ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়েকটি সামাজিক আচার
নবজাতকের নামকরণ: ইনকাদের মধ্যে রীতি, আচার এর প্রসার কেবল পারিবারিক জীবনেই সীমিত নয়। সামাজিক জীবনযাত্রাকেও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রভাবিত রীতি আচার অন্য মাত্রা দেয়। এরকমই এক সামাজিক আচার গড়ে উঠেছে নবজাতক-এর নামকরণকে কেন্দ্র করে। বাড়িতে শিশুর জন্মের কয়েকদিন পর নবজাতকের বড় কাকা শিশুটির নখ ও চুল কেটে দেন এবং তা যত্ন করে রেখে দেন।
এরপর তিনি শিশুটির একটি নাম দেন এবং এই নাম সাবালক হওয়া পর্যন্ত থাকে। নবজাতকের আত্মীয়রা এই নামকরণের অনুষ্ঠান দেখতে আসেন এবং সূর্যদেবতার কাছে শিশুর দীর্ঘ জীবন এবং মঙ্গল কামনা করেন। এই ধরনের সামাজিক আচার হিন্দু ধর্মেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে শিশুর জন্মের ছয়দিন পর এই অনুষ্ঠান পালন করার রীতি লক্ষ্য করা যায়।

মেয়েদের প্রথম ঋতুমতী হওয়ার সময় আচার পালন: ইনকাদের মধ্যে মেয়েদের সামাজিক মর্যাদাও উঁচুমানের। মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের এক বিশেষ স্তর হল প্রথম ঋতু হওয়ার ঘটনা। এই ঘটনাকে পরিবার ও সমাজের জন্য মঙ্গলময় বলেই ভাবা হয়। কোন মেয়ে প্রথম ঋতুময়ী হবার পর প্রথম তিনদিন উপোস করে এবং এই কয়দিন বাড়ির বাইরে যায় না। খুব পরিষ্কার এবং পবিত্র মন নিয়ে থাকে।
উপবাসের তৃতীয়দিন একটি আচার পালনের সময় আসে। ঐ দিন ঐ মেয়েটি অল্প একটু কাঁচা ভুট্টা খায়। এর পরের দিন অর্থাৎ চতুর্থ দিন মেয়েটির শরীর পবিত্র জল দিয়ে শোধন করে দেন তার মা। এরপর মেয়েটি নতুন শাড়ি এবং সাদা চটি পরে সমবেত আত্মীয়-স্বজনকে স্বাগত জানায়।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















