০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

মিডিয়া মুখী মানুষকে মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করছি : আসিফ নজরুল

  • Sarakhon Report
  • ০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 1

রেজাই রাব্বী

আসিফ নজরুল―একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন নিজের নাট্যদল আর মঞ্চ নাটক নিয়ে। ছিলেন মঞ্চের দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পী। এখন মনোনিবেশ করেছেন ব্যবসায় ।

তার সঙ্গে কথা বলেছে সারাক্ষণ’র বিনোদন প্রতিবেদক রেজাই রাব্বী।

একটা সময় আপনি শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে খুব বেশি জড়িত ছিলেন। এখন অবশ্য কর্পোরেট সেক্টরে বেশি ব্যস্ত। এর কারণ কী?

বাস্তবতা, প্রথমত সংস্কৃতি বা মিডিয়া আমার শখের জায়গা এটা পেশা নয়। তাই আমি আমার মুল পেশাটাকে একটু পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছি।


কোন কোন নাটক আপনাকে প্রেরণা জুগিয়েছে?

থিয়েটার হলো একটু অনুপ্রেরনার জায়গা। এটা মানুষের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং শৈল্পিক বিকাশ প্রকাশে সহায়তা করে। এরপরও বলতে হয় -জীবন ঘনিষ্ট নাটক অবশ্যই অনুপ্রেরনা দেয়।

মঞ্চ নাটোকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, বিষয়টি কিভাবে দেখেন?

এটা এক কথায় ইতিবাচক দিক। মঞ্চ এমন একটি জায়গা যেটা আপনাকে শুধু বিনোদন দিবেনা- কখনও ভাবাবে কখনও হাসাবে কখনও কাঁদাবে। সব কিছুই হবে শৈল্পিক উপস্থাপনার মাধ্যমে। বর্তমানে মঞ্চ নাটকের চর্চা আগের চেয়ে অনেক গুন বেড়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ একাধিক মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে- যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা শিক্ষীত সমাজের ছেলে মেয়েদের নাটকের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগ স্থাপিত হয়েছে। সরকারী ভাবেও নাটকের পৃষ্টপোষকতা বেড়েছে। ফলে দিনকে দিন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে।

 

টিভি নাটক দেখা হয়? এই সময়ের কোনো নাটক ভালো লেগেছে?

এই ভাড়ামির যুগে এখন টিভি নাটক দেখা হয় খুব কম। নাটক দেখতে গেলে ধৈর্য থাকেনা। নিজের অভিনীত নাটকও অনেক সময় দেখা হয়না। আসলে গল্প এবং অভিনয় নির্ভর নাটক কমে ভিউ নির্ভর নাটক হয়ে গেছে। প্রযোজক পরিচালক চ্যানেল ভাবে কাকে নিলে ভিউ বেশি হবে। তারা গল্পের কথা চিন্তা করেনা -অভিনয়ের কথা চিন্তা করেনা। সেজন্য দেখা যায় অনেক সিনিয়র আর্টিস্টও ভাড়ামি নির্ভর চরিত্রে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সময়ের প্রয়োজনে । অথচ এদের থেকে মানুষ ভালো কিছু আশা করে কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে আমার মত অনেকেই আশাহত হয়। এরপরও একেবারেই যে ভালো নাটক হয়না এটা বলা যাবেনা। মাঝে মাঝে কোন নাটকের প্রতি চোখ আটকে গেলে পুরাটাই দেখি।

 

নতুন কোনো নাটক নিয়ে ভাবছেন?

মঞ্চে আমার লেখা একটি স্যাটায়ার ধর্মী নাটক ছিল- মগজ ধোলাই। হাসির মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরা। দুটি প্রদর্শনীর পর  গ্রুপের কার্যক্রম নানা কারনে বন্ধ হয়ে যায়। আসল বাস্তবতা হলো সবাই মিডিয়া মুখী মঞ্চমুখী লোকের সংখ্যাই দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই এখন আবার নতুন করে এটিকে মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করছি। এখানে প্রায় ১২টির মত চরিত্র আছে। যদি কলাকুশলী না পাই তাহলে নতুন নাটক নিয়ে ভাবতে হবে। যাতে ৫/৬টি চরিত্র নিয়ে নাটক করা যায়।

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

মিডিয়া মুখী মানুষকে মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করছি : আসিফ নজরুল

০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

আসিফ নজরুল―একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন নিজের নাট্যদল আর মঞ্চ নাটক নিয়ে। ছিলেন মঞ্চের দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পী। এখন মনোনিবেশ করেছেন ব্যবসায় ।

তার সঙ্গে কথা বলেছে সারাক্ষণ’র বিনোদন প্রতিবেদক রেজাই রাব্বী।

একটা সময় আপনি শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে খুব বেশি জড়িত ছিলেন। এখন অবশ্য কর্পোরেট সেক্টরে বেশি ব্যস্ত। এর কারণ কী?

বাস্তবতা, প্রথমত সংস্কৃতি বা মিডিয়া আমার শখের জায়গা এটা পেশা নয়। তাই আমি আমার মুল পেশাটাকে একটু পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছি।


কোন কোন নাটক আপনাকে প্রেরণা জুগিয়েছে?

থিয়েটার হলো একটু অনুপ্রেরনার জায়গা। এটা মানুষের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং শৈল্পিক বিকাশ প্রকাশে সহায়তা করে। এরপরও বলতে হয় -জীবন ঘনিষ্ট নাটক অবশ্যই অনুপ্রেরনা দেয়।

মঞ্চ নাটোকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, বিষয়টি কিভাবে দেখেন?

এটা এক কথায় ইতিবাচক দিক। মঞ্চ এমন একটি জায়গা যেটা আপনাকে শুধু বিনোদন দিবেনা- কখনও ভাবাবে কখনও হাসাবে কখনও কাঁদাবে। সব কিছুই হবে শৈল্পিক উপস্থাপনার মাধ্যমে। বর্তমানে মঞ্চ নাটকের চর্চা আগের চেয়ে অনেক গুন বেড়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ একাধিক মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে- যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা শিক্ষীত সমাজের ছেলে মেয়েদের নাটকের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগ স্থাপিত হয়েছে। সরকারী ভাবেও নাটকের পৃষ্টপোষকতা বেড়েছে। ফলে দিনকে দিন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে।

 

টিভি নাটক দেখা হয়? এই সময়ের কোনো নাটক ভালো লেগেছে?

এই ভাড়ামির যুগে এখন টিভি নাটক দেখা হয় খুব কম। নাটক দেখতে গেলে ধৈর্য থাকেনা। নিজের অভিনীত নাটকও অনেক সময় দেখা হয়না। আসলে গল্প এবং অভিনয় নির্ভর নাটক কমে ভিউ নির্ভর নাটক হয়ে গেছে। প্রযোজক পরিচালক চ্যানেল ভাবে কাকে নিলে ভিউ বেশি হবে। তারা গল্পের কথা চিন্তা করেনা -অভিনয়ের কথা চিন্তা করেনা। সেজন্য দেখা যায় অনেক সিনিয়র আর্টিস্টও ভাড়ামি নির্ভর চরিত্রে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সময়ের প্রয়োজনে । অথচ এদের থেকে মানুষ ভালো কিছু আশা করে কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে আমার মত অনেকেই আশাহত হয়। এরপরও একেবারেই যে ভালো নাটক হয়না এটা বলা যাবেনা। মাঝে মাঝে কোন নাটকের প্রতি চোখ আটকে গেলে পুরাটাই দেখি।

 

নতুন কোনো নাটক নিয়ে ভাবছেন?

মঞ্চে আমার লেখা একটি স্যাটায়ার ধর্মী নাটক ছিল- মগজ ধোলাই। হাসির মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরা। দুটি প্রদর্শনীর পর  গ্রুপের কার্যক্রম নানা কারনে বন্ধ হয়ে যায়। আসল বাস্তবতা হলো সবাই মিডিয়া মুখী মঞ্চমুখী লোকের সংখ্যাই দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই এখন আবার নতুন করে এটিকে মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করছি। এখানে প্রায় ১২টির মত চরিত্র আছে। যদি কলাকুশলী না পাই তাহলে নতুন নাটক নিয়ে ভাবতে হবে। যাতে ৫/৬টি চরিত্র নিয়ে নাটক করা যায়।