০২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার মার্কিন আদালতের নির্দেশ মানার আহ্বান ভেনেজুয়েলানদের, এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফেরত বন্দিদের আইনি লড়াই নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সহযোগিতা, একক মার্কিন সামরিক হুমকি এড়াল আবুজা চীনের নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা, তাইওয়ান অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর চাপ রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ, সক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কি, ভূমি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতার ইঙ্গিত সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ চীনা যুদ্ধবিমানের প্রধান ক্রেতা হিসেবে পাকিস্তানের উত্থান, পেন্টাগনের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানে সৌর বিদ্যুতের উত্থান, নারীরা কি কেবল দর্শক

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -১৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 76

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

নানা দিক থেকে চওড়া চওড়া সব রাস্তা বেয়ে আশপাশের গাঁ থেকে চাষীরা দলে দলে কামেন্কার মাঠে এসে পৌঁছচ্ছিলেন। সভার কাজ তখনও শুরু হয় নি, কিন্তু দূর থেকেই একটা জমাট চিৎকার আর হৈ-হল্লা কানে আসছিল।

ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ আবিষ্কার করলুম ফেষ্কাকে। ও আগুপিছু ঘুরে ঘুরে লোকদের হাতে ইস্তাহার গুঁজে দিচ্ছিল। আমায় দেখে দৌড়ে কাছে এল।

ওহো, তুইও এসে গেছিস! হেট-হেট, আজ ব্যাপারটা যা জমবে না। এই নে, এই গোছাটা ধর্ দেখি। দে তো সবার মধ্যে বিলি করে।’

ডজনখানেক ইস্তাহার আমার হাতে গছিয়ে দিল ও। তার মধ্যে একখানা খুলে দেখি, ‘এস-আর’-রা তাতে যুদ্ধকে জয়যুক্ত করতে আর রণক্ষেত্র ছেড়ে না-পালাতে আবেদন জানাচ্ছে। দেখেই সঙ্গে সঙ্গে ইস্তাহারগুলো ফিরিয়ে দিলুম।

‘না, ফেদকা, এ-ইস্তাহার আমি বিলি করতে পারব না। ইচ্ছে হলে তুই নিজে বিলি কর।’

ফেদ্দুকা ঘেন্নায় থুথু ফেলল।

বলল, ‘তুই একটা গাধা। ওদের সঙ্গে আছিস নাকি রে তুই?’ বলে দাঁড়কাক আর বাস্স্কাকভের দিকে মাথার ভঙ্গি করে দেখাল। ‘বাঃ, তোর বেশ উন্নতি হয়েছে দেখছি। আর আমি কিনা তোর ওপর নির্ভর করেছিলুম!’

তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে কাঁধে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ফেক্কা ভিড়ে মিশে গেল।

‘ওহ, উনি আমার ওপর নির্ভর করেছিলেন,’ বাঁকা হেসে আমি নিজের মনে বললুম, ‘যেন আমি নিজেই মাথা খাটাতে পারি না!’

‘অ্যাঃ, জয়যুক্ত করতি হবে…’ পাশেই কাকে যেন চাপা গলায় বলতে শুনলুম।

ফিরে তাকিয়ে দেখলুম, খালি পায়ে আর খালি মাথায় একজন কৃষক দাঁড়িয়ে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -১৩)

০৭:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

নানা দিক থেকে চওড়া চওড়া সব রাস্তা বেয়ে আশপাশের গাঁ থেকে চাষীরা দলে দলে কামেন্কার মাঠে এসে পৌঁছচ্ছিলেন। সভার কাজ তখনও শুরু হয় নি, কিন্তু দূর থেকেই একটা জমাট চিৎকার আর হৈ-হল্লা কানে আসছিল।

ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ আবিষ্কার করলুম ফেষ্কাকে। ও আগুপিছু ঘুরে ঘুরে লোকদের হাতে ইস্তাহার গুঁজে দিচ্ছিল। আমায় দেখে দৌড়ে কাছে এল।

ওহো, তুইও এসে গেছিস! হেট-হেট, আজ ব্যাপারটা যা জমবে না। এই নে, এই গোছাটা ধর্ দেখি। দে তো সবার মধ্যে বিলি করে।’

ডজনখানেক ইস্তাহার আমার হাতে গছিয়ে দিল ও। তার মধ্যে একখানা খুলে দেখি, ‘এস-আর’-রা তাতে যুদ্ধকে জয়যুক্ত করতে আর রণক্ষেত্র ছেড়ে না-পালাতে আবেদন জানাচ্ছে। দেখেই সঙ্গে সঙ্গে ইস্তাহারগুলো ফিরিয়ে দিলুম।

‘না, ফেদকা, এ-ইস্তাহার আমি বিলি করতে পারব না। ইচ্ছে হলে তুই নিজে বিলি কর।’

ফেদ্দুকা ঘেন্নায় থুথু ফেলল।

বলল, ‘তুই একটা গাধা। ওদের সঙ্গে আছিস নাকি রে তুই?’ বলে দাঁড়কাক আর বাস্স্কাকভের দিকে মাথার ভঙ্গি করে দেখাল। ‘বাঃ, তোর বেশ উন্নতি হয়েছে দেখছি। আর আমি কিনা তোর ওপর নির্ভর করেছিলুম!’

তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে কাঁধে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ফেক্কা ভিড়ে মিশে গেল।

‘ওহ, উনি আমার ওপর নির্ভর করেছিলেন,’ বাঁকা হেসে আমি নিজের মনে বললুম, ‘যেন আমি নিজেই মাথা খাটাতে পারি না!’

‘অ্যাঃ, জয়যুক্ত করতি হবে…’ পাশেই কাকে যেন চাপা গলায় বলতে শুনলুম।

ফিরে তাকিয়ে দেখলুম, খালি পায়ে আর খালি মাথায় একজন কৃষক দাঁড়িয়ে।