১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

বেক্সিমকো কারখানা খুলে দেয়াসহ শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করার আহবান

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • 59

সারাক্ষণ ডেস্ক

গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে বেক্সিমকোসহ সকল  বন্ধ কারখানা চালু এবং বকেয়া মজুরি পরিশোধ করার আহবান জানিয়েছে ১০টি গার্মেন্টস সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহবান জানান অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। জোটের কেন্দ্রিয় পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেনসহ যৌথ বিবৃতিটি প্রদান করেন জোটের  সদস্য সচিব ও গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি শামীম ইমাম, সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সভার সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের আহবায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়ে মাসের পর মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রাখা হয়েছে। ঘরভাড়া এবং দোকানের বাকি পরিশোধ করতে না পেরে শ্রমিকরা এক মানবেতর জীবন যাপন করছে। শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে। এতেও পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং মালিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের উপর হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে। আশুলিয়ায় বেক্সিমকো, ময়মনসিংহে রোর ফ্যাশন, এডামস্টাইলসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া মজুরিসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের আন্দোলনে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করার কারণে তাদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ময়মনসিংহের এডামস্টাইল কারখানার শ্রমিকসহ অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক তফাজ্জল হোসেনকে মামলার হুমকি প্রদানসহ শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের  অশোভন আচরণ, বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের কারণে আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি খোরশেদ আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করার ঘটনা শ্রমিকদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বন্ধ কারখানা  চালু এবং বকেয়া মজুরি আদায় করে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যর্থতার দিক তুলে ধরেন।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সময়ে গার্মেন্টস মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের দায়িত্ব ছিল এসব পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে এনে এবং লুটপাটকারী মালিকদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকদের মজুরি নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা। সরকার সে প্রেক্ষিতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং মালিকদের লুটপাটের দায়ে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করে সরকার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।  এ ধরণের তৎপরতার বিরুদ্ধে সকল শ্রমিকদের সোচ্চার থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেক্সিমকো কারখানা খুলে দেয়াসহ শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করার আহবান

০৫:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে বেক্সিমকোসহ সকল  বন্ধ কারখানা চালু এবং বকেয়া মজুরি পরিশোধ করার আহবান জানিয়েছে ১০টি গার্মেন্টস সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহবান জানান অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। জোটের কেন্দ্রিয় পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেনসহ যৌথ বিবৃতিটি প্রদান করেন জোটের  সদস্য সচিব ও গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি শামীম ইমাম, সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সভার সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের আহবায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়ে মাসের পর মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রাখা হয়েছে। ঘরভাড়া এবং দোকানের বাকি পরিশোধ করতে না পেরে শ্রমিকরা এক মানবেতর জীবন যাপন করছে। শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে। এতেও পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং মালিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের উপর হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে। আশুলিয়ায় বেক্সিমকো, ময়মনসিংহে রোর ফ্যাশন, এডামস্টাইলসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া মজুরিসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের আন্দোলনে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করার কারণে তাদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ময়মনসিংহের এডামস্টাইল কারখানার শ্রমিকসহ অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক তফাজ্জল হোসেনকে মামলার হুমকি প্রদানসহ শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের  অশোভন আচরণ, বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের কারণে আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি খোরশেদ আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করার ঘটনা শ্রমিকদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বন্ধ কারখানা  চালু এবং বকেয়া মজুরি আদায় করে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যর্থতার দিক তুলে ধরেন।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সময়ে গার্মেন্টস মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের দায়িত্ব ছিল এসব পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে এনে এবং লুটপাটকারী মালিকদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকদের মজুরি নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা। সরকার সে প্রেক্ষিতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং মালিকদের লুটপাটের দায়ে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করে সরকার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।  এ ধরণের তৎপরতার বিরুদ্ধে সকল শ্রমিকদের সোচ্চার থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।