১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • 14

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

 

নেগেটিভ ইমোশন এবং ধারনা দূর করা

নেগেটিভ ইমোশন বা ধারনা বাস্তবে মানুষের নার্ভের বা মস্তিষ্কের অন্য আর দশটি কাজের মতোই একটি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের বায়োলজিকাল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এটা তার যে কোন কাজের সময় আসতে পারে।

স্মার্ট লিডারকে অবশ্যই সে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে যাতে তিনি চিহ্নিত করতে পারেন কোনটা নেগেটিভ ইমোশন বা ধারণা।

এই নেগেটিভ ইমোশান বা ধারনাকে দূর করার জন্যে তিনি যেমন কিছু বায়োলজিকাল কাজ করবেন অর্থাত্‌ এর থেকে নিজেকে বের করে আনার জন্যে মেডিটেশানসহ অনান্য কিছু কাজ তিনি করতে পারেন।

তেমনি তার কাজের ধরনও তাকে পরিবর্তন করতে হবে।যাতে তার ভেতর নেগেটিভ ইমোশন বা ধারণা না আসে। সেজন্য তাকে বিষয়গুলো নিয়ে তার টিমের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে।

টিমের সঙ্গে তার কাজগুলো নিয়ে আলোচনা বা পরিকল্পনা করলে দেখা যাবে সেখানে অনেক বেশি পজিটিভ ধারণা আসবে। আর ওই বেশি পরিমান পজিটিভ ধারনা ধীরে ধীরে তার নেগেটিভ ধারণাগুলোকে মেরে ফেলতে সহায়তা করবে।

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া

ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হলে অবশ্যই স্মার্ট লিডারকে অনেকগুলো পজিটিভ ও প্রাকটিকাল কাজ করতে হবে। যেমন তার ভবিষ্যত কাজের প্রজেক্টগুলো তাকে যথাযথ তৈরি করার কাজ শুরু করতে হবে।

আর সে কাজগুলোর মধ্যে যেমন থাকে

তার পরিকল্পনাগুলোর একটা প্রাথমিক ছকঃ

ছকগুলোকে বিস্তারিত করতে টিমের কে কে সহায়তা করতে পারে তাদেরকে সিলেক্ট করা।

তারপরে সেগুলো নিয়ে বোর্ডে যাবার আগের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া।

সেই প্রস্তুতির মধ্যে প্রথমে থাকে ছকটা সম্পর্কে নিজে খুব ভালো ভাবে জানা। সেজন্য তাকে এ বিষয়ে প্রচুর রিসার্স করা দরকার।

এই রিসার্স কখনো একজন ব্যক্তির পক্ষে বা লিডারের পক্ষে সম্ভব নয়।

এজন্য তাকে একটা টিম তৈরি করতে হয়।

এই টিমের সদস্যদেরকে চিহ্নিত করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

তারপরে রিসার্সের প্রতিটি ধাপ পরীক্ষা করা।

রিসার্স সম্পূর্ন হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্যে প্রয়োজনে এক্সপার্টের সহায়তা নেয়া।

এই ধরনের কাজের ভেতর দিয়ে এগুলে নেতা ও টিম ভবিষ্যতমুখী, পজিটিভ এবং দল ও কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে যায়। আর এগিয়ে গেলেই নেগেটিভ ইমোশন যা অনেকটা হতাশা- তার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।

 

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৩)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৩)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৪)

০৪:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

 

নেগেটিভ ইমোশন এবং ধারনা দূর করা

নেগেটিভ ইমোশন বা ধারনা বাস্তবে মানুষের নার্ভের বা মস্তিষ্কের অন্য আর দশটি কাজের মতোই একটি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের বায়োলজিকাল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এটা তার যে কোন কাজের সময় আসতে পারে।

স্মার্ট লিডারকে অবশ্যই সে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে যাতে তিনি চিহ্নিত করতে পারেন কোনটা নেগেটিভ ইমোশন বা ধারণা।

এই নেগেটিভ ইমোশান বা ধারনাকে দূর করার জন্যে তিনি যেমন কিছু বায়োলজিকাল কাজ করবেন অর্থাত্‌ এর থেকে নিজেকে বের করে আনার জন্যে মেডিটেশানসহ অনান্য কিছু কাজ তিনি করতে পারেন।

তেমনি তার কাজের ধরনও তাকে পরিবর্তন করতে হবে।যাতে তার ভেতর নেগেটিভ ইমোশন বা ধারণা না আসে। সেজন্য তাকে বিষয়গুলো নিয়ে তার টিমের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে।

টিমের সঙ্গে তার কাজগুলো নিয়ে আলোচনা বা পরিকল্পনা করলে দেখা যাবে সেখানে অনেক বেশি পজিটিভ ধারণা আসবে। আর ওই বেশি পরিমান পজিটিভ ধারনা ধীরে ধীরে তার নেগেটিভ ধারণাগুলোকে মেরে ফেলতে সহায়তা করবে।

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া

ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হলে অবশ্যই স্মার্ট লিডারকে অনেকগুলো পজিটিভ ও প্রাকটিকাল কাজ করতে হবে। যেমন তার ভবিষ্যত কাজের প্রজেক্টগুলো তাকে যথাযথ তৈরি করার কাজ শুরু করতে হবে।

আর সে কাজগুলোর মধ্যে যেমন থাকে

তার পরিকল্পনাগুলোর একটা প্রাথমিক ছকঃ

ছকগুলোকে বিস্তারিত করতে টিমের কে কে সহায়তা করতে পারে তাদেরকে সিলেক্ট করা।

তারপরে সেগুলো নিয়ে বোর্ডে যাবার আগের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া।

সেই প্রস্তুতির মধ্যে প্রথমে থাকে ছকটা সম্পর্কে নিজে খুব ভালো ভাবে জানা। সেজন্য তাকে এ বিষয়ে প্রচুর রিসার্স করা দরকার।

এই রিসার্স কখনো একজন ব্যক্তির পক্ষে বা লিডারের পক্ষে সম্ভব নয়।

এজন্য তাকে একটা টিম তৈরি করতে হয়।

এই টিমের সদস্যদেরকে চিহ্নিত করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

তারপরে রিসার্সের প্রতিটি ধাপ পরীক্ষা করা।

রিসার্স সম্পূর্ন হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্যে প্রয়োজনে এক্সপার্টের সহায়তা নেয়া।

এই ধরনের কাজের ভেতর দিয়ে এগুলে নেতা ও টিম ভবিষ্যতমুখী, পজিটিভ এবং দল ও কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে যায়। আর এগিয়ে গেলেই নেগেটিভ ইমোশন যা অনেকটা হতাশা- তার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।

 

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৩)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৫৩)