ফয়সাল আহমেদ
প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে নাগরিক সচেতনতা ও মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন।
সোমবার সকালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ‘প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস, জাতীয় নীতি এবং টেকসই পদক্ষেপ’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল আলোচনা হয়।
ওই আলোচনায় প্রধান অতিথি বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য কমাতে হলে সবার আগে নাগরিক অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে কারণ, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্লাস্টিক পণ্য’র সঙ্গে বেড়ে উঠেছি। যা আমাদের অভ্যাসে অঙ্গ হয়ে গেছে।এই অভ্যাস থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রাক আয়োজিত ওই গোল টেবিল আলোচনার আলোচনার সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।
এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকগণ।
জাতিসংঘ ঘোষিত World Cities Day প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে ব্র্যাক অক্টোবর মাসজুড়ে অতীতের মতো এবছরও দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।
এ আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কিভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস করা যায় এবং এর বিকল্প হিসেবে কি হতে পারে? এখানে সকলেই যার যার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে।
এখানে অনেকেই বলে আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ বাংলাদেশের তেমন একটা দেখা যায় না- কেউ মানতেও চায় না। ঠিক তেমনি আমাদের দেশে বারবার প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাসের উদ্যোগ নিলেও তা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করা হয়নি কোন সময়। এখানে সকলেই মূলত এ প্লাস্টিকের ব্যবহার নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমেকমানোর ওপর জোর দেন।
সুপারির খোল দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব প্লেট
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে অনেক কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক উদ্যোক্তা এর বিকল্প হিসেবে অনেক কিছু তৈরিও করেছে। কিন্তু অতিরিক্ত ভ্যাট এবং কর্মী মূল্যের কারণে উক্ত পণ্যের দাম প্লাস্টিক পণ্যের থেকে বেশি হয়ে যায়। এবং মানুষ তা কিনতে চায় না।
পরিবেশবান্ধব পণ্যের দাম বেশি হলেও তা কেনার মন-মানসিকতা এবং মনোভাব জনগণের মাঝে তৈরি করতে হবে এবং এরূপ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে।