০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চাল আমদানি শূন্য, কমেছে গমও

  • Sarakhon Report
  • ১০:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 23

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ”

এক দফা দাবির মুখে পতন ঘটেছে স্বৈরাচারের, তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ। ৩ আগস্ট ২০২৪ এক দফা দাবির মুখে পতন ঘটেছে স্বৈরাচারের, তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ। ৩ আগস্ট ২০২৪ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক চৌরাস্তায় এসে পৌঁছেছে। ঠিক দিকে মোড় নিলে বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসন ও অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের পথ বাদ দিয়ে আবারও সত্যিকার উন্নয়নের পথে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু ভুল পদক্ষেপ নিলে, ভুল দিকে এগোলে দেশ ও জাতি আরও গভীর সমস্যায় পড়তে পারে। আমরা এখানে কীভাবে এলাম আর কেন এই বর্তমান পরিস্থিতি এত ভয়ানক?

গত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনকে অনেকে দ্রুত উন্নয়নের মডেল হিসেবে ব্যাখ্যা করতেন। এ ব্যাখ্যা ছিল সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর। শুধু যে আসল প্রবৃদ্ধির হার ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে কয়েক শতাংশ বাড়িয়ে বলা হতো, তা–ই নয়; নব্বইয়ের দশকের গণতান্ত্রিক আমলের প্রবৃদ্ধির তুলনায় পরবর্তী প্রবৃদ্ধির কিছু গুণগত পার্থক্য ছিল। নব্বইয়ের দশকে আমাদের প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি ছিল হাজার হাজার মাঝারি আকারের শিল্প ও ব্যবসা। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার কারণে বহু ব্যবসায়ী সরকারি সমর্থন পেয়ে থাকতেন। তাঁদের দুর্নীতি সত্ত্বেও শাসক দল আর বিরোধী দলের প্রতিযোগিতাই ছিল কে বেশিসংখ্যক নাগরিক ও ব্যবসায়ীকে খুশি রাখতে পারে। ব্যাংকের ঋণ, গ্যাস ও অন্যান্য সুবিধার ভাগাভাগিতে একধরনের ভারসাম্য ছিল।

এ সবকিছু পাল্টে গেল ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর। খুব দ্রুতই কার্যকর নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফেলল। জঙ্গিবাদ দমনের অজুহাত আর আওয়ামী বয়ান ব্যবহার করে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে জাতীয় শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। ১৫ বছর ধরে চলল বিকল্প প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দেওয়ার রক্তাক্ত অভিযান। এ গল্প সবাই জানে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতাও স্তিমিত হয়ে গেল। গুটিকয় বড় ব্যবসায়ী বা অলিগার্ক সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করল। তারা শুধু ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেল না, পুরো ব্যাংক নিয়ে চলে গেল। লাখো কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নিয়ে একেকজন জাঁকজমকের আন্তর্জাতিক জীবনযাপন শুরু করল। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের দারুণ উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু এটা উন্নয়ন ছিল না, এ ছিল সাধারণ মানুষের আমানত চুরি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “একনজরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কমলার ইতিহাস নাকি ট্রাম্পের রেকর্ড”

কমলা হ্যারিস, নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প- কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? সেটি নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা, মেলানো হচ্ছে নানান সমীকরণ। প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হঠাৎ ছিটকে পড়া, ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলাসহ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নাটকীয় নানান ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

এবারের প্রচারণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা যাচ্ছে।

বেশিরভাগ মানুষের কাছে ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিত হলেও এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা।

ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নজর রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে। কিন্তু ঠিক কখন এবং কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন? কারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন এবং জিততে হলে প্রার্থীদের কত শতাংশ ভোট পেতে হবে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “চাল আমদানি শূন্য, কমেছে গমও”

দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল, দ্বিতীয় গম। বিভিন্ন দেশ থেকে আগে চাল আমদানি হলেও এখন তা শূন্যের কোটায় নেমেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পরও দেশের প্রধান খাদ্যশস্যটি আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) জটিলতায় কমছে গম আমদানিও। বাজারে তাই খাদ্যপণ্য দুটির দাম ঊর্ধ্বমুখী।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট গম আমদানি হয়েছিল ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৮০ টন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৮০ টন ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টন। চলতি অর্থবছরে গত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে কেবল ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টনের মতো। সরকারি পর্যায়ে এ চার মাসে বিশ্ববাজার থেকে গম আনা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮০ টন, আর বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ লাখ ২ হাজার ৫০০ টন। অন্যদিকে এ সময়ে কোনো চালই আমদানি করা হয়নি।

দেশে গমের চাহিদা বছরে ৭০-৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ইউক্রেন থেকে মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪০ শতাংশে নেমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে বিগত কয়েক বছর গম আমদানি অব্যাহতভাবে বাড়লেও ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে তা কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউক্রেন থেকে গম আমদানি হয় মোট ১ হাজার ৬৫৮ মিলিয়ন ডলারের, ২০২১-২২ অর্থবছরে হয়েছিল ২ হাজার ৬৫ মিলিয়ন ডলারের। তার আগের অর্থবছর আনা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫৮ মিলিয়ন ডলারের গম, ২০১৯-২০ অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ৪৯১ মিলিয়ন ডলারের।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম অবহিত হলেন প্রধান উপদেষ্টা”

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশন প্রধানরা। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে কমিশন প্রধানরা নিজ নিজ সেক্টরের কাজের অগ্রগতি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন। বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদারদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে। জনসাধারণের মতামত চেয়ে একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে; যা ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে যেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য যথাযথ প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর কতিপয় ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কিনা সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠকে জানানো হয় প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকার সমন্বয় করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ই সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।

চাল আমদানি শূন্য, কমেছে গমও

১০:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ”

এক দফা দাবির মুখে পতন ঘটেছে স্বৈরাচারের, তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ। ৩ আগস্ট ২০২৪ এক দফা দাবির মুখে পতন ঘটেছে স্বৈরাচারের, তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ। ৩ আগস্ট ২০২৪ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক চৌরাস্তায় এসে পৌঁছেছে। ঠিক দিকে মোড় নিলে বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসন ও অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের পথ বাদ দিয়ে আবারও সত্যিকার উন্নয়নের পথে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু ভুল পদক্ষেপ নিলে, ভুল দিকে এগোলে দেশ ও জাতি আরও গভীর সমস্যায় পড়তে পারে। আমরা এখানে কীভাবে এলাম আর কেন এই বর্তমান পরিস্থিতি এত ভয়ানক?

গত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনকে অনেকে দ্রুত উন্নয়নের মডেল হিসেবে ব্যাখ্যা করতেন। এ ব্যাখ্যা ছিল সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর। শুধু যে আসল প্রবৃদ্ধির হার ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে কয়েক শতাংশ বাড়িয়ে বলা হতো, তা–ই নয়; নব্বইয়ের দশকের গণতান্ত্রিক আমলের প্রবৃদ্ধির তুলনায় পরবর্তী প্রবৃদ্ধির কিছু গুণগত পার্থক্য ছিল। নব্বইয়ের দশকে আমাদের প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি ছিল হাজার হাজার মাঝারি আকারের শিল্প ও ব্যবসা। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার কারণে বহু ব্যবসায়ী সরকারি সমর্থন পেয়ে থাকতেন। তাঁদের দুর্নীতি সত্ত্বেও শাসক দল আর বিরোধী দলের প্রতিযোগিতাই ছিল কে বেশিসংখ্যক নাগরিক ও ব্যবসায়ীকে খুশি রাখতে পারে। ব্যাংকের ঋণ, গ্যাস ও অন্যান্য সুবিধার ভাগাভাগিতে একধরনের ভারসাম্য ছিল।

এ সবকিছু পাল্টে গেল ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর। খুব দ্রুতই কার্যকর নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফেলল। জঙ্গিবাদ দমনের অজুহাত আর আওয়ামী বয়ান ব্যবহার করে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে জাতীয় শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। ১৫ বছর ধরে চলল বিকল্প প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দেওয়ার রক্তাক্ত অভিযান। এ গল্প সবাই জানে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতাও স্তিমিত হয়ে গেল। গুটিকয় বড় ব্যবসায়ী বা অলিগার্ক সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করল। তারা শুধু ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেল না, পুরো ব্যাংক নিয়ে চলে গেল। লাখো কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নিয়ে একেকজন জাঁকজমকের আন্তর্জাতিক জীবনযাপন শুরু করল। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের দারুণ উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু এটা উন্নয়ন ছিল না, এ ছিল সাধারণ মানুষের আমানত চুরি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “একনজরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কমলার ইতিহাস নাকি ট্রাম্পের রেকর্ড”

কমলা হ্যারিস, নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প- কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? সেটি নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা, মেলানো হচ্ছে নানান সমীকরণ। প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হঠাৎ ছিটকে পড়া, ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলাসহ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নাটকীয় নানান ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

এবারের প্রচারণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা যাচ্ছে।

বেশিরভাগ মানুষের কাছে ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিত হলেও এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা।

ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নজর রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে। কিন্তু ঠিক কখন এবং কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন? কারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন এবং জিততে হলে প্রার্থীদের কত শতাংশ ভোট পেতে হবে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “চাল আমদানি শূন্য, কমেছে গমও”

দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল, দ্বিতীয় গম। বিভিন্ন দেশ থেকে আগে চাল আমদানি হলেও এখন তা শূন্যের কোটায় নেমেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পরও দেশের প্রধান খাদ্যশস্যটি আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) জটিলতায় কমছে গম আমদানিও। বাজারে তাই খাদ্যপণ্য দুটির দাম ঊর্ধ্বমুখী।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট গম আমদানি হয়েছিল ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৮০ টন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৮০ টন ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টন। চলতি অর্থবছরে গত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে কেবল ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টনের মতো। সরকারি পর্যায়ে এ চার মাসে বিশ্ববাজার থেকে গম আনা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮০ টন, আর বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ লাখ ২ হাজার ৫০০ টন। অন্যদিকে এ সময়ে কোনো চালই আমদানি করা হয়নি।

দেশে গমের চাহিদা বছরে ৭০-৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ইউক্রেন থেকে মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪০ শতাংশে নেমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে বিগত কয়েক বছর গম আমদানি অব্যাহতভাবে বাড়লেও ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে তা কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউক্রেন থেকে গম আমদানি হয় মোট ১ হাজার ৬৫৮ মিলিয়ন ডলারের, ২০২১-২২ অর্থবছরে হয়েছিল ২ হাজার ৬৫ মিলিয়ন ডলারের। তার আগের অর্থবছর আনা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫৮ মিলিয়ন ডলারের গম, ২০১৯-২০ অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ৪৯১ মিলিয়ন ডলারের।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম অবহিত হলেন প্রধান উপদেষ্টা”

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশন প্রধানরা। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে কমিশন প্রধানরা নিজ নিজ সেক্টরের কাজের অগ্রগতি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন। বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদারদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে। জনসাধারণের মতামত চেয়ে একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে; যা ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে যেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য যথাযথ প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর কতিপয় ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কিনা সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠকে জানানো হয় প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকার সমন্বয় করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ই সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।