০৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
জুলাই আন্দোলনে যোগ দিয়ে হতাশ নারী শিক্ষার্থীরা, মৌলবাদীদের উত্থানে বাড়ছে শঙ্কা ‘প্রেম পুকুর’ ধারাবাহিকে সানজিদা কানিজ প্রথম এশিয়া সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন মার্কো রুবিও বন্ধ হাজারো পোলট্রি খামার, ডিমের বাজারে আসছে ঝড় ভোজ্যতেলের সংকট ও বাংলাদেশের ঝুঁকি সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার উদ্বেগজনকঃ দেশব্যাপী মশা নিধনে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? নাটক ‘দেওয়ান গাজীর কিচ্ছা’: লোভের অন্তর্নিহিত রূপ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত বাংলাদেশি সিভিল নাগরিকদের পরিচিতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের সামান্য কমিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প, আগস্ট থেকে কার্যকর

ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন

  • Sarakhon Report
  • ০১:৩০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে আহত ৬ হাজার ৭০৩ জনের কথা জানা গেছে। তাঁরা ৩১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগী ১৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন।

ইটপাটকেল ও লাঠি বা রডের আঘাতে আহত হয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে বেশি মানুষ হাসপাতালে এসেছেন ছররা গুলি, রাবার বুলেট বা বুলেটবিদ্ধ হয়ে। আবার কেউ কেউ এসেছেন কাঁদানে গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে। সাউন্ড গ্রেনেডেও মানুষ আহত হয়েছেন।

রাজধানীতে সংঘর্ষ-সংঘাত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বেশি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তরা, বাড্ডা-রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর-বছিলা, ধানমন্ডি এলাকায়। আহত ব্যক্তিরা এসব এলাকার কাছের হাসপাতালে প্রথমে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ঢাকায় আজও ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল”

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জারি করা কারফিউ আজও ১১ ঘণ্টা শিথিল থাকবে। সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

এদিন ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে। একই সঙ্গে বিকাল ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ বলবৎ থাকবে।

শনিবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “প্রবাসী আয়ে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা”

প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে এসেছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে ইন্টারনেট বন্ধ ও দেশব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ ও কারফিউর প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ে এতে পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ কোটি ডলার এসেছিল প্রথম ১৩ দিনে। আর ১৪ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫৩ কোটি ডলার। যেখানে গত মাসে (জুন) প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোটা আন্দোলন ঘিরে গুলি ও সহিংসতায় নিহত ২৬৬ জনের নির্দিষ্ট তথ্য”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি-ব্রাশফায়ার ও সংঘর্ষে ২৬৬ জন নিহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,  সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া এ তালিকা নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র অনুসারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে অনেকের লাশ হাসপাতালে না নিয়ে দাফন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এসব লাশ হাসপাতালে গ্রহণ না করে আত্মীয়দের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে, যাদের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে বড় সংখ্যকই শিক্ষার্থী। যারা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাকিদের একটি অংশ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় মানুষ, যাদের অনেকে ছাত্রদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে।

এর বাইরে নিহত উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পথচারী দোকানদার অথবা নিজেদের বাড়ি বা অফিসে গুলি বা ব্রাশফায়ারে মৃত্যবরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগের পরিচয় চিহ্নিত করা গেলেও নিহত সাধারণ অনেকের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পেরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশ মারা গেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। কিছু মারা গেছে ব্রাশফায়ারে। বুকে বা মাথায় আঘাতে মারা গেছে বেশ কয়েকজন। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে বেশ কয়েকজন।

জুলাই আন্দোলনে যোগ দিয়ে হতাশ নারী শিক্ষার্থীরা, মৌলবাদীদের উত্থানে বাড়ছে শঙ্কা

ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন

০১:৩০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে আহত ৬ হাজার ৭০৩ জনের কথা জানা গেছে। তাঁরা ৩১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগী ১৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন।

ইটপাটকেল ও লাঠি বা রডের আঘাতে আহত হয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে বেশি মানুষ হাসপাতালে এসেছেন ছররা গুলি, রাবার বুলেট বা বুলেটবিদ্ধ হয়ে। আবার কেউ কেউ এসেছেন কাঁদানে গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে। সাউন্ড গ্রেনেডেও মানুষ আহত হয়েছেন।

রাজধানীতে সংঘর্ষ-সংঘাত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বেশি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তরা, বাড্ডা-রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর-বছিলা, ধানমন্ডি এলাকায়। আহত ব্যক্তিরা এসব এলাকার কাছের হাসপাতালে প্রথমে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ঢাকায় আজও ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল”

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জারি করা কারফিউ আজও ১১ ঘণ্টা শিথিল থাকবে। সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

এদিন ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে। একই সঙ্গে বিকাল ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ বলবৎ থাকবে।

শনিবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “প্রবাসী আয়ে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা”

প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে এসেছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে ইন্টারনেট বন্ধ ও দেশব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ ও কারফিউর প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ে এতে পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ কোটি ডলার এসেছিল প্রথম ১৩ দিনে। আর ১৪ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫৩ কোটি ডলার। যেখানে গত মাসে (জুন) প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোটা আন্দোলন ঘিরে গুলি ও সহিংসতায় নিহত ২৬৬ জনের নির্দিষ্ট তথ্য”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি-ব্রাশফায়ার ও সংঘর্ষে ২৬৬ জন নিহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,  সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া এ তালিকা নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র অনুসারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে অনেকের লাশ হাসপাতালে না নিয়ে দাফন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এসব লাশ হাসপাতালে গ্রহণ না করে আত্মীয়দের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে, যাদের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে বড় সংখ্যকই শিক্ষার্থী। যারা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাকিদের একটি অংশ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় মানুষ, যাদের অনেকে ছাত্রদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে।

এর বাইরে নিহত উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পথচারী দোকানদার অথবা নিজেদের বাড়ি বা অফিসে গুলি বা ব্রাশফায়ারে মৃত্যবরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগের পরিচয় চিহ্নিত করা গেলেও নিহত সাধারণ অনেকের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পেরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশ মারা গেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। কিছু মারা গেছে ব্রাশফায়ারে। বুকে বা মাথায় আঘাতে মারা গেছে বেশ কয়েকজন। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে বেশ কয়েকজন।