০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিপাইনে দুতার্তে শিবিরের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে মার্কোসের শেষ সুযোগ অ্যালবামের ‘বোনাস কনটেন্ট’ই হলো নম্বর ওয়ান মুভি: টেলর সুইফটের নতুন পাওয়ার প্লে সরকারি তহবিল কমানোয় বিপদে ইতালির চলচ্চিত্র শিল্প —-কর্মসংস্থান হারানোর আশঙ্কা ডজার্স বনাম ব্লু জেস: ওয়ার্ল্ড সিরিজ দেখতে এখন অ্যাপ জাগল না করলে চলবে না পান্ডা কূটনীতির পরের অধ্যায়? এখন স্পটলাইটে সোনালি বানর প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৪) ভূতুড়ে কণিকা নিয়ে নতুন আবিষ্কার: যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকদের যুগান্তকারী অন্তর্দৃষ্টি কিশোরদের এআই চ্যাট সীমাবোধে নতুন সুইচ দিল মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানসিক সান্ত্বনার নতুন সহচর নাকি কেবল যান্ত্রিক প্রতিফলন? ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
  • 56

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘বাজে কথা বকিস না! তুই যে একটা মাওজার, সব সময়ে সঙ্গে রাখিস, আমি তা জানি না ভেবেছিস? ওই তো তোর ডান পকেটে ওটা রয়েছে। ভালোয়-ভালোয় নিজে থেকে ওটা দিয়ে দে, নয়তো আমরা রক্ষী-বাহিনীকে ডাকতে বাধ্য হব। দে দেখি, বের কর!’ নেবার জন্যে ও হাত বাড়িয়ে দিল।
‘মাওজার?’
‘হ্যাঁ।’
হঠাৎ বুড়ো আঙুল তুলে কাঁচকলা দেখিয়ে চেচিয়ে উঠলুম আমি, ‘নিবি? এই নে! তোরা কি আমায় দিয়েছিলি ওটা? বল, দিয়েছিলি? তবে? যা, ভাগ। নইলে ঘুসি মেরে মুখ পালটে দেব!’
চট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখলুম জনা চারেক ছেলে পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে, আমার ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে। তখন বাধা ঠেলে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লুম। ফেক্কা আমার কাঁধ চেপে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে এক ঘুসি কষালুম ওকে। তখন অনেকে মিলে আমার কাঁধ চেপে ধরল,
অনেকে জাপটে ধরল আমায়। কে একজন পকেট থেকে আমার হাতটা টেনে বের করে দেবার চেষ্টা করল। তখন আরও জোরে পকেটের মধ্যে পিস্তলটাকে চেপে ধরে রইলুম।
‘ওরা পিস্তলটা কেড়ে নেবে.. মিনিটখানেকের মধ্যে পিস্তলটা কেড়ে নেবে আমার’ তারপর ফাঁদে-পড়া জন্তুর মতো বিকট চিৎকার করে উঠে সেই ফাঁকে ঝট করে মাওজারটা বের করে আনলুম। আর বুড়ো আঙুলটা দিয়ে সেফটি ক্যাচ ঠেলে তুলে ট্রিগার দিলুম টেনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিপাইনে দুতার্তে শিবিরের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে মার্কোসের শেষ সুযোগ

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৩)

০৮:০০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘বাজে কথা বকিস না! তুই যে একটা মাওজার, সব সময়ে সঙ্গে রাখিস, আমি তা জানি না ভেবেছিস? ওই তো তোর ডান পকেটে ওটা রয়েছে। ভালোয়-ভালোয় নিজে থেকে ওটা দিয়ে দে, নয়তো আমরা রক্ষী-বাহিনীকে ডাকতে বাধ্য হব। দে দেখি, বের কর!’ নেবার জন্যে ও হাত বাড়িয়ে দিল।
‘মাওজার?’
‘হ্যাঁ।’
হঠাৎ বুড়ো আঙুল তুলে কাঁচকলা দেখিয়ে চেচিয়ে উঠলুম আমি, ‘নিবি? এই নে! তোরা কি আমায় দিয়েছিলি ওটা? বল, দিয়েছিলি? তবে? যা, ভাগ। নইলে ঘুসি মেরে মুখ পালটে দেব!’
চট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখলুম জনা চারেক ছেলে পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে, আমার ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে। তখন বাধা ঠেলে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লুম। ফেক্কা আমার কাঁধ চেপে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে এক ঘুসি কষালুম ওকে। তখন অনেকে মিলে আমার কাঁধ চেপে ধরল,
অনেকে জাপটে ধরল আমায়। কে একজন পকেট থেকে আমার হাতটা টেনে বের করে দেবার চেষ্টা করল। তখন আরও জোরে পকেটের মধ্যে পিস্তলটাকে চেপে ধরে রইলুম।
‘ওরা পিস্তলটা কেড়ে নেবে.. মিনিটখানেকের মধ্যে পিস্তলটা কেড়ে নেবে আমার’ তারপর ফাঁদে-পড়া জন্তুর মতো বিকট চিৎকার করে উঠে সেই ফাঁকে ঝট করে মাওজারটা বের করে আনলুম। আর বুড়ো আঙুলটা দিয়ে সেফটি ক্যাচ ঠেলে তুলে ট্রিগার দিলুম টেনে।