ্চ মূল্যায়নের অনেক প্রতিষ্ঠান আয় বাড়াতে পেরেছে। অন্যদিকে অ্যান্ড্রু লেফটের ধারণা, প্রযুক্তির উত্তেজনা এতটাই প্রবল যে হঠাৎ পতন না হয়ে ধীরে ধীরে চাপ তৈরি হতে পারে। তবে তিনজন একমত, বাজার কখন ঘুরবে তা আগে থেকে ধরা প্রায় অসম্ভব।

সংকেত কোথায় লুকিয়ে
চ্যানোসের মতে, শেয়ারের দাম থেমে গেলেই ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এআই সংক্রান্ত অর্ডার বাতিল বা প্রযুক্তি থেকে প্রত্যাশিত লাভ না এলে দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। ব্লক বলছেন, বেকারত্ব বেড়ে গেলে অবসর সঞ্চয়ের অর্থ প্রবাহ কমে যাবে, যা বাজারের বড় ভরসা নড়বড়ে করে দেবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সম্পদের বড় অংশ এখন শেয়ারে বিনিয়োগ করা। ফলে বাজারে বড় পতন হলে সাধারণ মানুষের ক্ষতির পরিমাণ হবে নজিরবিহীন। থ্যানোসের মতে, খুচরা বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারে বেশি ঝুঁকেছেন।
আড়ালে থাকা আরেক বিপদ
দীর্ঘ উত্থানকালে জালিয়াতি লুকিয়ে থাকার ঝুঁকিও বাড়ে। অথচ অনেক অভিজ্ঞ শর্ট বিক্রেতা এখন আইনি চাপ ও তদন্তে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এর ফলে ভবিষ্যতের কোনো ধস এলে বাজারে দুর্নীতি উন্মোচনের লোক কমে যেতে পারে।
Sarakhon Report 


















