০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের জোগান নিয়ে বিপত্তি, শিগগিরই মিলছে না সমাধান

  • Sarakhon Report
  • ১০:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তৈরি পোশাকের মূল্য সংযোজনেও গরমিল”

পণ্য রপ্তানির তথ্যে গরমিলের বিষয়টি সামনে আসার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে ১ হাজার ৩৮১ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ডলারের। তখন প্রকৃত পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৯৯৭ কোটি ডলার বা ৭২ দশমিক ২০ শতাংশ।

অবশ্য পণ্য রপ্তানির তথ্য সংশোধনের পর উঠে এসেছে, ওই প্রান্তিকে (তৃতীয়) তৈরি পোশাকের প্রকৃত রপ্তানি কমে ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য ঠিক থাকলেও পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে পোশাক খাতে প্রকৃত রপ্তানি কমেছে ৪০৮ কোটি ডলার।

তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ দুটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিতে গরমিলের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে দেখা যায়, রপ্তানির তথ্য সংশোধন করায় গত দুই অর্থবছরের (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) সাত প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি কমেছে। মূলত পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রপ্তানির হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।

রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন এক লাফে ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তার পরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খায়। তখন পোশাকশিল্পের অনেক উদ্যোক্তা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, তার আগের ছয় প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন বেশির ভাগ সময়ই ছিল ৫১ থেকে ৫৭ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে ৮৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। ওই প্রান্তিকে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি ডলার। তার মানে সর্বশেষ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ছিল ৫০৪ কোটি ডলার বা ৫৭ শতাংশ।

সামনের দিনগুলোতে মূল্য সংযোজন কমবে বলে আমাদের আশঙ্কা। তার কারণ, প্রণোদনা হ্রাস করার পর অনেকে সুতা আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন। কারণ, প্রতি কেজি বিদেশি সুতা ব্যবহারে ২০-৩০ সেন্ট কম লাগছে। তা ছাড়া গ্যাস–সংকটের কারণেও অনেক উদ্যোক্তা সুতা ও কাপড় আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন।
—মোহাম্মদ হাতেম, সভাপতি, বিকেএমইএ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে হঠাৎ প্রকৃত পণ্য রপ্তানির ভিত্তিতে লেনদেনে ভারসাম্যের তথ্য প্রকাশ করে। এর ফলে পণ্য রপ্তানির হিসাবে বড় গরমিলের তথ্য উঠে আসে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করলেও সে অনুযায়ী আয় দেশে আসছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, এত পণ্য রপ্তানি হয়নি। তাই আয় বেশি আসার যৌক্তিকতা নেই। সে জন্য প্রকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারপর টানা তিন মাস পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ রাখে ইপিবি। যাচাই-বাছাই শেষে চলতি মাসে আবার সংস্থাটি রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে। রপ্তানির তথ্যে গরমিলের বিষয়টি সামনে আসার আগে ইপিবি জানিয়েছিল, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। তবে চলতি অক্টোবর মাসে সংস্থাটি জানায়, গত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলারের। তার মানে গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই ৭০৭ কোটি ডলারের রপ্তানি বেশি দেখিয়েছিল ইপিবি। একইভাবে পোশাক রপ্তানির হিসাবও বেশি দেখানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৬১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। আলোচ্য অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রেই সর্বোচ্চ ৬৬২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এ ছাড়া জার্মানিতে ৪৫২ কোটি, যুক্তরাজ্যে ৪২০ কোটি, স্পেনে ৩৩৮ কোটি ও ফ্রান্সে ২০২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে প্রকৃত পোশাক রপ্তানির যে তথ্য দিচ্ছে, সেটি বিশ্বাসযোগ্য। যদিও সামনের দিনগুলোতে মূল্য সংযোজন কমবে বলে আমাদের আশঙ্কা। তার কারণ প্রণোদনা হ্রাস করার পর অনেকে সুতা আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন। কারণ, প্রতি কেজি বিদেশি সুতা ব্যবহারে ২০-৩০ সেন্ট কম লাগছে। তা ছাড়া গ্যাস–সংকটের কারণেও অনেক উদ্যোক্তা সুতা ও কাপড় আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন।’ এসব সমস্যার বিকল্প সমাধান না থাকলে মূল্য সংযোজন আরও কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে- উপদেষ্টা নাহিদ”

সাংবাদিক পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আমরা অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য ভাতা প্রদান বা আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও চিন্তাভাবনা করছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাব।

বুধবার প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ সাংবাদিকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

এদিন নাহিদ ইসলাম বলেন, মিডিয়াতে অনেক কালাকানুন আছে, পর্যায়ক্রমে আমরা সেই কালাকানুনগুলো বাতিলের চেষ্টা করছি।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের জোগান নিয়ে বিপত্তি, শিগগিরই মিলছে না সমাধান”

বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় প্রতিদিন গ্যাস প্রয়োজন ১২০ কোটি ঘনফুট। সরবরাহ হয় প্রায় ৯২ কোটি ঘনফুটের মতো। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের এ অসামঞ্জস্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সরবরাহ না থাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এখন গ্যাসের বড় ও অত্যাধুনিক ব্যয় সাশ্রয়ী কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে পারছে না। বিদ্যুতের চাহিদামাফিক উৎপাদন না হওয়ায় সম্প্রতি লোডশেডিং করতে হয় বিপিডিবিকে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবির কর্মকর্তাদের ভাষ্য হলো পেট্রোবাংলার বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখার মতো প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে লোডশেডিং করতে হয়।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গ্যাস সরবরাহ বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বিপিডিবি ও গ্যাসভিত্তিক আইপিপিগুলোর কাছে আটকে থাকা এ বকেয়া পাওনা নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের আশ্বাসও পাচ্ছে না। উচ্চ মূল্যে এলএনজি কিনে সরবরাহ করে অর্থ পাওয়া না গেলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই তাদের কাছে। আবার বিদ্যুতের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিপিডিবির কাছে কেন্দ্রগুলোর যে পরিমাণ অর্থ বকেয়া পড়েছে, সে টাকা না পেলে তারা গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে পারছেন না।

সব মিলিয়ে বকেয়া ও অনাদায়ী পাওনার এক দুষ্টচক্রে আটকে গেছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের সরবরাহও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের কোনো পথও পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে বিদ্যমান এ অচলাবস্থা দূর করতে এরই মধ্যে পেট্রোবাংলা ও বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভোটে কী পরিবর্তন আসছে?”

নির্বাচনের যাত্রা শুরু হচ্ছে দেশে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে গঠিত হবে নির্বাচন কমিশন। যে কমিশনের সামনে দেশের মানুষের ১৬ বছরের ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ ঘোচানোর দায়িত্ব পড়বে। বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি হচ্ছে। এই কমিটি যে সুপারিশ দেবে তার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট কমিশন গঠন করে দেবেন। নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন নির্বাচন আয়োজন করবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, দেশের সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের দাবি কমিশন গঠন হলে এ সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের কার্যপরিধি ঠিক করবে। এছাড়া সব দলকে নির্বাচনে আনাসহ আরও কিছু বিষয় নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক সৎ, সাহসী ও যোগ্য মানুষ দ্বারা। যারা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের দায়িত্বটা সুচারুভাবে পালন করবেন। যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা কার্যকর হয়। একই সঙ্গে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বুধবার মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
এর আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া সদস্য হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।

পাহাড়ি জনপদের বুকজুড়ে মৌমাছি পালন

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের জোগান নিয়ে বিপত্তি, শিগগিরই মিলছে না সমাধান

১০:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তৈরি পোশাকের মূল্য সংযোজনেও গরমিল”

পণ্য রপ্তানির তথ্যে গরমিলের বিষয়টি সামনে আসার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে ১ হাজার ৩৮১ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ডলারের। তখন প্রকৃত পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৯৯৭ কোটি ডলার বা ৭২ দশমিক ২০ শতাংশ।

অবশ্য পণ্য রপ্তানির তথ্য সংশোধনের পর উঠে এসেছে, ওই প্রান্তিকে (তৃতীয়) তৈরি পোশাকের প্রকৃত রপ্তানি কমে ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য ঠিক থাকলেও পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে পোশাক খাতে প্রকৃত রপ্তানি কমেছে ৪০৮ কোটি ডলার।

তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ দুটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিতে গরমিলের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে দেখা যায়, রপ্তানির তথ্য সংশোধন করায় গত দুই অর্থবছরের (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) সাত প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি কমেছে। মূলত পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রপ্তানির হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।

রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন এক লাফে ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তার পরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খায়। তখন পোশাকশিল্পের অনেক উদ্যোক্তা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, তার আগের ছয় প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন বেশির ভাগ সময়ই ছিল ৫১ থেকে ৫৭ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে ৮৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। ওই প্রান্তিকে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি ডলার। তার মানে সর্বশেষ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ছিল ৫০৪ কোটি ডলার বা ৫৭ শতাংশ।

সামনের দিনগুলোতে মূল্য সংযোজন কমবে বলে আমাদের আশঙ্কা। তার কারণ, প্রণোদনা হ্রাস করার পর অনেকে সুতা আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন। কারণ, প্রতি কেজি বিদেশি সুতা ব্যবহারে ২০-৩০ সেন্ট কম লাগছে। তা ছাড়া গ্যাস–সংকটের কারণেও অনেক উদ্যোক্তা সুতা ও কাপড় আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন।
—মোহাম্মদ হাতেম, সভাপতি, বিকেএমইএ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে হঠাৎ প্রকৃত পণ্য রপ্তানির ভিত্তিতে লেনদেনে ভারসাম্যের তথ্য প্রকাশ করে। এর ফলে পণ্য রপ্তানির হিসাবে বড় গরমিলের তথ্য উঠে আসে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করলেও সে অনুযায়ী আয় দেশে আসছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, এত পণ্য রপ্তানি হয়নি। তাই আয় বেশি আসার যৌক্তিকতা নেই। সে জন্য প্রকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারপর টানা তিন মাস পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ রাখে ইপিবি। যাচাই-বাছাই শেষে চলতি মাসে আবার সংস্থাটি রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে। রপ্তানির তথ্যে গরমিলের বিষয়টি সামনে আসার আগে ইপিবি জানিয়েছিল, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। তবে চলতি অক্টোবর মাসে সংস্থাটি জানায়, গত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলারের। তার মানে গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই ৭০৭ কোটি ডলারের রপ্তানি বেশি দেখিয়েছিল ইপিবি। একইভাবে পোশাক রপ্তানির হিসাবও বেশি দেখানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৬১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। আলোচ্য অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রেই সর্বোচ্চ ৬৬২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এ ছাড়া জার্মানিতে ৪৫২ কোটি, যুক্তরাজ্যে ৪২০ কোটি, স্পেনে ৩৩৮ কোটি ও ফ্রান্সে ২০২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে প্রকৃত পোশাক রপ্তানির যে তথ্য দিচ্ছে, সেটি বিশ্বাসযোগ্য। যদিও সামনের দিনগুলোতে মূল্য সংযোজন কমবে বলে আমাদের আশঙ্কা। তার কারণ প্রণোদনা হ্রাস করার পর অনেকে সুতা আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন। কারণ, প্রতি কেজি বিদেশি সুতা ব্যবহারে ২০-৩০ সেন্ট কম লাগছে। তা ছাড়া গ্যাস–সংকটের কারণেও অনেক উদ্যোক্তা সুতা ও কাপড় আমদানিতে মনোযোগী হচ্ছেন।’ এসব সমস্যার বিকল্প সমাধান না থাকলে মূল্য সংযোজন আরও কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে- উপদেষ্টা নাহিদ”

সাংবাদিক পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আমরা অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য ভাতা প্রদান বা আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও চিন্তাভাবনা করছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাব।

বুধবার প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ সাংবাদিকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

এদিন নাহিদ ইসলাম বলেন, মিডিয়াতে অনেক কালাকানুন আছে, পর্যায়ক্রমে আমরা সেই কালাকানুনগুলো বাতিলের চেষ্টা করছি।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের জোগান নিয়ে বিপত্তি, শিগগিরই মিলছে না সমাধান”

বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় প্রতিদিন গ্যাস প্রয়োজন ১২০ কোটি ঘনফুট। সরবরাহ হয় প্রায় ৯২ কোটি ঘনফুটের মতো। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের এ অসামঞ্জস্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সরবরাহ না থাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এখন গ্যাসের বড় ও অত্যাধুনিক ব্যয় সাশ্রয়ী কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে পারছে না। বিদ্যুতের চাহিদামাফিক উৎপাদন না হওয়ায় সম্প্রতি লোডশেডিং করতে হয় বিপিডিবিকে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবির কর্মকর্তাদের ভাষ্য হলো পেট্রোবাংলার বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখার মতো প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে লোডশেডিং করতে হয়।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গ্যাস সরবরাহ বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বিপিডিবি ও গ্যাসভিত্তিক আইপিপিগুলোর কাছে আটকে থাকা এ বকেয়া পাওনা নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের আশ্বাসও পাচ্ছে না। উচ্চ মূল্যে এলএনজি কিনে সরবরাহ করে অর্থ পাওয়া না গেলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই তাদের কাছে। আবার বিদ্যুতের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিপিডিবির কাছে কেন্দ্রগুলোর যে পরিমাণ অর্থ বকেয়া পড়েছে, সে টাকা না পেলে তারা গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে পারছেন না।

সব মিলিয়ে বকেয়া ও অনাদায়ী পাওনার এক দুষ্টচক্রে আটকে গেছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের সরবরাহও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের কোনো পথও পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে বিদ্যমান এ অচলাবস্থা দূর করতে এরই মধ্যে পেট্রোবাংলা ও বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভোটে কী পরিবর্তন আসছে?”

নির্বাচনের যাত্রা শুরু হচ্ছে দেশে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে গঠিত হবে নির্বাচন কমিশন। যে কমিশনের সামনে দেশের মানুষের ১৬ বছরের ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ ঘোচানোর দায়িত্ব পড়বে। বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি হচ্ছে। এই কমিটি যে সুপারিশ দেবে তার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট কমিশন গঠন করে দেবেন। নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন নির্বাচন আয়োজন করবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, দেশের সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের দাবি কমিশন গঠন হলে এ সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের কার্যপরিধি ঠিক করবে। এছাড়া সব দলকে নির্বাচনে আনাসহ আরও কিছু বিষয় নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক সৎ, সাহসী ও যোগ্য মানুষ দ্বারা। যারা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের দায়িত্বটা সুচারুভাবে পালন করবেন। যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা কার্যকর হয়। একই সঙ্গে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বুধবার মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
এর আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া সদস্য হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।