০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

এখানে পশু সমাজ থেকে বার্ধক্য সম্পর্কে যা শিখতে পারি

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 16

ভিক্টোরিয়া হিথ

নতুন গবেষণায় ১৬টি গবেষণাপত্রের সংগ্রহে বিভিন্ন প্রাণীর বার্ধক্যের সাথে সাথে তাদের আচরণে যে আকর্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে, তা উদঘাটন করা হয়েছে – এবং গবেষণা প্রকাশ করেছে যে অনেক পরিবর্তন প্রাণীদের জন্য সুবিধাজনকও হতে পারে।

এই আচরণগত পরিবর্তনগুলিকে বিজ্ঞানীরা ‘সামাজিক বার্ধক্য’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পূর্বে এটি কেবল নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হলেও, নতুন এই গবেষণা ভিন্ন ধারণা দিচ্ছে।

মানুষের মতো, বৃদ্ধ লাল হরিণ (Cervus elaphus) সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলে, ফলে কিছু পরজীবী সংক্রমণ থেকেও দূরে থাকে। কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণীই নয়, প্রথমবারের মতো পাখিরাও সামাজিক যোগাযোগের পরিমাণ কমায় বার্ধক্যের সাথে সাথে।

বিশেষ করে, বৃদ্ধ গৃহ চড়ুই (Passer domesticus) অন্যান্য পাখিদের সাথে বন্ধুত্বের সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং বয়স বাড়ার সাথে তাদের সামাজিক প্রাসঙ্গিকতাও কমে যায় – অর্থাৎ তারা তাদের সমাজের কেন্দ্রীয় ভূমিকা থেকে দূরে সরে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সামাজিক বার্ধক্য’ একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা ছোট্ট ড্রোসোফিলা ফলমাছির মতো প্রাণীতেও প্রযোজ্য, এবং প্রাণীর লিঙ্গভেদেও বিভিন্নতা দেখা যায়।

গবেষণাটি শিম্পাঞ্জি ও মৌমাছির মতো জটিল সামাজিক প্রাণীদের পাশাপাশি কম অধ্যয়নকৃত ফলমাছির উপরও পরিচালিত হয়েছিল। ল্যাবরেটরিতে সহজে গবেষণা করা যায় এমন এই ফলমাছির মাধ্যমে ‘সামাজিক বার্ধক্য’ কেন ঘটে তা বিশদভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।

গবেষণা সহ-সম্পাদক গ্রেগ অ্যালবেরি বলেছেন, “যেহেতু বার্ধক্য একটি সার্বজনীন প্রক্রিয়া এবং সমস্ত প্রাণীই কোনো না কোনো সামাজিক পরিবেশে বাস করে, তাই এই বিষয়ে আলোচনা আমাদের সমাজ বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

“বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে বার্ধক্য ও সামাজিকতার বৈচিত্র্য বোঝা গেলে, মানুষের সমাজে এর প্রভাব ও বার্ধক্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।”

মানুষের ক্ষেত্রে একটি খারাপ সামাজিক পরিবেশ ধূমপান বা স্থূলতার মতোই ক্ষতিকর হতে পারে, তাই এই গবেষণার অগ্রগতি থেকে মানুষের সুস্থ বার্ধক্য বুঝতে নতুন পথ খোলার আশা করা হচ্ছে।

এখানে পশু সমাজ থেকে বার্ধক্য সম্পর্কে যা শিখতে পারি

০৫:৫০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ভিক্টোরিয়া হিথ

নতুন গবেষণায় ১৬টি গবেষণাপত্রের সংগ্রহে বিভিন্ন প্রাণীর বার্ধক্যের সাথে সাথে তাদের আচরণে যে আকর্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে, তা উদঘাটন করা হয়েছে – এবং গবেষণা প্রকাশ করেছে যে অনেক পরিবর্তন প্রাণীদের জন্য সুবিধাজনকও হতে পারে।

এই আচরণগত পরিবর্তনগুলিকে বিজ্ঞানীরা ‘সামাজিক বার্ধক্য’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পূর্বে এটি কেবল নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হলেও, নতুন এই গবেষণা ভিন্ন ধারণা দিচ্ছে।

মানুষের মতো, বৃদ্ধ লাল হরিণ (Cervus elaphus) সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলে, ফলে কিছু পরজীবী সংক্রমণ থেকেও দূরে থাকে। কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণীই নয়, প্রথমবারের মতো পাখিরাও সামাজিক যোগাযোগের পরিমাণ কমায় বার্ধক্যের সাথে সাথে।

বিশেষ করে, বৃদ্ধ গৃহ চড়ুই (Passer domesticus) অন্যান্য পাখিদের সাথে বন্ধুত্বের সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং বয়স বাড়ার সাথে তাদের সামাজিক প্রাসঙ্গিকতাও কমে যায় – অর্থাৎ তারা তাদের সমাজের কেন্দ্রীয় ভূমিকা থেকে দূরে সরে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সামাজিক বার্ধক্য’ একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা ছোট্ট ড্রোসোফিলা ফলমাছির মতো প্রাণীতেও প্রযোজ্য, এবং প্রাণীর লিঙ্গভেদেও বিভিন্নতা দেখা যায়।

গবেষণাটি শিম্পাঞ্জি ও মৌমাছির মতো জটিল সামাজিক প্রাণীদের পাশাপাশি কম অধ্যয়নকৃত ফলমাছির উপরও পরিচালিত হয়েছিল। ল্যাবরেটরিতে সহজে গবেষণা করা যায় এমন এই ফলমাছির মাধ্যমে ‘সামাজিক বার্ধক্য’ কেন ঘটে তা বিশদভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।

গবেষণা সহ-সম্পাদক গ্রেগ অ্যালবেরি বলেছেন, “যেহেতু বার্ধক্য একটি সার্বজনীন প্রক্রিয়া এবং সমস্ত প্রাণীই কোনো না কোনো সামাজিক পরিবেশে বাস করে, তাই এই বিষয়ে আলোচনা আমাদের সমাজ বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

“বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে বার্ধক্য ও সামাজিকতার বৈচিত্র্য বোঝা গেলে, মানুষের সমাজে এর প্রভাব ও বার্ধক্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।”

মানুষের ক্ষেত্রে একটি খারাপ সামাজিক পরিবেশ ধূমপান বা স্থূলতার মতোই ক্ষতিকর হতে পারে, তাই এই গবেষণার অগ্রগতি থেকে মানুষের সুস্থ বার্ধক্য বুঝতে নতুন পথ খোলার আশা করা হচ্ছে।