০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%

  • Sarakhon Report
  • ০৯:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 29

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নয়াপল্টন থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আজ শোভাযাত্রা করবে বিএনপি”

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে বিএনপি।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আজ বেলা আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হবে।

এর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৭ নভেম্বর। ৭ নভেম্বর দিনটি বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

কর্মসূচির মধ্যে বড় পরিসরে শোভাযাত্রা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার আসিফ নজরুল”

সুইজারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম বলছে, জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজার‌ল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল।

জানা যায়, উপদেষ্টার গাড়ি জেনেভা বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর বেশ কয়েক মিনিট উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত আসিফ নজরুলকে বিরক্ত করেছেন হেনস্তাকারী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়ে। ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল লোক আসিফ নজরুলকে ঘিরে ধরেছেন। তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%”

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে আরো অবনতি হয়েছে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির। গত মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। আর সেপ্টেম্বরে এ হার খাদ্যপণ্যে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে।

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে আরো অবনতি হয়েছে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির। গত মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। আর সেপ্টেম্বরে এ হার খাদ্যপণ্যে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে পড়ে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে। ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক বিপত্তির প্রভাবে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি জর্জরিত দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠে শ্রীলংকা। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ঠেকে ৭০ শতাংশে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে এ বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে থাকে বৈদেশিক দায় পরিশোধের ব্যর্থতায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করা দেশটি। নিয়ন্ত্রণে চলে আসে মূল্যস্ফীতি। সর্বশেষ গত দুই মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ঋণাত্মক। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ঋণাত্মক দশমিক ৫ শতাংশ। অক্টোবরে দাঁড়ায় ঋণাত্মক দশমিক ৮ শতাংশে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাড়ছে নির্বাচনের চাপ”

দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পূর্ণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ আর সংকটকে সামনে রেখে দায়িত্ব নেয়া নতুন সরকারের ওপর এখন চাপ বাড়ছে নির্বাচনের। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রশ্নে সরকারকে সমর্থন দিলেও তারা চাইছে নির্বাচন এবং সংস্কারের কার্যক্রম একসঙ্গে চালাতে। নির্বাচনী কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে বলে তারা মনে করছে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এই সময়ে নির্বাচনের বিষয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামার বিষয়েও কথা বলেছেন দলটির নেতারা। বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদিও সরকার বলছে, নির্বাচন আয়োজনেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাবের শেষ দিন ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই এই কমিশন গঠন হবে। নতুন কমিশন আসলে নির্বাচনী প্রক্রিয়াও দৃশ্যমান হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, তিন মাস কোনো সরকারের মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। তবে যেহেতু এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচিত নয় তাই তাদের একটি নির্ধারিত রোডম্যাপ থাকা উচিত। যাতে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। দায়িত্ব নেয়ার পর সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে নেয়া উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান হয়নি। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার শুল্ক করসহ নানা খাতে ছাড় দিলেও বাজার পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিদায়ী মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ঘরে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখনো পুরো স্বাভাবিক হয়নি। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা কেউ কেউ সরকারের পরিধি বা উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেও সরকার এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বলা হচ্ছে, একজন উপদেষ্টা একাধিক দপ্তর সামলানোর কারণে শৃঙ্খলা ফেরাতে সময় লাগছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%

০৯:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নয়াপল্টন থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আজ শোভাযাত্রা করবে বিএনপি”

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে বিএনপি।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আজ বেলা আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হবে।

এর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৭ নভেম্বর। ৭ নভেম্বর দিনটি বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

কর্মসূচির মধ্যে বড় পরিসরে শোভাযাত্রা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার আসিফ নজরুল”

সুইজারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম বলছে, জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজার‌ল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল।

জানা যায়, উপদেষ্টার গাড়ি জেনেভা বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর বেশ কয়েক মিনিট উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত আসিফ নজরুলকে বিরক্ত করেছেন হেনস্তাকারী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়ে। ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল লোক আসিফ নজরুলকে ঘিরে ধরেছেন। তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%”

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে আরো অবনতি হয়েছে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির। গত মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। আর সেপ্টেম্বরে এ হার খাদ্যপণ্যে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে।

দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে আরো অবনতি হয়েছে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির। গত মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। আর সেপ্টেম্বরে এ হার খাদ্যপণ্যে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে পড়ে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে। ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক বিপত্তির প্রভাবে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি জর্জরিত দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠে শ্রীলংকা। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ঠেকে ৭০ শতাংশে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে এ বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে থাকে বৈদেশিক দায় পরিশোধের ব্যর্থতায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করা দেশটি। নিয়ন্ত্রণে চলে আসে মূল্যস্ফীতি। সর্বশেষ গত দুই মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ঋণাত্মক। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ঋণাত্মক দশমিক ৫ শতাংশ। অক্টোবরে দাঁড়ায় ঋণাত্মক দশমিক ৮ শতাংশে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাড়ছে নির্বাচনের চাপ”

দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পূর্ণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ আর সংকটকে সামনে রেখে দায়িত্ব নেয়া নতুন সরকারের ওপর এখন চাপ বাড়ছে নির্বাচনের। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রশ্নে সরকারকে সমর্থন দিলেও তারা চাইছে নির্বাচন এবং সংস্কারের কার্যক্রম একসঙ্গে চালাতে। নির্বাচনী কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে বলে তারা মনে করছে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এই সময়ে নির্বাচনের বিষয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামার বিষয়েও কথা বলেছেন দলটির নেতারা। বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদিও সরকার বলছে, নির্বাচন আয়োজনেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাবের শেষ দিন ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই এই কমিশন গঠন হবে। নতুন কমিশন আসলে নির্বাচনী প্রক্রিয়াও দৃশ্যমান হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, তিন মাস কোনো সরকারের মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। তবে যেহেতু এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচিত নয় তাই তাদের একটি নির্ধারিত রোডম্যাপ থাকা উচিত। যাতে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। দায়িত্ব নেয়ার পর সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে নেয়া উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান হয়নি। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার শুল্ক করসহ নানা খাতে ছাড় দিলেও বাজার পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিদায়ী মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ঘরে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখনো পুরো স্বাভাবিক হয়নি। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা কেউ কেউ সরকারের পরিধি বা উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেও সরকার এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বলা হচ্ছে, একজন উপদেষ্টা একাধিক দপ্তর সামলানোর কারণে শৃঙ্খলা ফেরাতে সময় লাগছে।