০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায় বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দল উদ্ভাবন করেছে নমনীয় ও টেকসই রাডার-শোষণকারী আবরণ; ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপেও টিকে থাকে উত্তর আটলান্টিক রাইট তিমির সংখ্যা বাড়ছে—বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত উপ-সাহারার ক্ষেতে উড়ে বেড়ানো ছোট বুননপাখি ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’—এক প্রজাতির কৃষিনাশক বিস্ময়, যার সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি অডিবলে ‘হ্যারি পটার’ নতুন কণ্ঠে—হ্যারি, হারমায়োনি, রনের ভূমিকায় তরুণ ত্রয়ী বিশ্বের স্মার্টতম নগরীগুলোতে বসবাস কেমন — প্রযুক্তিনির্ভর জীবনের নতুন সংজ্ঞা মঞ্চে বুকে টেপ—কেন করছেন লর্ড, জানালেন ‘আল্ট্রাসাউন্ড’ ট্যুরে ম্যাচা চায়ের বিশ্বজোড়া উন্মাদনা—জাপানি ঐতিহ্যের মাঝে নকল পণ্য, সংকট ও সংস্কৃতির বিকৃতি প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের পায়ে খুর দেখা গেল পেনএআইয়ের ‘অ্যাটলাস’ ব্রাউজার: গুগল ক্রোমের আধিপত্যে নতুন চ্যালেঞ্জ

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 57

শ্রী নিখিলনাথ রায়

লবণের মহালের মধ্যে তৎকালে হিজলীর মহাল লাভকর ছিল। এইরূপ শুনা যায় যে, কান্ত বাবু বেনামীতে সেই মহালের ইজারা লইয়াছিলেন। কমল উদ্দীন হিজলীর ইজারদার ছিল; সে কান্তবাবুর বেনামীতেই হিজলীর ইজারা গ্রহণ করে। মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়, তন্মধ্যে কান্ত বাবু, গ্রেহাম সাহেবের মুন্সী সদরুদ্দীন ও কমল উদ্দীন এই তিন জনই প্রধান।। ইহা কান্তবাবুর চরিত্রের একটি ভয়াবহ দোষ বলিতে হইবে।

যে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং যাহাতে একটি ব্রাহ্মণের প্রাণদণ্ড ঘটিয়াছিল, এরূপ ষড়যন্ত্রে যদি কান্তবাবু স্বতঃ বা পরতঃ কোন প্রকারে বাস্তবিক লিপ্ত থাকেন, তাহা হইলে তিনি যে ভয়ানক পাপ করিয়াছেন, ইহা বলিতেই হইবে। শাস্ত্রে লিখিত আছে যে, যে ব্রহ্ম- হত্যা করে, সে যেরূপ মহাপাপী, যে তাহার সংসর্গে থাকে, সেও তদ্রূপ মহাপাপী। সুতরাং কান্তবাবু যে মহাপাতকের অংশভাগী হইয়া- ছিলেন, ইহ। অবশ্য স্বীকার্য্য।

ইচ্ছাপূর্ব্বকই হউক, অথবা স্বীয় প্রভু হেষ্টিংস সাহেবের অনুরোধেই হউক, যদি তিনি মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একজন নায়ক হইয়া থাকেন, তাহা হইলে যে, ধৰ্ম্ম ও দেশের চক্ষে তিনি নিন্দনীয় হইয়াছেন, ইহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। হিজলী মহালের বেনামী লইয়া নানারূপ তর্ক বিতর্ক আছে। কাউন্সিলের সভ্যেরা কমল উদ্দীনকে কান্ত বাবুর বেনামদার মনে করিয়াছিলেন। কিন্তু হেষ্টিংস তাহা স্বীকার করিতেন না।

পরবর্তী ইংরেজ লেখক- গণও এ বিষয়ের বর্ণন করিয়াছেন। মুর্শিদাবাদের ভূতপূর্ব্ব জজ বেভারিজ সাহেব প্রথমতঃ কলিকাতা রিভিউ নামক পত্রিকায় “নিম্ন- বঙ্গে হেষ্টিংস” এই প্রবন্ধে উল্লেখ করেন যে, প্রকাশ্যভাবে কমল উদ্দীন হিজলীর নিমক মহলের ইজারদার ছিল বটে, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে কান্তবাবু ইহার মালিক ছিলেন।। বিলাতের জজ সার জেমস্ ষ্টিফেন সাহেব স্ব-প্রণীত “নন্দকুমারের আখ্যায়িকা’ নামক গ্রন্থে লিখি- য়াছেন যে, বিভারিজ সাহেব হিজলী মহালের বেনামীসম্বন্ধে যাহা কহেন, তাহা যদি বাস্তবিক সত্য হয়, তাহা হইলে যে, ইহা একটি গুরুতর বিষয় তাহাতে সন্দেহ নাই।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায়

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৫৪)

১১:০০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

শ্রী নিখিলনাথ রায়

লবণের মহালের মধ্যে তৎকালে হিজলীর মহাল লাভকর ছিল। এইরূপ শুনা যায় যে, কান্ত বাবু বেনামীতে সেই মহালের ইজারা লইয়াছিলেন। কমল উদ্দীন হিজলীর ইজারদার ছিল; সে কান্তবাবুর বেনামীতেই হিজলীর ইজারা গ্রহণ করে। মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়, তন্মধ্যে কান্ত বাবু, গ্রেহাম সাহেবের মুন্সী সদরুদ্দীন ও কমল উদ্দীন এই তিন জনই প্রধান।। ইহা কান্তবাবুর চরিত্রের একটি ভয়াবহ দোষ বলিতে হইবে।

যে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং যাহাতে একটি ব্রাহ্মণের প্রাণদণ্ড ঘটিয়াছিল, এরূপ ষড়যন্ত্রে যদি কান্তবাবু স্বতঃ বা পরতঃ কোন প্রকারে বাস্তবিক লিপ্ত থাকেন, তাহা হইলে তিনি যে ভয়ানক পাপ করিয়াছেন, ইহা বলিতেই হইবে। শাস্ত্রে লিখিত আছে যে, যে ব্রহ্ম- হত্যা করে, সে যেরূপ মহাপাপী, যে তাহার সংসর্গে থাকে, সেও তদ্রূপ মহাপাপী। সুতরাং কান্তবাবু যে মহাপাতকের অংশভাগী হইয়া- ছিলেন, ইহ। অবশ্য স্বীকার্য্য।

ইচ্ছাপূর্ব্বকই হউক, অথবা স্বীয় প্রভু হেষ্টিংস সাহেবের অনুরোধেই হউক, যদি তিনি মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একজন নায়ক হইয়া থাকেন, তাহা হইলে যে, ধৰ্ম্ম ও দেশের চক্ষে তিনি নিন্দনীয় হইয়াছেন, ইহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। হিজলী মহালের বেনামী লইয়া নানারূপ তর্ক বিতর্ক আছে। কাউন্সিলের সভ্যেরা কমল উদ্দীনকে কান্ত বাবুর বেনামদার মনে করিয়াছিলেন। কিন্তু হেষ্টিংস তাহা স্বীকার করিতেন না।

পরবর্তী ইংরেজ লেখক- গণও এ বিষয়ের বর্ণন করিয়াছেন। মুর্শিদাবাদের ভূতপূর্ব্ব জজ বেভারিজ সাহেব প্রথমতঃ কলিকাতা রিভিউ নামক পত্রিকায় “নিম্ন- বঙ্গে হেষ্টিংস” এই প্রবন্ধে উল্লেখ করেন যে, প্রকাশ্যভাবে কমল উদ্দীন হিজলীর নিমক মহলের ইজারদার ছিল বটে, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে কান্তবাবু ইহার মালিক ছিলেন।। বিলাতের জজ সার জেমস্ ষ্টিফেন সাহেব স্ব-প্রণীত “নন্দকুমারের আখ্যায়িকা’ নামক গ্রন্থে লিখি- য়াছেন যে, বিভারিজ সাহেব হিজলী মহালের বেনামীসম্বন্ধে যাহা কহেন, তাহা যদি বাস্তবিক সত্য হয়, তাহা হইলে যে, ইহা একটি গুরুতর বিষয় তাহাতে সন্দেহ নাই।