০৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে

  • Sarakhon Report
  • ১০:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “লেবার পার্টির বিপুল বিজয় দেখছে ঋষির দল”

এমন নির্বাচন সচরাচর দেখা যায় না, বিশেষত প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে, যেখানে ভোটের আগেই ক্ষমতাসীন দল পরাজয় মেনে নেয়। যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠতম এবং প্রথম একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন ডাউনিং স্ট্রিটে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, সে সময় আকস্মিক বৃষ্টি তাঁকে যেভাবে ভিজিয়ে দিয়েছিল, তাতে তখনই কথা উঠেছিল আলামত ভালো নয়, তাঁর এবার ভরাডুবি হবে। ভোটের আগের দিন গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলো দেখলে তাঁর এবং তাঁর দলের জন্য অনেকের করুণা বোধ হতে পারে।

বিরোধী দল লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের সম্ভাবনা এতটাই প্রবল যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোয়েলা বেভারম্যান কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থক দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় গতকাল নিবন্ধ লিখে হার মেনে নিয়ে দলকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাঁচানোর কথা বলেছেন। ভোটের ৩৬ ঘণ্টা আগে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থকদের কাছে এখনো জনপ্রিয় বরিস জনসন নির্বাচনী সভায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বলেছেন, লেবারের বিরাট বিজয় হবে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের মতো ভীতিকর। কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থক আরেকটি পত্রিকা ডেইলি মেইল শিরোনাম করেছে, স্টারমার–বিভীষিকা ঠেকাতে বরিস ও ঋষি এক হয়েছেন (পত্রিকাটি শিরোনামে স্টরমাগেডন বিশেষণ ব্যবহার করেছে, যা স্টারমারের আর্মাগেডনের যৌগ এবং বাংলায় আর্মাগেডনের কোনো জুৎসই প্রতিশব্দ নেই)।

সংবাদপত্রের পাতায় নির্বাচনের গতিবিধির প্রতিফলন সম্পর্কে এরপর বিবিসির প্রশ্নের জবাবে পেনশনমন্ত্রী মেল স্ট্রাইড বলেন, লেবার পার্টি সম্ভবত এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, যা এর আগে কখনো কোনো দল পায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এর কোনো ব্যতিক্রম নেই। সকালে ফেসবুকে ঢুকতেই কনজারভেটিভ পার্টির যে বিজ্ঞাপন আমার মোবাইলের পর্দায় উঠে এসেছে, তাতে আকুল আবেদন হচ্ছে লেবার পার্টির সুপার মেজরিটির অর্থ হবে তাদের কোনো জবাবদিহি থাকবে না। তাই আমার এলাকার স্বার্থ রক্ষায় আমি যেন কনজারভেটিভদের ভোট দিই। কনজারভেটিভদের এসব প্রচারণা তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে হাজির করার শেষ চেষ্টা বলেও অনেকের ধারণা। লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমারও বলেছেন, সুপার মেজরিটির কথা বলার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে লেবার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করা।

লেবার পার্টি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে এই নির্বাচনে প্রচার চালাচ্ছে। তারা কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, তা ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। লেবার পার্টির বর্তমান নেতা কিয়ার স্টারমারের অধীন দলটিও অনেক বদলে গেছে। এই পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেছে কিয়ার স্টারমার তাঁর পূর্বসূরি জেরেমি করবিন এবং তাঁর সমর্থক বামপন্থীদের মনোনয়ন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাঁদের দল ছেড়ে যেতে বাধ্য করার ঘটনাগুলোয়। বেসরকারি খাতের ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে তিনি যেসব নীতিগত পরিবর্তন এনেছেন, তাতে তাঁকে বামপন্থীরা লেবারের পোশাকে কনজারভেটিভ হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করেছেন।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক আজ, কর্মবিরতি চলছে”

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। আজ ওবায়দুল কাদের শিক্ষকদের সময় দিয়েছেন বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এই শিক্ষক নেতা গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আমরা এখনো আলোচনার সময় নির্ধারণ করিনি। আমরা আশাবাদী কাল (বৃহস্পতিবার) সকালে আলোচনায় বসতে পারব। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের আলোচনা বসার কথা রয়েছে।

এদিকে সকালে অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা তিন দফা দাবি জানিয়েছি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে। দাবিগুলো যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।

এদিকে বুধবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মকে কূপমণ্ডূকতা বলেও আখ্যা দেন তারা।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা অপরিকল্পিত”

রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যার লাগাম না টেনে যত বিনিয়োগ করা হোক না কেন, তাতে সুফল মিলবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলেছেন, ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা অপরিকল্পিত। সেসব এলাকায় নাগরিক সেবা নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় এখানে বিনিয়োগ করে বসবাসযোগ্যতা বাড়ানো যাবে না। ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও ঢাকার বাসযোগ্যতার মান ধারাবাহিকভাবে নিচের দিকে যাচ্ছে কেন, এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পরিবেশন করেন বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ২০২৪-এর বসবাসযোগ্যতা সূচকে ১৭৩টি দেশের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৬৮তম; অবস্থান নিচের দিক থেকে ষষ্ঠ, যেটা হতাশাব্যঞ্জক।

আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে দেড় কোটি মানুষ বসবাস করে। যাদের নানা কর্মকাণ্ড অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। ঢাকার বাসযোগ্যতার মানের উন্নয়ন করতে না পারলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে না। এছাড়া ঢাকার অবাসযোগ্যতা ও অস্থায়িত্বশীল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সারা দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

মূল প্রবন্ধে ড. আদিল জানান, মেট্রোরেলের পাশাপাশি গণপরিবহণব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এর জন্য মানসম্মত বাস সার্ভিস ও প্যারা ট্রানজিট সার্ভিস নিশ্চিত এবং হাঁটার উপযোগী ফুটপাত নিশ্চিত করতে হবে। এলাকাভিত্তিক সবার জন্য প্রবেশগম্য খেলার মাঠ-পার্ক-উদ্যান তৈরি এবং বিদ্যমান সুবিধাদি সবার জন্য উন্মুক্ত করা দরকার। এছাড়া আবাসিক এলাকায় পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে পরিকল্পনার মানদণ্ড (প্ল্যানিং স্ট্যান্ডার্ড) সংশোধন, আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীন শিল্পকারখানা-গুদাম প্রভৃতি সরানোর উদ্যোগ, প্রয়োজন মোতাবেক নিুবিত্ত ও নিু-মধ্যবিত্তদের মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করতে নীতিমালা তৈরি এবং ভূমি বরাদ্দ ও সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি এবং সেগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাসযোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সামগ্রিক পরিবেশের কথা ভেবে পরিকল্পনা করলে ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব। আগামী নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাসযোগ্যতা বাড়ানোর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বিআইপির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। শহরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বস্তিতে রেখে বাসযোগ্যতার উন্নতি করা সম্ভব নয়।

বিআইপির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, বিগত এক যুগে অবকাঠামোতে প্রচুর বিনিয়োগের পর এবং ঢাকার সূচকে কোনো উন্নতি হয়নি। গণপরিবহণ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ফুটপাত ও রোড নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে সংস্থাগুলোকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইপির যুগ্মসম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, বোর্ড সদস্য (একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স) পরিকল্পনাবিদ উসওয়াতুন মাহেরা খুশি, বোর্ড সদস্য (মেম্বারশিপ অ্যাফেয়ার্স) পরিকল্পনাবিদ মো. ফাহিম আবেদীন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে”

ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিভিউ মিশনের কাছে ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই এ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আইএমএফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস”

দেশের আটটি অঞ্চলে দুপুর ১টার মধ্যে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলামের সই করা আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই দেশের সমুদ্রবন্দরে কোনো স্থানীয় সতর্ক সংকেত নেই।

দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে

১০:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “লেবার পার্টির বিপুল বিজয় দেখছে ঋষির দল”

এমন নির্বাচন সচরাচর দেখা যায় না, বিশেষত প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে, যেখানে ভোটের আগেই ক্ষমতাসীন দল পরাজয় মেনে নেয়। যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠতম এবং প্রথম একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন ডাউনিং স্ট্রিটে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, সে সময় আকস্মিক বৃষ্টি তাঁকে যেভাবে ভিজিয়ে দিয়েছিল, তাতে তখনই কথা উঠেছিল আলামত ভালো নয়, তাঁর এবার ভরাডুবি হবে। ভোটের আগের দিন গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলো দেখলে তাঁর এবং তাঁর দলের জন্য অনেকের করুণা বোধ হতে পারে।

বিরোধী দল লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের সম্ভাবনা এতটাই প্রবল যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোয়েলা বেভারম্যান কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থক দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় গতকাল নিবন্ধ লিখে হার মেনে নিয়ে দলকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাঁচানোর কথা বলেছেন। ভোটের ৩৬ ঘণ্টা আগে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থকদের কাছে এখনো জনপ্রিয় বরিস জনসন নির্বাচনী সভায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বলেছেন, লেবারের বিরাট বিজয় হবে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের মতো ভীতিকর। কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থক আরেকটি পত্রিকা ডেইলি মেইল শিরোনাম করেছে, স্টারমার–বিভীষিকা ঠেকাতে বরিস ও ঋষি এক হয়েছেন (পত্রিকাটি শিরোনামে স্টরমাগেডন বিশেষণ ব্যবহার করেছে, যা স্টারমারের আর্মাগেডনের যৌগ এবং বাংলায় আর্মাগেডনের কোনো জুৎসই প্রতিশব্দ নেই)।

সংবাদপত্রের পাতায় নির্বাচনের গতিবিধির প্রতিফলন সম্পর্কে এরপর বিবিসির প্রশ্নের জবাবে পেনশনমন্ত্রী মেল স্ট্রাইড বলেন, লেবার পার্টি সম্ভবত এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, যা এর আগে কখনো কোনো দল পায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এর কোনো ব্যতিক্রম নেই। সকালে ফেসবুকে ঢুকতেই কনজারভেটিভ পার্টির যে বিজ্ঞাপন আমার মোবাইলের পর্দায় উঠে এসেছে, তাতে আকুল আবেদন হচ্ছে লেবার পার্টির সুপার মেজরিটির অর্থ হবে তাদের কোনো জবাবদিহি থাকবে না। তাই আমার এলাকার স্বার্থ রক্ষায় আমি যেন কনজারভেটিভদের ভোট দিই। কনজারভেটিভদের এসব প্রচারণা তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে হাজির করার শেষ চেষ্টা বলেও অনেকের ধারণা। লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমারও বলেছেন, সুপার মেজরিটির কথা বলার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে লেবার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করা।

লেবার পার্টি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে এই নির্বাচনে প্রচার চালাচ্ছে। তারা কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, তা ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। লেবার পার্টির বর্তমান নেতা কিয়ার স্টারমারের অধীন দলটিও অনেক বদলে গেছে। এই পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেছে কিয়ার স্টারমার তাঁর পূর্বসূরি জেরেমি করবিন এবং তাঁর সমর্থক বামপন্থীদের মনোনয়ন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাঁদের দল ছেড়ে যেতে বাধ্য করার ঘটনাগুলোয়। বেসরকারি খাতের ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে তিনি যেসব নীতিগত পরিবর্তন এনেছেন, তাতে তাঁকে বামপন্থীরা লেবারের পোশাকে কনজারভেটিভ হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করেছেন।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক আজ, কর্মবিরতি চলছে”

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। আজ ওবায়দুল কাদের শিক্ষকদের সময় দিয়েছেন বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এই শিক্ষক নেতা গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আমরা এখনো আলোচনার সময় নির্ধারণ করিনি। আমরা আশাবাদী কাল (বৃহস্পতিবার) সকালে আলোচনায় বসতে পারব। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের আলোচনা বসার কথা রয়েছে।

এদিকে সকালে অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা তিন দফা দাবি জানিয়েছি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে। দাবিগুলো যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।

এদিকে বুধবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মকে কূপমণ্ডূকতা বলেও আখ্যা দেন তারা।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা অপরিকল্পিত”

রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যার লাগাম না টেনে যত বিনিয়োগ করা হোক না কেন, তাতে সুফল মিলবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলেছেন, ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা অপরিকল্পিত। সেসব এলাকায় নাগরিক সেবা নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় এখানে বিনিয়োগ করে বসবাসযোগ্যতা বাড়ানো যাবে না। ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও ঢাকার বাসযোগ্যতার মান ধারাবাহিকভাবে নিচের দিকে যাচ্ছে কেন, এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পরিবেশন করেন বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ২০২৪-এর বসবাসযোগ্যতা সূচকে ১৭৩টি দেশের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৬৮তম; অবস্থান নিচের দিক থেকে ষষ্ঠ, যেটা হতাশাব্যঞ্জক।

আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে দেড় কোটি মানুষ বসবাস করে। যাদের নানা কর্মকাণ্ড অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। ঢাকার বাসযোগ্যতার মানের উন্নয়ন করতে না পারলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে না। এছাড়া ঢাকার অবাসযোগ্যতা ও অস্থায়িত্বশীল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সারা দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

মূল প্রবন্ধে ড. আদিল জানান, মেট্রোরেলের পাশাপাশি গণপরিবহণব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এর জন্য মানসম্মত বাস সার্ভিস ও প্যারা ট্রানজিট সার্ভিস নিশ্চিত এবং হাঁটার উপযোগী ফুটপাত নিশ্চিত করতে হবে। এলাকাভিত্তিক সবার জন্য প্রবেশগম্য খেলার মাঠ-পার্ক-উদ্যান তৈরি এবং বিদ্যমান সুবিধাদি সবার জন্য উন্মুক্ত করা দরকার। এছাড়া আবাসিক এলাকায় পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে পরিকল্পনার মানদণ্ড (প্ল্যানিং স্ট্যান্ডার্ড) সংশোধন, আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীন শিল্পকারখানা-গুদাম প্রভৃতি সরানোর উদ্যোগ, প্রয়োজন মোতাবেক নিুবিত্ত ও নিু-মধ্যবিত্তদের মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করতে নীতিমালা তৈরি এবং ভূমি বরাদ্দ ও সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি এবং সেগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাসযোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সামগ্রিক পরিবেশের কথা ভেবে পরিকল্পনা করলে ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব। আগামী নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাসযোগ্যতা বাড়ানোর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বিআইপির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। শহরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বস্তিতে রেখে বাসযোগ্যতার উন্নতি করা সম্ভব নয়।

বিআইপির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, বিগত এক যুগে অবকাঠামোতে প্রচুর বিনিয়োগের পর এবং ঢাকার সূচকে কোনো উন্নতি হয়নি। গণপরিবহণ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ফুটপাত ও রোড নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে সংস্থাগুলোকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইপির যুগ্মসম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, বোর্ড সদস্য (একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স) পরিকল্পনাবিদ উসওয়াতুন মাহেরা খুশি, বোর্ড সদস্য (মেম্বারশিপ অ্যাফেয়ার্স) পরিকল্পনাবিদ মো. ফাহিম আবেদীন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে”

ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিভিউ মিশনের কাছে ব্যাংক খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই এ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আইএমএফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস”

দেশের আটটি অঞ্চলে দুপুর ১টার মধ্যে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলামের সই করা আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই দেশের সমুদ্রবন্দরে কোনো স্থানীয় সতর্ক সংকেত নেই।