কৃষি ও কৃষক
চতুর্থ অধ্যায়
উনিশ শতকের শেষের দিকে Statistical Account of Bengal এ নদীয়া অংশে Hunter সাহেব ক্ষেতমজুরদের কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন-
There is a tendency towards the growth of a distinct class of day-labourers neither possessing nor lenting land. These men When employed in agriculture are paid sometimes in money and some times in land but they do not receive any fixed shares of crops. Such workmen are called kishans. Women are seldom employed in agricultural labour but children are engaged to look after Cattle.’ page 71
বিংশ শতাব্দীর সূচনাতে খাদ্যশস্যের দাম বেশ বেড়ে গেল কিন্তু সেই তুলনায় কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল না। যদিও যোগাযোগের অভাবের জন্য খাদ্যশস্যের দামের পার্থক্য ছিল এক এলাকার সঙ্গে অন্য এলাকার এমনুরুী ৪সালে ব্রিফলষ্ঠাকায়ত্ব এম শ্বজুদ্রর বিভিন্ন দাম ছিল। ১৮৬১ সালে ১ মণ চালের দাম ছিল ১ টাকা ১৮৯৫ সালে এক টাকায় ৪ জন মজুর ১৯০৫ সালে এক টাকায় ৪ জন মজুর ১৮৭৫ সালে ২ই-সের চালের দাম ছিল ১ টাকা ১৯০৪ সালে ১৩ সের চালের দাম ছিল ১ টাকা ১৯১৪ সালে ৮ সের চালের দাম ছিল ১ টাকা ১৯১৪ সালে এক টাকায় ৪ জন মজুর(৭) সুতরাং কৃষি মজুরের মজুরি প্রকৃতপক্ষে বাড়েনি কিন্তু খাদ্যশস্যের দাম বেশ বেড়ে গেল। এর ফলে কৃষি মজুররা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন যাপন করত। ফসল বপন করার মরশুম এবং ফসল ঘরে তোলার সময় ছাড়া খেতমজুরদের কোন কাজ থাকত না।
সুন্দরবনের জমিতে ধীরে ধীরে মধ্যসত্ত্বভোগীদের বেশি বেশি উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছিল বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে। জমিদারদের পাশাপাশি তালুকদার, হাওলাদার, গাঁতিদার, লাটদার প্রভৃতিরা এসে জুটেছে- এরা জমিদারদের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে পূর্বের প্রজাদের উচ্ছেদ করেছে এবং এই জমি খাস জমি হিসাবে বাৎসরিক উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক দেবার চুক্তিতে জমি চাষ করাচ্ছে-এই জমি চাষ করার ব্যাপারে ভূমিহীন চাষিরা এগিয়ে এসেছে। এই প্রবণতা বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে লক্ষ করা যাচ্ছিল। জমিচাষের সমস্ত খরচ বর্গাদারের বাংলাদেশের অন্যত্র অনেকসময় এরা জমিমালিকদের কাছ থেকে বীজধান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেত। কিন্তু সুন্দরবন এলাকায় এ ধরনের কোন সাহায্য জমির মালিকরা করত না। কোন ভাবে সাহায্য দিলে তা ঋণ হিসাবে সুদ সমেত ফসল উঠলে জমির মালিক আদায় করে নিত।
১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে দেখা গেছে খাস জমি আছে এমন জমিদারদের জৌলুষ অনেক বেশি প্রজা বিলি হয়ে যাওয়া জমিদারীর তুলনায়। সন্দেশখালি থানার পাশাপাশি দুটি গ্রাম খুলনা ও ঢোলখালি। পি. সি. লাহাদের খুলনার জমিদারি অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও যেহেতু তাঁরা জমি প্রজাবিলি করেছেন তাঁদের নিজস্ব কোন খাস জমি ছিল না সেজন্য তাদের কাছারির জৌলুষ অনেক কম ছিল। অপর দিকে পাশের গ্রাম ঢোলখালি মৌজার জমিদার আব্দুল ছামাদ খাঁ চৌধুরীর ছোট জমিদার হওয়া সত্ত্বেও খাসজমি তাঁদের ছিল বলে বলে তাদের কাছারির জাঁকজমক অনেক বেশি ছিল।
Sarakhon Report 



















