০৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে ইরানে চীনা বিনিয়োগ অনিশ্চিত, তবু মধ্যপ্রাচ্যের আহ্বান অটুট

বাংলার শাক ( পর্ব-২)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • 11

কলমী শাক
Ipomoea aquatica (Convolvulaceae)

কলমী শাক সবসময় পাওয়া যায়। নিজে থেকে জলা জমিতে ও সিঞ্চিত জমিতে জন্মায়। লতানে গাছ। আজকাল একটি প্রজাতির চাষও করা হয়, সেক্ষেত্রে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ লাগাতে হবে। লতার টুকরো কেটে বর্ষাকালে লাগানো যায়। বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।বাংলাদেশের মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় চাষ হচ্ছে কলমিশাক। আগে খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অযত্নে আর অবহেলায় কলমিশাক জন্মাত।

কলমী শাক ভেজে ও ঝোল করে খাওয়া যায়। এই শাকের ঝোল প্রসূতি মায়েদের স্তনে দুধ বাড়াতে পারে। হিষ্টিরিয়া ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এর রস ৪ চামচ করে দিনে ২/৩ বার পান করালে উপকার পাওয়া যাবে। বসন্ত রোগের প্রথমেই এর রস পান করলে বসন্তের গুটিগুলি বের করে দেয় এবং এই রোগের বিষ নষ্ট করে দেয় ফলে প্রাণহানির ভয় কেটে যায়।

ফোঁড়া পাকাতে কলমী পাতার রস পান করতে হয়। ফোঁড়া পাকার পর এই শাক খাওয়া বারণ, কারণ এতে পুঁজ বেড়ে যায়। স্ত্রীলোকের সাধারণ শারীরিক দূর্বলতায় বিশেষ উপকারি। আফিং ও আর্সেনিক বিষের প্রতিষেধক। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত জলা জমির কলমী শাকে নানা রোগ হয় সেজন্য ঐসময় খাওয়া নিষেধ। এই শাক সবসময় টাটকা তুলে খাওয়া উচিত।

(চলবে)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩)

বাংলার শাক ( পর্ব-২)

০৪:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কলমী শাক
Ipomoea aquatica (Convolvulaceae)

কলমী শাক সবসময় পাওয়া যায়। নিজে থেকে জলা জমিতে ও সিঞ্চিত জমিতে জন্মায়। লতানে গাছ। আজকাল একটি প্রজাতির চাষও করা হয়, সেক্ষেত্রে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ লাগাতে হবে। লতার টুকরো কেটে বর্ষাকালে লাগানো যায়। বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।বাংলাদেশের মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় চাষ হচ্ছে কলমিশাক। আগে খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অযত্নে আর অবহেলায় কলমিশাক জন্মাত।

কলমী শাক ভেজে ও ঝোল করে খাওয়া যায়। এই শাকের ঝোল প্রসূতি মায়েদের স্তনে দুধ বাড়াতে পারে। হিষ্টিরিয়া ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এর রস ৪ চামচ করে দিনে ২/৩ বার পান করালে উপকার পাওয়া যাবে। বসন্ত রোগের প্রথমেই এর রস পান করলে বসন্তের গুটিগুলি বের করে দেয় এবং এই রোগের বিষ নষ্ট করে দেয় ফলে প্রাণহানির ভয় কেটে যায়।

ফোঁড়া পাকাতে কলমী পাতার রস পান করতে হয়। ফোঁড়া পাকার পর এই শাক খাওয়া বারণ, কারণ এতে পুঁজ বেড়ে যায়। স্ত্রীলোকের সাধারণ শারীরিক দূর্বলতায় বিশেষ উপকারি। আফিং ও আর্সেনিক বিষের প্রতিষেধক। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত জলা জমির কলমী শাকে নানা রোগ হয় সেজন্য ঐসময় খাওয়া নিষেধ। এই শাক সবসময় টাটকা তুলে খাওয়া উচিত।

(চলবে)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)