০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২১)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 63

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য ও শ্রীবরাচার্যের বিবৃত অংকস্থানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। শ্রীধরাচার্য যে সংখ্যাদ্বয়কে মহাসরোজ ও সরিপতি বলেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য সেই সংখ্যাদুটিকে মহাপদ্ম এবং জলধি বলেছেন।

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন অংকস্থানের নামকরণ নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার দেখা যাক ভাষায় কি করে সংখ্যাগুলি ভারতীয়রা প্রকাশ করতেন। লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে এক, ছি, ত্রি, চতুঃ, পঞ্চ, ঘট, সপ্ত, অষ্ট, নব সংখ্যাগুলির সাহায্যে বেশ কিছু সংখ্যাকে কখনও বিয়োগাত্মক রীতিতে আবার কখনও গুণাত্মক পদ্ধতির প্রকাশ করা হোত। উদাহরণস্বরূপ তৈত্তিরীয় সংহিতায় উল্লিখিত ১৯ সংখ্যার কথা আমরা বলতে পারি।

এখানে ১৯’কে একন বিংশতি বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯-২০-১ (বিয়োগাত্মক পদ্ধতি) ঋগ্বেদে ৩৩৩১কে বলা হয়েছে তিনি শতানি ত্রিসহস্রানি ত্রিংশ নব। গণিতসার সংগ্রহে বলা হয়েছে ১৩৯ চত্বারিংশ একোন যটধিক ৪+১০০-১; আর্যভট আর্যভটীয়াত ১৮’কে দ্বিনব বলে উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ ১৮-২০ ১এখানে গুণাত্মক পদ্ধতি অনুযায়ী সংখ্যাটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

গণিতসারসংগ্রহের প্রথম অধ্যায়ে ২৮৪৮৩ সংখ্যাটিকে বলা হয়েছে অশীর্তিমিশ্রানি চতুংশতানি চতুশশতানি চতুল্লহস্রমনগান্বিতানি অর্থাৎ ২৮৪৮৩-৮৩+৪০০ + (৪০০৭)। গণিতসার সংগ্রহে ১২৩৪৫৬৫৪৩২১ সংখ্যাটিকে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ভাবে নামকরণ করা হয়েছে। এটিকে বলা হয়েছে একদিষড়- স্তানি ক্রমেন হীনানী। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সংখ্যার নামকরণ করতে গিয়ে সংখ্যার উত্থান ও পতন ঘটিয়ে বলা হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২০)

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২১)

০৭:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য ও শ্রীবরাচার্যের বিবৃত অংকস্থানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। শ্রীধরাচার্য যে সংখ্যাদ্বয়কে মহাসরোজ ও সরিপতি বলেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য সেই সংখ্যাদুটিকে মহাপদ্ম এবং জলধি বলেছেন।

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন অংকস্থানের নামকরণ নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার দেখা যাক ভাষায় কি করে সংখ্যাগুলি ভারতীয়রা প্রকাশ করতেন। লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে এক, ছি, ত্রি, চতুঃ, পঞ্চ, ঘট, সপ্ত, অষ্ট, নব সংখ্যাগুলির সাহায্যে বেশ কিছু সংখ্যাকে কখনও বিয়োগাত্মক রীতিতে আবার কখনও গুণাত্মক পদ্ধতির প্রকাশ করা হোত। উদাহরণস্বরূপ তৈত্তিরীয় সংহিতায় উল্লিখিত ১৯ সংখ্যার কথা আমরা বলতে পারি।

এখানে ১৯’কে একন বিংশতি বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯-২০-১ (বিয়োগাত্মক পদ্ধতি) ঋগ্বেদে ৩৩৩১কে বলা হয়েছে তিনি শতানি ত্রিসহস্রানি ত্রিংশ নব। গণিতসার সংগ্রহে বলা হয়েছে ১৩৯ চত্বারিংশ একোন যটধিক ৪+১০০-১; আর্যভট আর্যভটীয়াত ১৮’কে দ্বিনব বলে উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ ১৮-২০ ১এখানে গুণাত্মক পদ্ধতি অনুযায়ী সংখ্যাটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

গণিতসারসংগ্রহের প্রথম অধ্যায়ে ২৮৪৮৩ সংখ্যাটিকে বলা হয়েছে অশীর্তিমিশ্রানি চতুংশতানি চতুশশতানি চতুল্লহস্রমনগান্বিতানি অর্থাৎ ২৮৪৮৩-৮৩+৪০০ + (৪০০৭)। গণিতসার সংগ্রহে ১২৩৪৫৬৫৪৩২১ সংখ্যাটিকে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ভাবে নামকরণ করা হয়েছে। এটিকে বলা হয়েছে একদিষড়- স্তানি ক্রমেন হীনানী। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সংখ্যার নামকরণ করতে গিয়ে সংখ্যার উত্থান ও পতন ঘটিয়ে বলা হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২০)