১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

বাংলার শাক ( পর্ব-২)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • 25

কলমী শাক
Ipomoea aquatica (Convolvulaceae)

কলমী শাক সবসময় পাওয়া যায়। নিজে থেকে জলা জমিতে ও সিঞ্চিত জমিতে জন্মায়। লতানে গাছ। আজকাল একটি প্রজাতির চাষও করা হয়, সেক্ষেত্রে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ লাগাতে হবে। লতার টুকরো কেটে বর্ষাকালে লাগানো যায়। বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।বাংলাদেশের মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় চাষ হচ্ছে কলমিশাক। আগে খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অযত্নে আর অবহেলায় কলমিশাক জন্মাত।

কলমী শাক ভেজে ও ঝোল করে খাওয়া যায়। এই শাকের ঝোল প্রসূতি মায়েদের স্তনে দুধ বাড়াতে পারে। হিষ্টিরিয়া ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এর রস ৪ চামচ করে দিনে ২/৩ বার পান করালে উপকার পাওয়া যাবে। বসন্ত রোগের প্রথমেই এর রস পান করলে বসন্তের গুটিগুলি বের করে দেয় এবং এই রোগের বিষ নষ্ট করে দেয় ফলে প্রাণহানির ভয় কেটে যায়।

ফোঁড়া পাকাতে কলমী পাতার রস পান করতে হয়। ফোঁড়া পাকার পর এই শাক খাওয়া বারণ, কারণ এতে পুঁজ বেড়ে যায়। স্ত্রীলোকের সাধারণ শারীরিক দূর্বলতায় বিশেষ উপকারি। আফিং ও আর্সেনিক বিষের প্রতিষেধক। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত জলা জমির কলমী শাকে নানা রোগ হয় সেজন্য ঐসময় খাওয়া নিষেধ। এই শাক সবসময় টাটকা তুলে খাওয়া উচিত।

(চলবে)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

বাংলার শাক ( পর্ব-২)

০৪:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কলমী শাক
Ipomoea aquatica (Convolvulaceae)

কলমী শাক সবসময় পাওয়া যায়। নিজে থেকে জলা জমিতে ও সিঞ্চিত জমিতে জন্মায়। লতানে গাছ। আজকাল একটি প্রজাতির চাষও করা হয়, সেক্ষেত্রে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ লাগাতে হবে। লতার টুকরো কেটে বর্ষাকালে লাগানো যায়। বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।বাংলাদেশের মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় চাষ হচ্ছে কলমিশাক। আগে খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অযত্নে আর অবহেলায় কলমিশাক জন্মাত।

কলমী শাক ভেজে ও ঝোল করে খাওয়া যায়। এই শাকের ঝোল প্রসূতি মায়েদের স্তনে দুধ বাড়াতে পারে। হিষ্টিরিয়া ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এর রস ৪ চামচ করে দিনে ২/৩ বার পান করালে উপকার পাওয়া যাবে। বসন্ত রোগের প্রথমেই এর রস পান করলে বসন্তের গুটিগুলি বের করে দেয় এবং এই রোগের বিষ নষ্ট করে দেয় ফলে প্রাণহানির ভয় কেটে যায়।

ফোঁড়া পাকাতে কলমী পাতার রস পান করতে হয়। ফোঁড়া পাকার পর এই শাক খাওয়া বারণ, কারণ এতে পুঁজ বেড়ে যায়। স্ত্রীলোকের সাধারণ শারীরিক দূর্বলতায় বিশেষ উপকারি। আফিং ও আর্সেনিক বিষের প্রতিষেধক। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত জলা জমির কলমী শাকে নানা রোগ হয় সেজন্য ঐসময় খাওয়া নিষেধ। এই শাক সবসময় টাটকা তুলে খাওয়া উচিত।

(চলবে)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)