০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়ে বড় অগ্রগতি, দুই হাজার নয়শ’ জনের মুক্তিতে সমঝোতা অর্থনীতি টিকে থাকলেও জীবনের চাপে ক্লান্ত আমেরিকা, দুশ্চিন্তায় নতুন বছর রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো বিপর্যস্ত, শিশুসহ নিহত তিন আবু ধাবি–দুবাইয়ে বিদেশি ইয়ট চলাচল সহজ হচ্ছে জানুয়ারি থেকে কনটেন্ট ব্যয়ে নতুন হিসাব কষছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ঘন শহরে মানিয়ে নিচ্ছে নগর বন্যপ্রাণী কার্বন বাজার ঘিরে জলবায়ু আলোচনায় নতুন বিতর্ক ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সমঝোতা চূড়ান্তের পথে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা ইউরোপের নতুন এআই বিধি নিয়ে প্রস্তুতিতে প্রযুক্তি জায়ান্টরা

নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ

বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের প্রথম দফায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দেন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

শপথ গ্রহণের সময়সূচি
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী আগামী ২৮ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন। এর আগের দিন, ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার অবসরের ধারাবাহিকতায় নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

পারিবারিক ও শিক্ষাজীবন
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ মে। তিনি প্রয়াত এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীর সন্তান, যিনি নিজেও একসময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনের সূচনা ও বিচার বিভাগে অগ্রগতি
১৯৮৫ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। দুই বছর পর, ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। পরদিন ১৩ আগস্ট তিনি শপথ গ্রহণ করেন। সেখান থেকে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদে তার অভিষেক হলো প্রধান বিচারপতি হিসেবে।

নতুন দায়িত্বে বিচার বিভাগের অভিজ্ঞ ও সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর

নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ

০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের প্রথম দফায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দেন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

শপথ গ্রহণের সময়সূচি
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী আগামী ২৮ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন। এর আগের দিন, ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার অবসরের ধারাবাহিকতায় নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

পারিবারিক ও শিক্ষাজীবন
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ মে। তিনি প্রয়াত এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীর সন্তান, যিনি নিজেও একসময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনের সূচনা ও বিচার বিভাগে অগ্রগতি
১৯৮৫ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। দুই বছর পর, ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। পরদিন ১৩ আগস্ট তিনি শপথ গ্রহণ করেন। সেখান থেকে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদে তার অভিষেক হলো প্রধান বিচারপতি হিসেবে।

নতুন দায়িত্বে বিচার বিভাগের অভিজ্ঞ ও সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।