০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু শাহবাগে শিক্ষকদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গে পুলিশের পদক্ষেপের পক্ষে ডিএমপি গণভোটের জন্যে সাত দিনের আলটিমেটাম অগ্রহণযোগ্য: সরকারের সমালোচনায় সালাহউদ্দিন শাহবাগে শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১২০ জন প্রবল বৃষ্টিতে গাবা ম্যাচ বাতিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জিতল ভারত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে পাকিস্তানি নৌযান ‘পিএনএস সাইফ’

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৬)

হিউএনচাঙ প্রথমত মহাযান ধর্মের গুণগান করলেন। তার পর একটা পূর্বপক্ষ প্রস্তাব করে নালন্দার একজন শ্রমণকে সেটা সমস্ত পণ্ডিতদের দেখাতে আদেশ করলেন। তার পর সেটা লিখে সভার সদর তোরণে আটকে দিতে বললেন; আর ঘোষণা করলেন যে, যদি কেহ পূর্বপক্ষের একটি কথাও ভুল বলে প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে তার আদেশে আমি আমার শিরদান করতে প্রস্তুত আছি।

রাত্রি পর্যন্ত কেহই প্রতিপক্ষ হতে অগ্রসর হল না। তার পর প্রত্যহই ঐ রকম শোভাযাত্রা হতে লাগল, কিন্তু প্রতিপক্ষ কেউই এল না।হিউএনচাঙ বলেন যে, পাঁচদিন পরে বিধর্মীরা রাগ করে তাঁকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করে। মহারাজা তাই শুনে ঘোষণা করলেন যে, যদি কেউ কোনো রকমে হিউএনচাঙকে শারীরিক কষ্ট দেয়, তাহলে তার প্রাণদণ্ড হবে। যদি কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে, তাহলে তার জিভ কেটে দেওয়া হবে।

যাহোক, আঠারো দিন পর্যন্ত কেউই তর্কে অগ্রসর হল না। তখন আগের দিন সভাভঙ্গের সময়ে ধর্মগুরু আবার মহাযানের প্রশংসা করলেন, আর বৌদ্ধধর্মের প্রশংসা করলেন। তার ফলে বহু বিধর্মী আর হীনযানী মহাযানে যোগ দিল।

শীলাদিত্য রাজা আর ঐ উনিশ-কুড়ি জন অন্য রাজারা হিউএনচাঙকে বহু ধনরত্ন উপহার দিলেন, কিন্তু তিনি কিছুই গ্রহণ করতে সম্মত হলেন না। তখন রাজার আদেশে মন্ত্রিগণসহ ধর্মগুরুকে এক মস্ত হাতীর উপরে হাওদায় বসিয়ে সব লোকের ভিতরে ঘুরিয়ে আনা হল আর ঘোষণা করা হল যে, ইনি প্রকৃত ধর্ম অবিসংবাদিতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ধর্মগুরু এই সম্মান নিতে প্রথমে রাজী হন নি। কিন্তু মহারাজা বলেন যে, এ-ই দেশের প্রথা।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৬)

০৯:০০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

হিউএনচাঙ প্রথমত মহাযান ধর্মের গুণগান করলেন। তার পর একটা পূর্বপক্ষ প্রস্তাব করে নালন্দার একজন শ্রমণকে সেটা সমস্ত পণ্ডিতদের দেখাতে আদেশ করলেন। তার পর সেটা লিখে সভার সদর তোরণে আটকে দিতে বললেন; আর ঘোষণা করলেন যে, যদি কেহ পূর্বপক্ষের একটি কথাও ভুল বলে প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে তার আদেশে আমি আমার শিরদান করতে প্রস্তুত আছি।

রাত্রি পর্যন্ত কেহই প্রতিপক্ষ হতে অগ্রসর হল না। তার পর প্রত্যহই ঐ রকম শোভাযাত্রা হতে লাগল, কিন্তু প্রতিপক্ষ কেউই এল না।হিউএনচাঙ বলেন যে, পাঁচদিন পরে বিধর্মীরা রাগ করে তাঁকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করে। মহারাজা তাই শুনে ঘোষণা করলেন যে, যদি কেউ কোনো রকমে হিউএনচাঙকে শারীরিক কষ্ট দেয়, তাহলে তার প্রাণদণ্ড হবে। যদি কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে, তাহলে তার জিভ কেটে দেওয়া হবে।

যাহোক, আঠারো দিন পর্যন্ত কেউই তর্কে অগ্রসর হল না। তখন আগের দিন সভাভঙ্গের সময়ে ধর্মগুরু আবার মহাযানের প্রশংসা করলেন, আর বৌদ্ধধর্মের প্রশংসা করলেন। তার ফলে বহু বিধর্মী আর হীনযানী মহাযানে যোগ দিল।

শীলাদিত্য রাজা আর ঐ উনিশ-কুড়ি জন অন্য রাজারা হিউএনচাঙকে বহু ধনরত্ন উপহার দিলেন, কিন্তু তিনি কিছুই গ্রহণ করতে সম্মত হলেন না। তখন রাজার আদেশে মন্ত্রিগণসহ ধর্মগুরুকে এক মস্ত হাতীর উপরে হাওদায় বসিয়ে সব লোকের ভিতরে ঘুরিয়ে আনা হল আর ঘোষণা করা হল যে, ইনি প্রকৃত ধর্ম অবিসংবাদিতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ধর্মগুরু এই সম্মান নিতে প্রথমে রাজী হন নি। কিন্তু মহারাজা বলেন যে, এ-ই দেশের প্রথা।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৫)