০২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার মার্কিন আদালতের নির্দেশ মানার আহ্বান ভেনেজুয়েলানদের, এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফেরত বন্দিদের আইনি লড়াই নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সহযোগিতা, একক মার্কিন সামরিক হুমকি এড়াল আবুজা চীনের নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা, তাইওয়ান অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর চাপ রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ, সক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কি, ভূমি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতার ইঙ্গিত সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ চীনা যুদ্ধবিমানের প্রধান ক্রেতা হিসেবে পাকিস্তানের উত্থান, পেন্টাগনের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানে সৌর বিদ্যুতের উত্থান, নারীরা কি কেবল দর্শক

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -১৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 57

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

তখনও বাস্স্কাকভ পাইপ টেনে চলেছে। টানা-টানা সর্-সরু চোখদুটো কচকে মুখখানাকে এমন নিপট ভালোমানুষের মতো করে রেখেছে ও, যেন বলতে চাইছে: ‘আরে বকুক না, যত বকতে চায়। তাতে আমার কী এল-গেল? আমি বাপু কারো সাতে-পাঁচে নেই। দিব্যি পাইপ টেনে চলেছি’।

ওদের তৃতীয় বক্তার অবস্থা ঘটল দ্বিতীয় বক্তার মতোই। আর সে যখন মণ্ড থেকে নেমে গেল বেশির ভাগ শ্রোতাই তখন শিস্ দেয়া, হপহপ আওয়াজ করা আর চ্যাঁচামেচি শুরু করেছে।

‘হেই, সভাপতি-মশাই!’

‘আরে ও মোড়ল, অন্য বক্তার দাও-না বাবা!’

‘আরে, বলশেভিকদের কইতি দাও না গো! ওদের কইতি দিচ্চ না কেন?’

এ-অভিযোগের প্রতিবাদ করে সভাপতি জানালেন, যে বলতে চাইছে তিনি ভাকেই বলতে দিচ্ছেন। কিন্তু বলশেভিকদের কেউ এখনও পর্যন্ত বলতে চায় নি।

কারণ কে জানে, হয়তো ওরা ভয় পেয়েছে। ওদের দিয়ে তো জোর করে তিনি কিছু, বলাতে পারেন না।

‘আপনি যদি না পারেন তো আমরা চেষ্টা করে দেখি!’

‘নোংরা কাজ যা করবার শেষ করে ওরা এখন গা-ঢাকা দিতে চেষ্টা পাচ্চে হে।’

ঘাড় ধরে ওগুলারে গাড়ির কাচে এনে ফ্যালো দেখি! পাঁচজনের সামনে বলুক যা ওদের বলার আচে…

লোকের তর্জনিগজ’ন শুনে ভয় ধরে গেল আমার। দাঁড়কাকের দিকে তাকালুম। দেখলুম তিনি হাসছেন বটে, তবে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

অবশেষে দাঁড়কাক বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, ব্যস্কাকভ। এর পর কিন্তু অবস্থা খারাপ দাঁড়াবে।’

এবার সজোরে গলা ঝাড়ল বাস্স্কাকভ। তারপর পাইপটা পকেটে গজে ক্রুদ্ধ জনতার মাঝখান দিয়ে হেলেদুলে গাড়ির দিকে এগোতে লাগল। লোক পথ ছেড়ে দিল ওকে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -১৭)

০৭:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

তখনও বাস্স্কাকভ পাইপ টেনে চলেছে। টানা-টানা সর্-সরু চোখদুটো কচকে মুখখানাকে এমন নিপট ভালোমানুষের মতো করে রেখেছে ও, যেন বলতে চাইছে: ‘আরে বকুক না, যত বকতে চায়। তাতে আমার কী এল-গেল? আমি বাপু কারো সাতে-পাঁচে নেই। দিব্যি পাইপ টেনে চলেছি’।

ওদের তৃতীয় বক্তার অবস্থা ঘটল দ্বিতীয় বক্তার মতোই। আর সে যখন মণ্ড থেকে নেমে গেল বেশির ভাগ শ্রোতাই তখন শিস্ দেয়া, হপহপ আওয়াজ করা আর চ্যাঁচামেচি শুরু করেছে।

‘হেই, সভাপতি-মশাই!’

‘আরে ও মোড়ল, অন্য বক্তার দাও-না বাবা!’

‘আরে, বলশেভিকদের কইতি দাও না গো! ওদের কইতি দিচ্চ না কেন?’

এ-অভিযোগের প্রতিবাদ করে সভাপতি জানালেন, যে বলতে চাইছে তিনি ভাকেই বলতে দিচ্ছেন। কিন্তু বলশেভিকদের কেউ এখনও পর্যন্ত বলতে চায় নি।

কারণ কে জানে, হয়তো ওরা ভয় পেয়েছে। ওদের দিয়ে তো জোর করে তিনি কিছু, বলাতে পারেন না।

‘আপনি যদি না পারেন তো আমরা চেষ্টা করে দেখি!’

‘নোংরা কাজ যা করবার শেষ করে ওরা এখন গা-ঢাকা দিতে চেষ্টা পাচ্চে হে।’

ঘাড় ধরে ওগুলারে গাড়ির কাচে এনে ফ্যালো দেখি! পাঁচজনের সামনে বলুক যা ওদের বলার আচে…

লোকের তর্জনিগজ’ন শুনে ভয় ধরে গেল আমার। দাঁড়কাকের দিকে তাকালুম। দেখলুম তিনি হাসছেন বটে, তবে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

অবশেষে দাঁড়কাক বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, ব্যস্কাকভ। এর পর কিন্তু অবস্থা খারাপ দাঁড়াবে।’

এবার সজোরে গলা ঝাড়ল বাস্স্কাকভ। তারপর পাইপটা পকেটে গজে ক্রুদ্ধ জনতার মাঝখান দিয়ে হেলেদুলে গাড়ির দিকে এগোতে লাগল। লোক পথ ছেড়ে দিল ওকে।