০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

মঞ্চ থেকে সুরের জগতে রেনি র‌্যাপ ও সিনথিয়া এরিভোর যাত্রা

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 60

ব্রায়ান হাইয়াট

ম্যানহাটনের গ্রিনউইচ ভিলেজে ইলেকট্রিক লেডি স্টুডিওতে এক আড্ডায় বসেছিলেন রেনি র‌্যাপ এবং সিনথিয়া এরিভো। কৌশলগত কথোপকথনের শুরুতেই তারা আবিষ্কার করলেন যে দুজনেই মকর রাশির। এই তথ্য তাদের মাঝে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করে, কারণ তারা বহু বছর ধরে একে অপরের কাজের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। এরিভো বলেন, “এখন সব পরিষ্কার! মকর রাশি এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যেখানে একজন মানুষ জানে কী চায় এবং কীসে আপস করবে না।” র‌্যাপ উত্তরে বলেন, “আপনি আসলেই সেরকম। একদম ১০০ শতাংশ।”

এ দুই তারকা যখন আলাপ শুরু করেন, তখন থামানো কঠিন হয়ে যায়। তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা এবং সংগীতের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, এরিভোর আসন্ন সিনেমা উইকড-এর চরিত্র এলফাবা নিয়ে কথা বলেন, যা র‌্যাপের জন্য বেশ উৎসাহজনক।

একটি প্রেরণাদায়ক যাত্রা
র‌্যাপ বলেন, “আমি যখন ১৬ বছর বয়সী, তখন দ্য কালার পার্পল মঞ্চনাটকে আপনাকে প্রথম দেখেছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘তিনি অন্য পর্যায়ের একজন।’ আমি তখনই আপনার উপস্থিতি এবং কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, ‘আসলেই মানুষ এখানে গান করছে।’”

এরিভো বলেন, “আপনার দেখা দ্বিতীয় ব্রডওয়ে শো এটি! তারপরে কবে আপনি ব্রডওয়ে-তে কাজ শুরু করলেন?”

র‌্যাপ জানান, “দুই-তিন বছর পর। তখন আমি সংগীতে মনোযোগ দিচ্ছিলাম এবং স্কুল থেকে বের হয়ে নিউইয়র্কে কাজ করছিলাম। আমার বাবা-মা চাইতেন আমি কলেজে যাই, কিন্তু আমি জানতাম এটি আমার জন্য নয়।”

চ্যালেঞ্জ এবং অঙ্গীকার
র‌্যাপ জানান, তিনি স্কুল ছেড়ে পারফর্মিং আর্টস স্কুলে ভর্তি হন, কারণ তিনি জানতেন যে তিনি সংগীতকেই তার জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেবেন। ব্রডওয়ে-তে তার কাজের অভিজ্ঞতা তাকে সংগীতের প্রতি আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে সাহায্য করেছে।

র‌্যাপ বলেন, “আমি মিন গার্লস-এর জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। এ সময় আমার এজেন্টরা বলেছিল, ‘তুমি খুবই ছোট।’ কিন্তু আমি জানতাম যে এটি একটি সুযোগ, এবং আমি এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সংগীতের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম।”

মঞ্চ থেকে সংগীত জগতে উত্তরণ
এরিভো উল্লেখ করেন, “আমরা প্রায়ই বলতে লজ্জা পাই যে আমি এটি করব এবং এর থেকেও বড় কিছু করতে চাই। কিন্তু বড় কিছু করার মানে এই নয় যে আপনি ফিরে এলে আগের মতোই থাকবেন। আমি দ্য কালার পার্পল মঞ্চে করতে চেয়েছিলাম কারণ এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

র‌্যাপ বলেন, “আমি সবসময় জানতাম যে আমি সংগীত করব। তবে ব্রডওয়ে-তে কাজ আমাকে আমার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেছে।”

উপসংহার
এই আড্ডায় র‌্যাপ এবং এরিভো তাদের স্বপ্ন এবং সংগ্রামের কথা শেয়ার করেছেন। মঞ্চ থেকে সংগীত এবং অভিনয়ে তাদের যাত্রা দেখিয়েছে যে তারা নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা শুধু শিল্পী নন, তারা উদাহরণ, যারা স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পেরেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন

মঞ্চ থেকে সুরের জগতে রেনি র‌্যাপ ও সিনথিয়া এরিভোর যাত্রা

০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ব্রায়ান হাইয়াট

ম্যানহাটনের গ্রিনউইচ ভিলেজে ইলেকট্রিক লেডি স্টুডিওতে এক আড্ডায় বসেছিলেন রেনি র‌্যাপ এবং সিনথিয়া এরিভো। কৌশলগত কথোপকথনের শুরুতেই তারা আবিষ্কার করলেন যে দুজনেই মকর রাশির। এই তথ্য তাদের মাঝে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করে, কারণ তারা বহু বছর ধরে একে অপরের কাজের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। এরিভো বলেন, “এখন সব পরিষ্কার! মকর রাশি এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যেখানে একজন মানুষ জানে কী চায় এবং কীসে আপস করবে না।” র‌্যাপ উত্তরে বলেন, “আপনি আসলেই সেরকম। একদম ১০০ শতাংশ।”

এ দুই তারকা যখন আলাপ শুরু করেন, তখন থামানো কঠিন হয়ে যায়। তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা এবং সংগীতের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, এরিভোর আসন্ন সিনেমা উইকড-এর চরিত্র এলফাবা নিয়ে কথা বলেন, যা র‌্যাপের জন্য বেশ উৎসাহজনক।

একটি প্রেরণাদায়ক যাত্রা
র‌্যাপ বলেন, “আমি যখন ১৬ বছর বয়সী, তখন দ্য কালার পার্পল মঞ্চনাটকে আপনাকে প্রথম দেখেছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘তিনি অন্য পর্যায়ের একজন।’ আমি তখনই আপনার উপস্থিতি এবং কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, ‘আসলেই মানুষ এখানে গান করছে।’”

এরিভো বলেন, “আপনার দেখা দ্বিতীয় ব্রডওয়ে শো এটি! তারপরে কবে আপনি ব্রডওয়ে-তে কাজ শুরু করলেন?”

র‌্যাপ জানান, “দুই-তিন বছর পর। তখন আমি সংগীতে মনোযোগ দিচ্ছিলাম এবং স্কুল থেকে বের হয়ে নিউইয়র্কে কাজ করছিলাম। আমার বাবা-মা চাইতেন আমি কলেজে যাই, কিন্তু আমি জানতাম এটি আমার জন্য নয়।”

চ্যালেঞ্জ এবং অঙ্গীকার
র‌্যাপ জানান, তিনি স্কুল ছেড়ে পারফর্মিং আর্টস স্কুলে ভর্তি হন, কারণ তিনি জানতেন যে তিনি সংগীতকেই তার জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেবেন। ব্রডওয়ে-তে তার কাজের অভিজ্ঞতা তাকে সংগীতের প্রতি আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে সাহায্য করেছে।

র‌্যাপ বলেন, “আমি মিন গার্লস-এর জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। এ সময় আমার এজেন্টরা বলেছিল, ‘তুমি খুবই ছোট।’ কিন্তু আমি জানতাম যে এটি একটি সুযোগ, এবং আমি এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সংগীতের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম।”

মঞ্চ থেকে সংগীত জগতে উত্তরণ
এরিভো উল্লেখ করেন, “আমরা প্রায়ই বলতে লজ্জা পাই যে আমি এটি করব এবং এর থেকেও বড় কিছু করতে চাই। কিন্তু বড় কিছু করার মানে এই নয় যে আপনি ফিরে এলে আগের মতোই থাকবেন। আমি দ্য কালার পার্পল মঞ্চে করতে চেয়েছিলাম কারণ এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

র‌্যাপ বলেন, “আমি সবসময় জানতাম যে আমি সংগীত করব। তবে ব্রডওয়ে-তে কাজ আমাকে আমার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেছে।”

উপসংহার
এই আড্ডায় র‌্যাপ এবং এরিভো তাদের স্বপ্ন এবং সংগ্রামের কথা শেয়ার করেছেন। মঞ্চ থেকে সংগীত এবং অভিনয়ে তাদের যাত্রা দেখিয়েছে যে তারা নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা শুধু শিল্পী নন, তারা উদাহরণ, যারা স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পেরেছেন।