০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৮) জাপানে সেলিব্রিটি ডিপফেক: প্রথম গ্রেপ্তার, নতুন নজির ফ্রেডি মর্কুরির অপ্রকাশিত গানের অগ্রণী খসড়া বইয়ে উন্মোচিত হবে সঙ্গীতজ্ঞের অসাধারণ মন বেন স্টিলারের নতুন ডকু: মা–বাবাকে নতুন করে দেখলেন এক সন্তানের চোখে গোল্ডেন”-এর বিশ্বব্যাপী সফলতার জন্য প্রাথমিক সংগ্রামকে কৃতিত্ব দিয়েছেন সিঙ্গার-সংগীতজ্ঞ EJAE পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্টে ওমানের ভূমিকা একটি নতুন দিগন্তে টেনিস মরসুমের দীর্ঘ ক্লান্তি ও শীর্ষ খেলোয়াড়দের অবসন্ন অবস্থা ২১০০ সালে বছরে ৫৭টি অতিরিক্ত ‘সুপারহট’ দিন—সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট দেশগুলো কর্মস্থলে হয়রানির শিকারদের মধ্যে ৩৫% নিরব থাকে, ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় না এআই সংগীতে বড় জোট: স্পটিফাই–সনি–ইউনিভার্সাল–ওয়ার্নারের নতুন পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম

লিয়াওচাই চিয়ি : লাওশান পর্বতের মহাপুরুষ  (পর্ব ১০)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • 126

৩৭. ঘরে ফিরে এসে ওয়াং ছি ভাবল : “সত্যিই গুরুদেবের ক্ষমতা অনেক। যদি আমি তা শিখতে পারি, তাহলে পৃথিবীতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ থাকবে না।” এই কথা ভেবে সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চিন্তা ত্যাগ করল।

৩৮. ওয়াং ছি রোজ কাঠ কাটতে যেত। এইভাবে আরো এক মাস কেটে গেল। সে আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু মহাপুরুষ তাঁর ক্ষমতার বিন্দুমাত্রও তাকে দেন নি। আর কোন উপায় না দেখে সে তার মন ঠিক করে ফেলল।

৩৯. পরদিন অন্যান্য শিষ্যরা পর্বতে চলে গেলে সে মহাপুরুষের কাছে গিয়ে বলল: “আমি কয়েকশ’ মাইল পথ অতিক্রম করে এখানে এসেছি এবং আপনাকে গুরুদেব মনে করে পূজা করেছি, তবে কেন রোজ রোজ আমাকে কাঠ কাটতে বলেন? সত্যি বলতে কি, আপনার শিষ্য আমি বাড়িতে কখনো এই ধরণের কাজ করি নি, একাজে আর কত দিন লাগবে?”

৪০. মহাপুরুষ হেসে বললেন, “আমি আগেই জানতাম তুমি এখানকার কষ্ট সহ্য করতে পারবে না। যাক, কাল তোমাকে বাড়ি যাবার জন্য বিদায় জানাব।” ওয়াং ছি এই কথা শুনে আন্তরিকতার সঙ্গে অনুরোধ করল, “কয়েক মাস হল আমি এখানে কষ্ট সহ্য করে কাজ করছি। অমরত্ব লাভের মতো বড় বিদ্যা শেখার যোগ্যতা আমার না থাকলেও গুরুদেব আমাকে নিশ্চয় কিছু ছোটখাটো ক্ষমতা লাভের বিদ্যা শেখাতে পারেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৮)

লিয়াওচাই চিয়ি : লাওশান পর্বতের মহাপুরুষ  (পর্ব ১০)

০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

৩৭. ঘরে ফিরে এসে ওয়াং ছি ভাবল : “সত্যিই গুরুদেবের ক্ষমতা অনেক। যদি আমি তা শিখতে পারি, তাহলে পৃথিবীতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ থাকবে না।” এই কথা ভেবে সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চিন্তা ত্যাগ করল।

৩৮. ওয়াং ছি রোজ কাঠ কাটতে যেত। এইভাবে আরো এক মাস কেটে গেল। সে আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু মহাপুরুষ তাঁর ক্ষমতার বিন্দুমাত্রও তাকে দেন নি। আর কোন উপায় না দেখে সে তার মন ঠিক করে ফেলল।

৩৯. পরদিন অন্যান্য শিষ্যরা পর্বতে চলে গেলে সে মহাপুরুষের কাছে গিয়ে বলল: “আমি কয়েকশ’ মাইল পথ অতিক্রম করে এখানে এসেছি এবং আপনাকে গুরুদেব মনে করে পূজা করেছি, তবে কেন রোজ রোজ আমাকে কাঠ কাটতে বলেন? সত্যি বলতে কি, আপনার শিষ্য আমি বাড়িতে কখনো এই ধরণের কাজ করি নি, একাজে আর কত দিন লাগবে?”

৪০. মহাপুরুষ হেসে বললেন, “আমি আগেই জানতাম তুমি এখানকার কষ্ট সহ্য করতে পারবে না। যাক, কাল তোমাকে বাড়ি যাবার জন্য বিদায় জানাব।” ওয়াং ছি এই কথা শুনে আন্তরিকতার সঙ্গে অনুরোধ করল, “কয়েক মাস হল আমি এখানে কষ্ট সহ্য করে কাজ করছি। অমরত্ব লাভের মতো বড় বিদ্যা শেখার যোগ্যতা আমার না থাকলেও গুরুদেব আমাকে নিশ্চয় কিছু ছোটখাটো ক্ষমতা লাভের বিদ্যা শেখাতে পারেন।”