০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩২)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • 15

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

কোরেনেভের সঙ্গে আমার ঝগড়ার পরদিন আমি যথারীতি কাউকে শুভেচ্ছা না-জানিয়ে বা কারো দিকে না-তাকিয়ে ক্লাসে ঢুকলুম।
সেদিন প্রথম পিরিয়ডে ছিল ভূগোলের ক্লাস। মাস্টারমশাই অল্পক্ষণ চীনের পশ্চিমাঞ্চল সম্পর্কে কিছু বলে তারপর খবরের কাগজের সেদিনকার টাটকা খবর নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। এই আলোচনা যখন চলছিল তখন আমি লক্ষ্য করলুম ফেক্কা ছোট-ছোট চিরকুট লিখে ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে বিলি করছে। আমার সামনের বেঞ্চিতে বসা একটা ছেলে যখন ওরই মধ্যে একটা চিরকুট পড়ছিল
তখন তার কাঁধের ওপর দিয়ে আমিও লেখাটা পড়তে শুরু করে দেখলুম ওতে আমার নাম আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি সাবধান হয়ে গেলুম।
পিরিয়ড শেষ হবার ঘণ্টা পড়ার পর আমি উঠে চারিদিকে নজর রাখতে-রাখতে দরজার দিকে এগোলুম। কিন্তু দেখলুম ক্লাসের পালোয়ানগোছের একদল ছেলে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে গেছে। দেখতে-দেখতে অর্ধবৃত্তের আকারে গোল হয়ে ওরা আমায় ঘিরে ফেললে। তারপর ওদের মধ্যে থেকে ফেকা বেরিয়ে এসে আমার মুখোমুখি দাঁড়াল।
বললুম, ‘কী চাই?’
ও উদ্ধত ভঙ্গিতে বললে, ‘রিভলবারটা দিয়ে দে। ক্লাস-কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তোকে রিভলবারটা মিউনিসিপ্যালিটির রক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে জমা দিতে হবে। যাই হোক, এখুনি ক্লাস-কমিটির হাতে ওটা দিয়ে দে, আসচে কাল এর জন্যে স্থানীয় রক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে রসিদ পাবি।’
‘কিন্তু, কোন রিভলবারের কথা বলছিস?’ আমি বললুম। আস্তে-আন্তে তখন একপা-একপা করে জানলার দিকে পেছতে শুরু করেছি আর প্রাণপণে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি।

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩২)

০৮:০০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

কোরেনেভের সঙ্গে আমার ঝগড়ার পরদিন আমি যথারীতি কাউকে শুভেচ্ছা না-জানিয়ে বা কারো দিকে না-তাকিয়ে ক্লাসে ঢুকলুম।
সেদিন প্রথম পিরিয়ডে ছিল ভূগোলের ক্লাস। মাস্টারমশাই অল্পক্ষণ চীনের পশ্চিমাঞ্চল সম্পর্কে কিছু বলে তারপর খবরের কাগজের সেদিনকার টাটকা খবর নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। এই আলোচনা যখন চলছিল তখন আমি লক্ষ্য করলুম ফেক্কা ছোট-ছোট চিরকুট লিখে ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে বিলি করছে। আমার সামনের বেঞ্চিতে বসা একটা ছেলে যখন ওরই মধ্যে একটা চিরকুট পড়ছিল
তখন তার কাঁধের ওপর দিয়ে আমিও লেখাটা পড়তে শুরু করে দেখলুম ওতে আমার নাম আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি সাবধান হয়ে গেলুম।
পিরিয়ড শেষ হবার ঘণ্টা পড়ার পর আমি উঠে চারিদিকে নজর রাখতে-রাখতে দরজার দিকে এগোলুম। কিন্তু দেখলুম ক্লাসের পালোয়ানগোছের একদল ছেলে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে গেছে। দেখতে-দেখতে অর্ধবৃত্তের আকারে গোল হয়ে ওরা আমায় ঘিরে ফেললে। তারপর ওদের মধ্যে থেকে ফেকা বেরিয়ে এসে আমার মুখোমুখি দাঁড়াল।
বললুম, ‘কী চাই?’
ও উদ্ধত ভঙ্গিতে বললে, ‘রিভলবারটা দিয়ে দে। ক্লাস-কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তোকে রিভলবারটা মিউনিসিপ্যালিটির রক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে জমা দিতে হবে। যাই হোক, এখুনি ক্লাস-কমিটির হাতে ওটা দিয়ে দে, আসচে কাল এর জন্যে স্থানীয় রক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে রসিদ পাবি।’
‘কিন্তু, কোন রিভলবারের কথা বলছিস?’ আমি বললুম। আস্তে-আন্তে তখন একপা-একপা করে জানলার দিকে পেছতে শুরু করেছি আর প্রাণপণে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি।