ম্যাকসিম গোর্কী
সাতাশ
মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে কঠিন কঠিন প্রশ্ন শুধাতে তিনি ভালো বাসতেন:
তুমি নিজের সম্বন্ধে কি ভাবো?
তুমি কি তোমার স্ত্রীকে ভালোবাসো?
আমার ছেলে লিওর মধ্যে কোনো ক্ষমতা আছে মনে করো?
সোফী আন্দ্রেইয়েভনাকে তোমার কেমন লাগে?
একবার তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা ক’রে বসলেন: আচ্ছা, আলেস্কি ম্যাক্সিমোভিচ, আমাকে কি তোমার খুব ভালো লাগে?
এগুলি হোলো কোনো “বোগাটিরেরা দুষ্টামি: দুরন্ত ভাস্কা রুশলাইয়েভ-ও ছোট বেলায় এমনি সব দুরন্তপনা করতেন। টলস্টয় সর্বদা পরীক্ষা করছেন, পর্যবেক্ষণ করছেন, যেন কোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ব্যাপারটির মধ্যে মজা আছে, কিন্তু আমার ভালো লাগে না। তিনি শয়তান, আমি শিশু; তাই আমাকে তাঁর রেহাই দেওয়াই উচিত।
আটাশ
সম্ভবত চাষী বলতে তিনি বুঝতেন-কেবল দুর্গন্ধ আর এই তৃর্গন্ধটা তিনি সর্বদাই অনুভব করতেন, তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ সম্বন্ধে তাঁকে আলাপ করতে হোতো।
গত রাত্রিতে আমি জেনারেল কর্ণেটের স্ত্রীর সংগে আমার দ্বন্দ্ব-যুদ্ধের কাহিনীটা তাঁকে বলেছিলাম। তিনি হো হো ক’রে হেসে উঠলেন। হাসতে হাসতে তাঁর চোখে জল এসে গেল, পাঁজরে খিল ধরলো। তিনি গোঁগাতে লাগলেন, এবং তারই ফাঁকে ফাঁকে ব’লে উঠতে লাগলেন:
“চাটু দিয়ে? চাটু দিয়ে পাছায়? এ্যা? ঠিক একেবারে পাছার তলায়। চাটুটা কিসের ছিল, কাঠের?”
তারপর একটু থেমে গম্ভীরভাবে বললেন, “ওই ভাবে মেয়েটাকে মেরে তুমি কিন্তু খুব মহানুভবতা দেখিয়েছ। অন্য কেউ হ’লে একেবারে সোজা মাথায় মেরে বসতো! সত্যি, খুব মহানুভবতা! তুমি কি তখন বুঝেছিলে যে মেয়েটা তোমাকে পেতে চেয়েছিল?”