০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মব ভায়োলেন্সে সন্দেহভাজন চোরের মৃত্যু, চারজন আটক দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন ঘরেই রক্তাক্ত মৃত্যু, গলা কাটা অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার এআই উন্মাদনায় বাজারের ভেতরের সতর্ক সংকেত, শর্ট বিক্রেতারা কোথায় বাজি ধরছেন ট্রাম্প অনিশ্চয়তায় এশিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার চোখে নিঃসঙ্গ ও কঠিন ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাতের কাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়—এল ফাশার দখলের পর সুদানে গণপলায়ন এশিয়াকে বেঁধে রাখা কালো স্রোত: কুরোশিও যেভাবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জলবায়ু গড়ে তুলেছে ইউরোপে খাবারের যুদ্ধ: কার্বোনারার প্লেট ঘিরে নতুন জাতীয়তাবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা হয়নি বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, গত ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভে কোনো সময়ই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

নয়াদিল্লির বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের বক্তব্য
রোববার গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হওয়া বিক্ষোভ ছিল সীমিত পরিসরের এবং তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিদেশি মিশনের নিরাপত্তায় অঙ্গীকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনৈতিক কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের দায়িত্ব। বিক্ষোভ চলাকালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে দেন।

দৃশ্যপ্রমাণের উল্লেখ
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পুরো ঘটনার দৃশ্যপ্রমাণ সবার দেখার জন্য রয়েছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি
তিনি জানান, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ভ্রান্ত প্রচারণার অভিযোগ
এ ঘটনায় বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রণধীর জয়সওয়াল। তার মতে, এসব তথ্য প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিক্ষোভের প্রকৃত চিত্র
ভারতের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ জড়ো হয়েছিলেন। তারা ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেন এবং বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলেন।

ন্যায়বিচারের আহ্বান
রণধীর জয়সওয়াল জানান, দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

০৪:২০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা হয়নি বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, গত ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভে কোনো সময়ই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

নয়াদিল্লির বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের বক্তব্য
রোববার গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হওয়া বিক্ষোভ ছিল সীমিত পরিসরের এবং তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিদেশি মিশনের নিরাপত্তায় অঙ্গীকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনৈতিক কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের দায়িত্ব। বিক্ষোভ চলাকালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে দেন।

দৃশ্যপ্রমাণের উল্লেখ
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পুরো ঘটনার দৃশ্যপ্রমাণ সবার দেখার জন্য রয়েছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি
তিনি জানান, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ভ্রান্ত প্রচারণার অভিযোগ
এ ঘটনায় বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রণধীর জয়সওয়াল। তার মতে, এসব তথ্য প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিক্ষোভের প্রকৃত চিত্র
ভারতের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ জড়ো হয়েছিলেন। তারা ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেন এবং বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলেন।

ন্যায়বিচারের আহ্বান
রণধীর জয়সওয়াল জানান, দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।