০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে

  • Sarakhon Report
  • ০৮:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 1

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা বিএনপির”

‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসা বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এ বিষয়ে আর বেশি দিন ধৈর্য না ধরার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। তাঁরা আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন। সেটি না হলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে স্থায়ী কমিটির সভার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে কত দিন লাগবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। কোনো ছলচাতুরী করা যাবে না। জনগণ এই সরকারকে দীর্ঘদিন মানবে না। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো কথা বলছে না। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা বলেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা উদ্‌গ্রীব হয়ে পড়েছি। এখন আমরা যদি বলি, আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন।’

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একাধিক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্য এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারও কারও কার্যক্রম নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে দীর্ঘসূত্রতাসহ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে”

দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে। বাড়ানো হয়েছে অভিযানের পরিধি ও সংখ্যা। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জোরদার অভিযান চলছে উত্তরা, টঙ্গী, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরেও অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে। কিছু এলাকায় ব্লক রেইড ও কম্বিং অপারেশন (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন শুরু করে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ ঘটে। কিছু অপেশাদার উচ্চাভিলাষী পুলিশ সদস্য ছাড়া অন্য সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শুরু করায় অভিযানে গতির সঞ্চার হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “গ্যাস-কয়লার সংকট, যোগ হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াটের আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র”

জ্বালানি সংকটে ভুগছে দেশের জ্বীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস বা কয়লার সংস্থান করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থাপিত আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখন উৎপাদনে কার্যক্রম শুরুর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে। এটি উৎপাদনে গেলে দেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট সক্ষমতা দাঁড়াবে ৭ হাজার ৩১২ মেগাওয়াটে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড (আরএনপিএল)। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কমিশনিং ও উৎপাদন শুরুর জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার টন কয়লা মজুদ করেছে। দীর্ঘমেয়াদে কয়লা সরবরাহের জন্য দুই-একদিনের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। আরএনপিএলের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ডিসেম্বরে গ্রিডে সংযুক্ত হলেও এর প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের মার্চে। আগামী জুনের মধ্যে এখান থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় আরএনপিএল। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিপিডিবি বা বিদ্যুৎ বিভাগ চাইলে এবং ব্যাকফিড পাওয়ার সংযোগ পেলে যেকোনো সময় উৎপাদনে যেতে প্রস্তুত তারা।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এমন এক সময় উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠেছে, যখন দেশের আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালানোর মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। গ্যাসের সংকট থাকায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে তিনটি বৃহৎ সক্ষমতার (প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ বিপিডিবির বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া পড়ছে কেন্দ্রগুলোর কাছে। ফলে আরএনপিএলের নতুন কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে বিল পরিশোধে ব্যয় বাড়বে বিপিডিবির। আবার উৎপাদনে রাখা না গেলে এর বড় সক্ষমতার ভাড়া হিসেবেও প্রচুর পরিমাণ অর্থ গুনতে হবে সংস্থাটিকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে”

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সোমবার ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও এর মধ্যদিয়ে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি হলো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা অক্ষুণ্ন রাখার পরিবেশ নিশ্চিতের এ প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখনো সমাজের কোনো কোনো অংশ থেকে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের শীর্ষ কয়েকটি মুদ্রিত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি পত্রিকা তাদের প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদনও করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ্য।
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, কোনো পত্রিকার পরিবেশিত কোনো সংবাদ বা সম্পাদকীয় নীতিমালা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে তিনি লেখালেখির মাধ্যমে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ও বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু এভাবে হুমকি-ধামকির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রয়াস বিগত কাঠামোর জনবিরোধী চর্চারই পুনরাবৃত্তির নামান্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়, এভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা ও পরিবেশকে ব্যাহত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা জানায় সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব জাস্টিস কঠোর হস্তে দমনের আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মুস্তাফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে

০৮:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা বিএনপির”

‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসা বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এ বিষয়ে আর বেশি দিন ধৈর্য না ধরার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। তাঁরা আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন। সেটি না হলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে স্থায়ী কমিটির সভার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে কত দিন লাগবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। কোনো ছলচাতুরী করা যাবে না। জনগণ এই সরকারকে দীর্ঘদিন মানবে না। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো কথা বলছে না। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা বলেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা উদ্‌গ্রীব হয়ে পড়েছি। এখন আমরা যদি বলি, আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন।’

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একাধিক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্য এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারও কারও কার্যক্রম নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে দীর্ঘসূত্রতাসহ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে”

দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে। বাড়ানো হয়েছে অভিযানের পরিধি ও সংখ্যা। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জোরদার অভিযান চলছে উত্তরা, টঙ্গী, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরেও অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে। কিছু এলাকায় ব্লক রেইড ও কম্বিং অপারেশন (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন শুরু করে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ ঘটে। কিছু অপেশাদার উচ্চাভিলাষী পুলিশ সদস্য ছাড়া অন্য সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শুরু করায় অভিযানে গতির সঞ্চার হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “গ্যাস-কয়লার সংকট, যোগ হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াটের আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র”

জ্বালানি সংকটে ভুগছে দেশের জ্বীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস বা কয়লার সংস্থান করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থাপিত আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখন উৎপাদনে কার্যক্রম শুরুর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে। এটি উৎপাদনে গেলে দেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট সক্ষমতা দাঁড়াবে ৭ হাজার ৩১২ মেগাওয়াটে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড (আরএনপিএল)। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কমিশনিং ও উৎপাদন শুরুর জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার টন কয়লা মজুদ করেছে। দীর্ঘমেয়াদে কয়লা সরবরাহের জন্য দুই-একদিনের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। আরএনপিএলের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ডিসেম্বরে গ্রিডে সংযুক্ত হলেও এর প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের মার্চে। আগামী জুনের মধ্যে এখান থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় আরএনপিএল। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিপিডিবি বা বিদ্যুৎ বিভাগ চাইলে এবং ব্যাকফিড পাওয়ার সংযোগ পেলে যেকোনো সময় উৎপাদনে যেতে প্রস্তুত তারা।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এমন এক সময় উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠেছে, যখন দেশের আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালানোর মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। গ্যাসের সংকট থাকায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে তিনটি বৃহৎ সক্ষমতার (প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ বিপিডিবির বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া পড়ছে কেন্দ্রগুলোর কাছে। ফলে আরএনপিএলের নতুন কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে বিল পরিশোধে ব্যয় বাড়বে বিপিডিবির। আবার উৎপাদনে রাখা না গেলে এর বড় সক্ষমতার ভাড়া হিসেবেও প্রচুর পরিমাণ অর্থ গুনতে হবে সংস্থাটিকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে”

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সোমবার ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও এর মধ্যদিয়ে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি হলো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা অক্ষুণ্ন রাখার পরিবেশ নিশ্চিতের এ প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখনো সমাজের কোনো কোনো অংশ থেকে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের শীর্ষ কয়েকটি মুদ্রিত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি পত্রিকা তাদের প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদনও করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ্য।
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, কোনো পত্রিকার পরিবেশিত কোনো সংবাদ বা সম্পাদকীয় নীতিমালা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে তিনি লেখালেখির মাধ্যমে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ও বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু এভাবে হুমকি-ধামকির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রয়াস বিগত কাঠামোর জনবিরোধী চর্চারই পুনরাবৃত্তির নামান্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়, এভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা ও পরিবেশকে ব্যাহত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা জানায় সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব জাস্টিস কঠোর হস্তে দমনের আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মুস্তাফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।