শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গান কিডনির রোগ ও চিকিৎসা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৫.৪২ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষের কিডনি ব্যর্থ হয় । তার মানে এই নয় যে কিডনির কার্যকরী ক্ষমতার পুরোপুরিঅবনতি হয়েছে। প্রায় সময়ই কিডনি কার্যকরভাবে বর্জ্য পন্য এবং রক্ত থেকে অতিরিক্ততরল ফিল্টার করতে পারেনা।একটি ব্যর্থ কিডনি তার স্বাভাবিক অবস্থায়কীভাবে ফিরে আসতেপারে সেটা মূলত তার ব্যর্থতার কারণ এবং টিস্যুর ক্ষতির পরিমানের উপর নির্ভর করে থাকে।

কিডনির ব্যর্থতা

কিডনির কার্যকারিতা ব্যর্থ হলে,দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায়ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। কিডনির ব্যর্থতা হঠাৎ ঘটে থাকে। কিডনির ব্যর্থ হওয়ারকারণগুলোর মধ্য রয়েছে, অধিক মাত্রায় ডিহাইড্রেশন, ঔষুধের প্রভাব,সংক্রমণ ওমূলনালীর বাঁধার ফলে কিডনি ব্যর্থ হয়ে থাকে। কিডনি ব্যর্থতার অন্তনিহিত কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান করা প্রয়োজন। কিডনি সুরক্ষিত রাখতে সাধারণত তরল ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায়  রাখতে হবে।কিডনি সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক যত্ন প্রদান করতে হবে। কিডনির কার্যকারিতাস্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রক্ত থেকে বর্জ্য ফিল্টার করার জন্যকখনও কখনও ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ                      

কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ কিডনির কার্যকারি ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলে।প্রাথমিকভাবে কিডনির রোগ চিহ্নিত  করে কিডনির যত্ন নেওয়া হলে, কিডনির ক্ষতিরোধকরে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ উন্নতিরদিকে অগ্রসর হতে থাকলে কিডনির টিস্যুর ক্ষতিরোধ করতে সক্ষম হয়।

কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাদের আছে সেসকল ব্যক্তির ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপনিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। একজন ব্যক্তি নিজেকে স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে চাইলে তাকেএকটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারণা গ্রহণ করতে হবে। একটি সুস্থ কিডনির ক্ষতির জন্য কখনওকখনও অতিমাত্রায় ঔষুধ খাওয়াও তার সাথে জড়িত থাকে। কিছু ক্ষেত্রে কিডনিপ্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।যখন কিডনির কার্যকারিতা চলে যায় তখন ডায়ালাইসিস করেওআর কোন কাজ হয় না।

কিডনি প্রতিস্থাপন

যেসকল রোগী দীর্ঘদিন যাবত কিডনির রোগে আক্রান্ত একটা সময় পরে কিডনির কার্যকারিতা চলে যায়,তখন সেই রোগীকে কিডনি প্রতস্থাপন করতে হয়। একজন জীবিত বা মৃত কিডনি দাতার একটি সুস্থ কিডনি অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে একজন রোগীর শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের ফলে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পুনরায় আবার আগের মত তার সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।একজন দাতার কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপনের পরেও প্রাপককে সারাজীবন ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধে সেবন করতে হবে এবং নিয়মিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সাধারণত কিডনির টিস্যুর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিডনি ব্যর্থতার পর উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপনের ফলে কিডনির কার্যকারিতা পুনরায় আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। তাই কিডনির কার্যকারিতা সংরক্ষণ এবং ফলাফলের উন্নতিতে কিডনি রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024