ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
ইনকাদের ধর্ম, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি
ইনকা সমাজের জীবনযাত্রার ওপর ধর্মের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তারা বিশ্বাস করত সমস্ত দেবতার উৎস হল সেই অমর, অব্যয়, অক্ষয়, অগোচর, অদৃশ্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যার নাম বা অন্য শব্দে সূর্যদেবতা। ইনকারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে খারাপ বা পাপ কর্মের একদিন পরাজয় ঘটবেই। এই ব্যাপারে জাদুকর গণৎকারদের উপর নির্ভরতা জি খুব বেশি।

এই ওঝা বা জাদুকররা সাধারণত মানুষদের আত্মার কুফল থেকে রক্ষা করবে এই ধারণা ছিল প্রত্যেক ইনকার। তারা একথাও বিশ্বাস করত যে সমাজের মধ্যে দেবতারা পুনরায় ফিরে ফিরে আসে। এই অবতারদের আর্শীবাদেই তারা চুলকাটা, নখকাটা এবং দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেত। ধর্মীয় এবং সামাজিক মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল ছিল। দুর্গ যাকে বলা হত ‘সাকসাহুয়ামান’।
এই দুর্গনগর ছিল কুজকো (Cuzco) শহরে। এই নগরগুলিকে তারা বলত পৃথিবীর গচ্ছিত থাকত সোনারূপার নানা অলংকার। ইনকাদের পবিত্র সম্পদের নাম হল মিতা (Mita)। এই ধরনের সোনা গয়না তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকত সাধারণ মানুষ এবং এই কাজে বছরের কম বেশি ৬৫ দিন লাগত। বছরে বাকি সময় তারা মন্দিরের নানা কাজ, সেতু, পথ ঘাট তৈরি এবং খনি থেকে সোনা রূপো খুঁজে বার করার কাজে ব্যস্ত রাখত নিজেদের। এই কাজটি অনেকটা রবীন্দ্রনাথের রক্ত করবীর খনির শ্রমিকদের দুঃসহ অবস্থাকে মনে করিয়ে দেয়।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















