বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জুলাই আন্দোলনের শহীদ কর্মী শরিফ ওসমান হাদির কবরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। দীর্ঘ প্রায় সতেরো বছর পর দেশে ফেরার পর এটি ছিল তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন
শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তারেক রহমান সিনিয়র বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত শরিফ ওসমান হাদির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন। হাদিকে তিনি জুলাই আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হিসেবে স্মরণ করেন।

কাজী নজরুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা
হাদির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারেক রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
নিরাপত্তা ও পরবর্তী কর্মসূচি
তারেক রহমান সকাল প্রায় দশটা চল্লিশ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে রওনা দেন এবং কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রায় এগারোটা পনের মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
পরবর্তীতে তিনি ধানমন্ডিতে শ্বশুরবাড়ি মহব্বত ভবনে যান এবং সেখান থেকে অসুস্থ মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে জুলাই দুই হাজার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু ও প্রেক্ষাপট
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা আট আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গত বারো ডিসেম্বর পুরান পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার একদিন আগে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও আঠারো ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান। বিশ ডিসেম্বর তাকে কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়। মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে হাদি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
দীর্ঘ প্রবাস শেষে দেশে ফেরা
প্রায় সতেরো বছর পর বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন স্থানে তাকে উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং দলের নেতারা এই প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















