০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টুডিও অধিগ্রহণে রাজ্যের বাধা হলিউডে নতুন অনিশ্চয়তা সমুদ্রের ভাসমান শহরে খাবারের মহাযজ্ঞ: ক্রুজ জাহাজে রান্নার বিশাল চ্যালেঞ্জ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৩) রাজ্য বনাম কর্পোরেট শক্তি: হলিউডের পরের মহামার্জার কি আটকে দেবে অঙ্গরাজ্যগুলো আমেরিকা বড় হওয়ার গল্পে এক শিশু আর দুই অভিযাত্রীর অদৃশ্য শক্তি মার্কিন এপস্টেইন নথি প্রকাশে ক্লিনটনের নাম বেশি, ট্রাম্পের উল্লেখ সামান্য নির্বাচন সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিন বাহিনীর প্রধান শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু রোববার, সি ইউনিট দিয়ে সূচনা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বন্ধের দাবি রাকসু ভিপির

বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির জীবনাবসান

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 76

১১২ বছর বয়সি জন টিনিসউড দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী

১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি জন টিনিসউড। ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করা জন টিনিসউড দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুটি বৈশ্বিক মহামারির সাক্ষী ছিলেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টে মৃত্যু বরণ করেন বলে তার পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। কয়েকমাস আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জনের পরিবার জানায়, “জনের অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি বুদ্ধিমান, সাহসী, যে কোনো সংকটে শান্ত, গণিতে প্রতিভাবান এবং একজন দুর্দান্ত আলোচনাকারী ছিলেন।”

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জন টিনিসউড তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সঙ্গে একটি নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। যুদ্ধের সময় জন ‘রয়্যাল আর্মি পে কর্পস’-এ  দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রয়্যাল আর্মি পে কর্পস মূলত সৈন্যদের বেতনভাতা ও খাদ্য সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।

জন টিনিসউড এক কন্যা, চার নাতি-নাতনি এবং তিন প্রপৌত্র রেখে গেছেন। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয়ার আগে তেল শিল্পে হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তার স্ত্রী ব্লডওয়েন মারা যান।

১০০ থেকে ১১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর প্রয়াত রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে জন্মদিনের কার্ড উপহার পেতেন। ২০২২ সালে মারা যাওয়া রানী এলিজাবেথ জন টিনিসউডের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। দৈনন্দিন খবরের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং নিজের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও নিজেই করতেন, যা সম্ভবত তার দীর্ঘায়ুতে অবদান রেখেছিল।

চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস যখন তাকে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষের খেতাব প্রদান করে, তখন টিনিসউড বলেছিলেন, তাঁর দীর্ঘায়ু হওয়ার কোনো বড় রহস্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এটি “শুধুই ভাগ্য”।

সে সময় জন টিনিসউড বলেন, “আপনি দীর্ঘায়ু হন, অথবা আপনি স্বল্পায়ু হন- এ বিষয়ে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না।”

ডিডাব্লিউ ডটকম

জনপ্রিয় সংবাদ

স্টুডিও অধিগ্রহণে রাজ্যের বাধা হলিউডে নতুন অনিশ্চয়তা

বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির জীবনাবসান

০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি জন টিনিসউড। ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করা জন টিনিসউড দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুটি বৈশ্বিক মহামারির সাক্ষী ছিলেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টে মৃত্যু বরণ করেন বলে তার পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। কয়েকমাস আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জনের পরিবার জানায়, “জনের অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি বুদ্ধিমান, সাহসী, যে কোনো সংকটে শান্ত, গণিতে প্রতিভাবান এবং একজন দুর্দান্ত আলোচনাকারী ছিলেন।”

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জন টিনিসউড তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সঙ্গে একটি নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। যুদ্ধের সময় জন ‘রয়্যাল আর্মি পে কর্পস’-এ  দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রয়্যাল আর্মি পে কর্পস মূলত সৈন্যদের বেতনভাতা ও খাদ্য সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।

জন টিনিসউড এক কন্যা, চার নাতি-নাতনি এবং তিন প্রপৌত্র রেখে গেছেন। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয়ার আগে তেল শিল্পে হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তার স্ত্রী ব্লডওয়েন মারা যান।

১০০ থেকে ১১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর প্রয়াত রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে জন্মদিনের কার্ড উপহার পেতেন। ২০২২ সালে মারা যাওয়া রানী এলিজাবেথ জন টিনিসউডের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। দৈনন্দিন খবরের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং নিজের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও নিজেই করতেন, যা সম্ভবত তার দীর্ঘায়ুতে অবদান রেখেছিল।

চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস যখন তাকে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষের খেতাব প্রদান করে, তখন টিনিসউড বলেছিলেন, তাঁর দীর্ঘায়ু হওয়ার কোনো বড় রহস্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এটি “শুধুই ভাগ্য”।

সে সময় জন টিনিসউড বলেন, “আপনি দীর্ঘায়ু হন, অথবা আপনি স্বল্পায়ু হন- এ বিষয়ে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না।”

ডিডাব্লিউ ডটকম