সোমবার (১৫ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের চতুর্মুখী হামলায় প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সোমবার বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। তারপরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে শিক্ষার্থীদের মারধর”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, সেখানে ঢুকে তাঁদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
পরে বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাত ১২টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতা–কর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের”
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ছাত্রলীগের হামলার নিন্দাও জানিয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের সকল বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মেধাভিত্তিক পদ্ধতির পক্ষে কোটা বাতিলের (সংস্কার) দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। সোমবার বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত হয়ে যারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেছে তাদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন তারা। বাংলাদেশে চলমান এই প্রতিবাদে আপনার অবস্থান কী?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকাসহ বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে অবগত এবং পর্যবেক্ষণ করছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যে কোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা করি। যারা এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে টানা বেশ কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের এই আন্দোলনে গতকাল সোমবার ছাত্রলীগ হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
যুগান্তরের একটি শিরোনাম “উত্তেজনা বাড়িয়ে যৌথ নৌ মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়া-চীন”
চীন এবং রাশিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। দক্ষিণ চীনের একটি সামরিক বন্দরে এই মহড়া শুরু করেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের সঙ্গে যখন এই দুটি দেশের টানাপড়েন ও উত্তেজনা চলছে তখন রাশিয়া ও চীন যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যৌথ সমুদ্র ২০২৪ নামের এই মহড়া গত রোববার থেকে গোয়াংডং প্রদেশের ঝাংজিয়াং শহরের কাছে শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে- আরও দু-এক দিন মহড়াটি চলবে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, চীন ও রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি পশ্চিম ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে টহল দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক এই মহড়ার সঙ্গে আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া, কোনো তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করেও এই মহড়া চালানো হচ্ছে না। চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, যৌথ মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী মহড়া, সমুদ্র হামলা এবং বিমান প্রতিরক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বুধবার ওয়াশিংটনে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ৩২ সদস্য অনুমোদিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বেইজিংকে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধেরে জন্য রাশিয়ার চরম সাহায্যকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “নিজেদের টাকায় নিজস্ব প্রকৌশলী দিয়ে নির্মাণ হয়েছিল তিস্তা ব্যারাজ”
স্বাধীনতার পর তিস্তা নদীর ওপর ব্যারাজ বা বাঁধ নির্মাণে নকশা ও পরিকল্পনার কাজে হাত দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশলীরা। এজন্য সম্পূর্ণ দেশী প্রযুক্তি ও জনবলকে কাজে লাগান তারা। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও ভৌত উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। বিদেশী অর্থায়নের অপেক্ষায় না থেকে নিজস্ব অর্থ ও জনবলে ভরসা করেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থ ও জনবল দিয়েই প্রকল্পের মূল বাঁধ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। এর নকশাকার ও প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সাধারণ নির্মাণ শ্রমিক পর্যন্ত সবাই ছিলেন বাংলাদেশী। নিজস্ব সক্ষমতায় প্রকল্পটি সফলভাবে এগিয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও এটি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের মূল বাঁধ ও ভৌত পরিকাঠামো নির্মাণ হয়েছে কোনো ধরনের ঋণ, অনুদান বা বিদেশী সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই।
আর প্রকল্পের সেচ কাঠামোর কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের প্রেক্ষাপটে ১৯৮৫ সালে এ সেচ কাঠামো (সেচযোগ্য কৃষিজমি উন্নয়ন ও খাল খনন) উন্নয়নে সৌদি উন্নয়ন তহবিল, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও আবুধাবি উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৮৩ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়।
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প (ফেজ-১) সমাপ্ত ঘোষণা হয় ১৯৯৮ সালে। লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ও নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর ওপর ব্যারাজটি নির্মিত। মূল ব্যারাজের দৈর্ঘ্য ৬১৫ মিটার। এর মধ্যে স্লুইস গেট আছে ৪৪টি। আর ক্যানেল হেড রেগুলেটরের দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার। এতে গেট আছে আটটি। সব মিলিয়ে মোট গেটের সংখ্যা ৫২। এ বাঁধের নকশা ও পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ পর্যন্ত সবই হয়েছে বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে। প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে করা এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯৮৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। গোটা প্রকল্পে সেচযোগ্য কৃষিজমি উন্নয়ন ও খাল খননে তিন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে নেয়া ২৮৩ কোটি টাকা ছাড়া বাকি অর্থের পুরোটাই জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
নির্মাণ শেষে তিস্তা ব্যারাজের উদ্বোধন হয় ১৯৯০ সালের আগস্টে। সে সময় তৎকালীন জাতীয় পার্টি সরকারের পানি উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মেজর (অব.) মন্জুর কাদের। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পের ভৌত উন্নয়নকাজ ১৯৭৯ সালে শুরু হলেও মূল বাঁধটি নির্মাণ হয়েছে মাত্র তেরো মাসে। ১৯৮৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৯০ সালের জুলাইয়ে। মূল বাঁধের অংশটুকু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩০০ কোটি টাকা। রংপুর ছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিজের এলাকা। তাই এটি নির্মাণের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ও কাজ করেছে। তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণের আগে ভারত বলেছিল যৌথ নদী কমিশন তৈরি করবে। কিন্তু এ ব্যারাজ নির্মাণের সময় তারাও গজলডোবায় নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিস্তা নদীর সঙ্গে যেহেতু ভারত ও চীনের স্বার্থ জড়িয়ে পড়েছে, তাই এটি নিয়ে এক ধরনের চাপ থাকবেই। ব্যারাজ নির্মাণের সময় প্রতিবেশী দেশের চাপ ছিল। সেটিকে উপেক্ষা করেই আমরা নিজেদের অর্থায়নে কাজটি করেছি। এখনো তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে এটি নির্মাণেও আমি কোনো সমস্যা দেখি না। সরকার যদি চায় নিজেদের অর্থায়নে করবেই, তাহলে এটি করা জটিল কিছু না। তিস্তা ব্যারাজ ছাড়াও আমরা আরো অনেক পরিকল্পনাই নিজেদের অর্থায়নে করেছি।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দেশে প্রতি লাখে ১১৪ জনের ক্যানসার শনাক্ত”
বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১১৪ জনের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। পুরুষ প্রতি লাখে ১২০ জন, নারী ১০৮ জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ প্রকাশিত এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলবার গবেষণার এই ফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় ৫১-৬০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ১৬.৫ শতাংশ এবং পুরুষদের ১৮ শতাংশ ক্যানসার পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বয়স অনুসারে পুরুষরা সবচেয়ে বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত।
দেশের ২৭ হাজার ৭৮৭টি বাড়িতে থাকা ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৫ জনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে ১১৩ জন ক্যানসার রোগী পাওয়া গেছে।
গত বছরের ১লা জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়।