০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ “ওরা করলে, আমরা প্রস্তুত”: পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা ইস্যুতে রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি বেঙ্গালুরুর জেলে আইএস জঙ্গি ও সিরিয়াল ধর্ষকের মোবাইল ব্যবহার ফাঁস, তদন্তে নেমেছে কর্ণাটক সরকার পাকিস্তানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অভূতপূর্ব পদোন্নতি — এখন দেশের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ বর্তমানের সব জাতীয় সংকটই সরকারের সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের সঙ্গে টাকা ও ট্যারিফ বিরোধে আন্তর্জাতিক সালিশিতে আদানি পাওয়ার” ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপর জোর নতুন বেতন কমিশন গঠন করবে পরবর্তী সরকার: সালেহউদ্দিন আহমেদ নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পাঁচ মামলায় জামিন প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিতে সহানুভূতির আহ্বান জানালেন জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পারওয়ার

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৬)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • 62

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ভারতীয় শাস্ত্রাদির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও তার প্রাচীনত্ব

ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে গণিতের উল্লেখ রয়েছে পূর্বেই বলেছি। সুতরাং ভারতীয় শাস্ত্রাদির কিছুটা পরিচয় দেওয়া আবশ্যক।১ ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে বেদ সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। এটি আবার চার ভাগে বিভক্ত। যথা (১) ঋগ্বেদ সংহিতা, (২) সামবেদ সংহিতা, (৩) যজুর্বেদ সংহিতা, (৪) অথর্ববেদ সংহিতা।

সংহিতা রচিত হবার কিছু পরে যাগযজ্ঞ করার জন্য গদ্যে রচিত এক প্রকার বিশাল সাহিত্যের উদ্ভব হয়। সাধারণতঃ এগুলিকে ব্রাহ্মণ্য সাহিত্য বলা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণগুলির মধ্যে ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, সাংখ্যায়ন ব্রাহ্মণ, পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণ, যড়বিংশ ব্রাহ্মণ, গোপথ ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।

ব্রাহ্মণ রচিত হবার পরে এক জাতীয় বিশাল সাহিত্য অরণ্যে রচিত হয়েছিল যার বিবিধ ও বিচিত্র বিষয়বস্তুর মধ্যে বিশ্ব রহস্য অনুসন্ধানের প্রয়াস সূচিত হয়েছিল। এগুলি আরণ্যক নামেই সবিশেষ পরিচিত। ধরতে গেলে আরণ্যক হচ্ছে ব্রাহ্মণের উপসংহার ভাগ। আরণ্যকগুলির মধ্যে ঐতরেয় আরণ্যক, কৌষিতকি আরণ্যক, তৈত্তিরীয় আরণ্যক, বৃহদারণ্যক প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।

আরণ্যকের পর উপনিষদ। বেদের সর্বশেষ ভাগ বা অন্তে রচিত বলে এগুলিকে বেদান্ত নামেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। উপনিষদের সংখ্যা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে। বিদ্যারণ্যস্বামীর মতে উপনিষদ বারোখানি। সেগুলি হচ্ছে-ঐতরেয়, তৈত্তিরীয়, ছান্দোগ্য, মুণ্ডক, প্রশ্ন, কৌষিতকী, মৈত্রায়ণীয়, কঠবল্লী, শ্বেতাশ্বতর, বৃহদারণ্যক, তলবকার, নৃসিংহোত্তর-তাপনীয়।

আবার অনেকে বত্রিশখানি উপনিষদের কথা বলেছেন। সেগুলি হচ্ছে ঐতরেয়, তৈত্তিরীয়, ছান্দোগ্য, কৌষিতকী, কঠ, ব্রহ্ম, শ্বেতাশ্বতর, গর্ভ, নারায়ণ, ব্রহ্মা বা অমৃতবিন্দু, অমৃতনাদ, কালাগ্নিরুদ্র, ফুরিকা, ঈশ, বৃহদারণ্যক, জাবাল, হংস, পরমহংস, সুবাল, মন্দ্রিকা, কেন, ছান্দোগ্য, আরুণি, মৈত্রায়ণী, মৈত্রেয়ী, প্রশ্ন, মৃত্তক, মাণ্ডুক্য অথর্বশিখা, বৃহজ্জাবাল ও নৃসিংহতাপনী।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৬)

১০:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ভারতীয় শাস্ত্রাদির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও তার প্রাচীনত্ব

ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে গণিতের উল্লেখ রয়েছে পূর্বেই বলেছি। সুতরাং ভারতীয় শাস্ত্রাদির কিছুটা পরিচয় দেওয়া আবশ্যক।১ ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে বেদ সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। এটি আবার চার ভাগে বিভক্ত। যথা (১) ঋগ্বেদ সংহিতা, (২) সামবেদ সংহিতা, (৩) যজুর্বেদ সংহিতা, (৪) অথর্ববেদ সংহিতা।

সংহিতা রচিত হবার কিছু পরে যাগযজ্ঞ করার জন্য গদ্যে রচিত এক প্রকার বিশাল সাহিত্যের উদ্ভব হয়। সাধারণতঃ এগুলিকে ব্রাহ্মণ্য সাহিত্য বলা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণগুলির মধ্যে ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, সাংখ্যায়ন ব্রাহ্মণ, পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণ, যড়বিংশ ব্রাহ্মণ, গোপথ ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।

ব্রাহ্মণ রচিত হবার পরে এক জাতীয় বিশাল সাহিত্য অরণ্যে রচিত হয়েছিল যার বিবিধ ও বিচিত্র বিষয়বস্তুর মধ্যে বিশ্ব রহস্য অনুসন্ধানের প্রয়াস সূচিত হয়েছিল। এগুলি আরণ্যক নামেই সবিশেষ পরিচিত। ধরতে গেলে আরণ্যক হচ্ছে ব্রাহ্মণের উপসংহার ভাগ। আরণ্যকগুলির মধ্যে ঐতরেয় আরণ্যক, কৌষিতকি আরণ্যক, তৈত্তিরীয় আরণ্যক, বৃহদারণ্যক প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।

আরণ্যকের পর উপনিষদ। বেদের সর্বশেষ ভাগ বা অন্তে রচিত বলে এগুলিকে বেদান্ত নামেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। উপনিষদের সংখ্যা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে। বিদ্যারণ্যস্বামীর মতে উপনিষদ বারোখানি। সেগুলি হচ্ছে-ঐতরেয়, তৈত্তিরীয়, ছান্দোগ্য, মুণ্ডক, প্রশ্ন, কৌষিতকী, মৈত্রায়ণীয়, কঠবল্লী, শ্বেতাশ্বতর, বৃহদারণ্যক, তলবকার, নৃসিংহোত্তর-তাপনীয়।

আবার অনেকে বত্রিশখানি উপনিষদের কথা বলেছেন। সেগুলি হচ্ছে ঐতরেয়, তৈত্তিরীয়, ছান্দোগ্য, কৌষিতকী, কঠ, ব্রহ্ম, শ্বেতাশ্বতর, গর্ভ, নারায়ণ, ব্রহ্মা বা অমৃতবিন্দু, অমৃতনাদ, কালাগ্নিরুদ্র, ফুরিকা, ঈশ, বৃহদারণ্যক, জাবাল, হংস, পরমহংস, সুবাল, মন্দ্রিকা, কেন, ছান্দোগ্য, আরুণি, মৈত্রায়ণী, মৈত্রেয়ী, প্রশ্ন, মৃত্তক, মাণ্ডুক্য অথর্বশিখা, বৃহজ্জাবাল ও নৃসিংহতাপনী।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৫)