০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন”

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 67

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকাদের ধর্ম, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি

ইনকা সমাজের জীবনযাত্রার ওপর ধর্মের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তারা বিশ্বাস করত সমস্ত দেবতার উৎস হল সেই অমর, অব্যয়, অক্ষয়, অগোচর, অদৃশ্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যার নাম বা অন্য শব্দে সূর্যদেবতা। ইনকারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে খারাপ বা পাপ কর্মের একদিন পরাজয় ঘটবেই। এই ব্যাপারে জাদুকর গণৎকারদের উপর নির্ভরতা জি খুব বেশি।

এই ওঝা বা জাদুকররা সাধারণত মানুষদের আত্মার কুফল থেকে রক্ষা করবে এই ধারণা ছিল প্রত্যেক ইনকার। তারা একথাও বিশ্বাস করত যে সমাজের মধ্যে দেবতারা পুনরায় ফিরে ফিরে আসে। এই অবতারদের আর্শীবাদেই তারা চুলকাটা, নখকাটা এবং দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেত। ধর্মীয় এবং সামাজিক মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল ছিল। দুর্গ যাকে বলা হত ‘সাকসাহুয়ামান’।

এই দুর্গনগর ছিল কুজকো (Cuzco) শহরে। এই নগরগুলিকে তারা বলত পৃথিবীর গচ্ছিত থাকত সোনারূপার নানা অলংকার। ইনকাদের পবিত্র সম্পদের নাম হল মিতা (Mita)। এই ধরনের সোনা গয়না তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকত সাধারণ মানুষ এবং এই কাজে বছরের কম বেশি ৬৫ দিন লাগত। বছরে বাকি সময় তারা মন্দিরের নানা কাজ, সেতু, পথ ঘাট তৈরি এবং খনি থেকে সোনা রূপো খুঁজে বার করার কাজে ব্যস্ত রাখত নিজেদের। এই কাজটি অনেকটা রবীন্দ্রনাথের রক্ত করবীর খনির শ্রমিকদের দুঃসহ অবস্থাকে মনে করিয়ে দেয়।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৮)

০৬:০২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকাদের ধর্ম, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি

ইনকা সমাজের জীবনযাত্রার ওপর ধর্মের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তারা বিশ্বাস করত সমস্ত দেবতার উৎস হল সেই অমর, অব্যয়, অক্ষয়, অগোচর, অদৃশ্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যার নাম বা অন্য শব্দে সূর্যদেবতা। ইনকারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে খারাপ বা পাপ কর্মের একদিন পরাজয় ঘটবেই। এই ব্যাপারে জাদুকর গণৎকারদের উপর নির্ভরতা জি খুব বেশি।

এই ওঝা বা জাদুকররা সাধারণত মানুষদের আত্মার কুফল থেকে রক্ষা করবে এই ধারণা ছিল প্রত্যেক ইনকার। তারা একথাও বিশ্বাস করত যে সমাজের মধ্যে দেবতারা পুনরায় ফিরে ফিরে আসে। এই অবতারদের আর্শীবাদেই তারা চুলকাটা, নখকাটা এবং দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেত। ধর্মীয় এবং সামাজিক মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল ছিল। দুর্গ যাকে বলা হত ‘সাকসাহুয়ামান’।

এই দুর্গনগর ছিল কুজকো (Cuzco) শহরে। এই নগরগুলিকে তারা বলত পৃথিবীর গচ্ছিত থাকত সোনারূপার নানা অলংকার। ইনকাদের পবিত্র সম্পদের নাম হল মিতা (Mita)। এই ধরনের সোনা গয়না তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকত সাধারণ মানুষ এবং এই কাজে বছরের কম বেশি ৬৫ দিন লাগত। বছরে বাকি সময় তারা মন্দিরের নানা কাজ, সেতু, পথ ঘাট তৈরি এবং খনি থেকে সোনা রূপো খুঁজে বার করার কাজে ব্যস্ত রাখত নিজেদের। এই কাজটি অনেকটা রবীন্দ্রনাথের রক্ত করবীর খনির শ্রমিকদের দুঃসহ অবস্থাকে মনে করিয়ে দেয়।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭)