শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-৫৫)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ১০.০০ পিএম

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


কৃত্রিম সেচের প্রয়োজন আছে কি নেই। আরও দেখতে হবে অন্য গাছের বীজ নষ্ট না করে সেখানে নীলের বীজ জন্মানো যায় কিনা। এসব তাবদ প্রশ্ন একজন কৃষিবিদের বিবেচনার জন্য উত্থাপন করতে হবে, যিনি হাতেনাতে কাজ করেন এবং একই সঙ্গে তাত্ত্বিক দিকেও সমৃদ্ধ। এই কৃষক বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ হলে তিনি নিজেই এসবের সমাধান দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একজন নীলকর বাংলাদেশের পদ্ধতি হুবহু সেনেগালে প্রবর্তনের চেষ্টা করবেন যা ফলপ্রসূ নাও হতে পারে।

আমি যে তিন ধরনের বীজ যোগাড় করে ‘লা বর্দিলাইস’ জাহাজযোগে পাঠিয়েছি তা দিয়ে এ বছর কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে কাজ শুরু করা যেতে পারে। লা বর্দিলাইস জাহাজের পর, প্রথম যে জাহাজ গঙ্গা নদী থেকে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে, সে জাহাজে করে চন্দননগরের প্রশাসক আরও বীজ পাঠাচ্ছেন। সম্ভবতঃ জাহাজটির নাম ‘লা ফেবার্স। এই দু’বারের বীজ একত্রে চব্বিশ কুইন্টেল-এর মত হবে। বঙ্গদেশের পরিমাণমত ধরলে এ পরিমাণ বীজ দিয়ে ১২০ থেকে ১২৫ আরপেন্টস জমি আবাদ করা যাবে।

এই পরীক্ষামূলক নীল চাষ যদি আশানুরূপ হয় তাহলে সেনেগালে নীল চাষের সম্ভাবনার কথা ভাবা যাবে। সেনেগালে নীল চাষ সফল করতে হলে সরকারকে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে নয়তো এমন ধরনের একাধিক লোক যোগাড় করতে হবে যাদের দক্ষতা ও জ্ঞান প্রকল্পের সাফল্য নিশ্চিত করবে। একাধিক বললাম এইজন্যে যে নীল উৎপাদনের একটি কেন্দ্র যথাযথভাবে চালাতে একজনের বেশি লোক দরকার।

একজন লোক সে যত নিবেদিত প্রাণ ও কর্মক্ষম হোক না কেন, তার তো অসুখ হতে পারে অথবা সে কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে পারে, যার ফলে গোটা সংগঠন মুখ থুবড়ে পরতে পারে। এমন কি বঙ্গদেশে যেখানে সংগঠনের প্রতিটি লোক যার যার কাজের সম্পর্কে সুদক্ষ সেখানেও একা একজনের পক্ষে একটি নীলের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024