১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৪) কেন নদী, বিলে, খালে এত অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ এশিয়ায় জোট জোরদার: চীন-ভারতের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফেডারেল শাটডাউন–এ স্থগিত ‘ফুড স্ট্যাম্প’ কর্মসূচি; ৪১ মিলিয়ন দরিদ্র আমেরিকানের অনিশ্চয়তা ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা: ৬০ বছরে সর্বোচ্চ নদীর পানি জুলাই সনদে নতুন সংযোজনের দায় নেবে না বিএনপি দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহর থমকে গেল —দুর্ভোগে ভাসল রাজধানী উত্তরায় জুলাইযোদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুঃ ছবি দেখে মনে হয় কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে  কাইট বিচে ব্যায়াম, উদ্দীপনা ও সামাজিক সংহতিতে প্রাণবন্ত সূচনা নারীর অধিকার ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান — সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বক্তারা

একটি পলাশের জন্যে

  • Sarakhon Report
  • ০৫:০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 118

সারাক্ষণ নিউজ

এই পহেলা ফাল্গুনে শহর থেকে গ্রাম সবখানে- সাগরের ওপর জেগে ওঠা সূর্যের  লাল রঙ নিয়ে আগুন ছড়াতো পলাশ ফুল। ফাল্গুন, বসন্ত আর পলাশ এভাবে কবেই যেন হয়ে গিয়েছিলো সমার্থক শব্দ।

বসন্ত না বলে পলাশের ডাক বললেও একই স্বরে বেঁজে উঠতো। খোঁপায় একটা পলাশ গুঁজে দেয়া আর হাতে একটা পলাশ তুলে দেয়া মানেই ছিলো বসন্তের মন বিনিময়। তাই বসন্ত এসে গেলে একটু হলেও লজ্জায় মুখ লুকাতো লাল গোলাপ।

বসন্তের আগমনী দিনের সঙ্গে ভালোবাসা দিবস একাকার হয়ে গেছে। দোষ নেই তাতে। পলাশের জায়গা নিয়েছে দোকানির কাছ থেকে কিনে আনা বা টব থেকে তুলে আনা লাল গোলাপ। ঠিক তেমনি বসন্তের সেই হাতে তৈরির মিষ্ঠির জায়গাটা ভালোভাবেই দখল করে নিয়েছে চকোলেট।

এ পরিবর্তনের নরম হাতে হাত রেখেই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আহবানে কেউ পরেছে লাল কেউবা হলুদ রঙের পোষাক। ঘাটতি নেই কোন আনন্দে। যদি কেউ বলে, তেমনটি আর দেখছি না,ঠিকই তাকে ফেলে দেয়া যায় হতাশদের কাতারে।

এই সব সত্য মেনেও এখনও যদি কেউ বসন্ত আগমনী বাতাসে দাঁড়িয়ে উদাস চোখে খোঁজে একটি লাল পলাশ, যার ওপর নেচে চলছে একটি বসন্ত বাউরি, আর সেই পলাশ ফুলটি ধরে আছে বিশাল বা ছোট যে শরীরের হোক না কেন গাছটি তার নিচে হয়তো ধীর পায়ে যাচ্ছে সাত ভাই পাখি তার ধূসর শরীর নিয়ে- তাকেও কোন দোষ দেয়া যাবে না এই ফাল্গুনে। বরং বলা যায়, বাংলার ফাল্গুনের সঙ্গে, বসন্তের সঙ্গে আরো বহু কাল থাকবে একটি পলাশকে খোঁজা।

জনপ্রিয় সংবাদ

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৪)

একটি পলাশের জন্যে

০৫:০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সারাক্ষণ নিউজ

এই পহেলা ফাল্গুনে শহর থেকে গ্রাম সবখানে- সাগরের ওপর জেগে ওঠা সূর্যের  লাল রঙ নিয়ে আগুন ছড়াতো পলাশ ফুল। ফাল্গুন, বসন্ত আর পলাশ এভাবে কবেই যেন হয়ে গিয়েছিলো সমার্থক শব্দ।

বসন্ত না বলে পলাশের ডাক বললেও একই স্বরে বেঁজে উঠতো। খোঁপায় একটা পলাশ গুঁজে দেয়া আর হাতে একটা পলাশ তুলে দেয়া মানেই ছিলো বসন্তের মন বিনিময়। তাই বসন্ত এসে গেলে একটু হলেও লজ্জায় মুখ লুকাতো লাল গোলাপ।

বসন্তের আগমনী দিনের সঙ্গে ভালোবাসা দিবস একাকার হয়ে গেছে। দোষ নেই তাতে। পলাশের জায়গা নিয়েছে দোকানির কাছ থেকে কিনে আনা বা টব থেকে তুলে আনা লাল গোলাপ। ঠিক তেমনি বসন্তের সেই হাতে তৈরির মিষ্ঠির জায়গাটা ভালোভাবেই দখল করে নিয়েছে চকোলেট।

এ পরিবর্তনের নরম হাতে হাত রেখেই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আহবানে কেউ পরেছে লাল কেউবা হলুদ রঙের পোষাক। ঘাটতি নেই কোন আনন্দে। যদি কেউ বলে, তেমনটি আর দেখছি না,ঠিকই তাকে ফেলে দেয়া যায় হতাশদের কাতারে।

এই সব সত্য মেনেও এখনও যদি কেউ বসন্ত আগমনী বাতাসে দাঁড়িয়ে উদাস চোখে খোঁজে একটি লাল পলাশ, যার ওপর নেচে চলছে একটি বসন্ত বাউরি, আর সেই পলাশ ফুলটি ধরে আছে বিশাল বা ছোট যে শরীরের হোক না কেন গাছটি তার নিচে হয়তো ধীর পায়ে যাচ্ছে সাত ভাই পাখি তার ধূসর শরীর নিয়ে- তাকেও কোন দোষ দেয়া যাবে না এই ফাল্গুনে। বরং বলা যায়, বাংলার ফাল্গুনের সঙ্গে, বসন্তের সঙ্গে আরো বহু কাল থাকবে একটি পলাশকে খোঁজা।