১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের সঙ্গে আছে অসংগতি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 51

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের সঙ্গে আছে অসংগতি”

এবারের সপ্তম শ্রেণির নতুন একটি বইয়ে ‘লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও একই শ্রেণির একই বিষয়ের পুরোনো বইয়ে ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা হয়েছিল। আবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ে ৩০ লাখ শহীদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির আরেকটি বই থেকে ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের নতুন পাঠ্যবইয়ে এ রকমভাবে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ভুল ও অসংগতিও চিহ্নিত হচ্ছে। কিছু কিছু ভুল সংশোধনও করেছে বিনা মূল্যের বই তৈরি ও বিতরণ সংস্থা এনসিটিবি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যেসব ভুল ধরা পড়ছে, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে পিডিএফ বা অনলাইন ভার্সনে সংশোধন করা হচ্ছে। আর যেসব বই ইতিমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে, সেখানে সংশোধনী পাঠানো হবে। কিন্তু যেসব বই এখনো ছাপানোর প্রক্রিয়ায় আছে, সেগুলো সংশোধন করে ছাপা হচ্ছে।

১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে। এনসিটিবি ৪১ জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করেছে। এতে অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। গল্প-কবিতা, সংকলন, ছবি ও গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে: নাহিদ ইসলাম”

বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এক-এগারো এবং মাইনাস টুর আলাপটা বেশ কিছুদিন আগে সর্বপ্রথম বিএনপি রাজনীতির মাঠে এনেছে। বিএনপি কেন জানি মনে করে, এই সরকার হয়েছে শুধু একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য। এই সরকারকে তারা নির্বাচিত বলে না, এটি তাদের ভুল বক্তব্য। নির্বাচনের মাধ্যমে পটপরিবর্তন হলে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। এখানে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পটপরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার এসেছে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য। যে সরকার বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন করবে। বিচার ও সংস্কার আমাদের সমান প্রায়োরিটি। ছাত্ররা সরকারে এসেছি ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে। যাতে করে সরকার গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাত একটি কথা বলেছে, এই সরকার অবৈধ ও অনির্বাচিত। তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একই টোনে বিএনপিও কথা বলছে। এটি কিন্তু সন্দেহের সৃষ্টি করে। আমি মনে করি না, এটি তারা ওই উদ্দেশ্য থেকেই বলেছে। তবে তাদের কথার টোন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ সরকার মানে এই নয় যে আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিতে হবে।

গত বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ থাকতে না পারলে নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’ ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে ‘বেরিয়ে আসা উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”মানব পাচার সিন্ডিকেট সব সরকারের আমলেই রেহাই পেয়ে যায়”

বৈশ্বিক অভিবাসীর উৎস তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন গড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। উন্নততর কর্মসংস্থান ও জীবিকার খোঁজে বিদেশ পাড়ি দিতে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ সুযোগের ফায়দা নিতে গড়ে উঠেছে সক্রিয় সিন্ডিকেট। দালাল চক্রকে কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হচ্ছে অবৈধ পথে কর্মী পাঠানো, মানব পাচারের মতো অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে এসব অপরাধ ঘটছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। পাচার হওয়া কর্মীরা বিদেশে গিয়ে শ্রমশোষণ, নির্যাতন এমনকি অপহরণ ও হত্যারও শিকার হচ্ছেন। এতে বিপত্তিতে পড়ছে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রফতানি খাত।

মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলো। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে ওমান, বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, মিসর, রোমানিয়া, ব্রুনাই ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও গত বছর জুলাই থেকেই ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। একই সময়ে মালদ্বীপের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়াও নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা গ্রহণের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মানব পাচারের অভিযোগে সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের বাংলাদেশীদের জন্য ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ করারও নজির রয়েছে। ২০১৭ সালে একইভাবে ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় বাহরাইন। বারবার অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারের অভিযোগে এসব দেশে নিয়মিতভাবেই বৈধ ভিসা নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদেরও হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে মানব পাচার, অবৈধভাবে সাগর পাড়ি এবং অভিবাসন গমনেচ্ছুদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের বাজারেও এখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশীরা প্রতি বছরই শরণার্থী হিসেবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপে বাংলাদেশীদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনার সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে দুই হাজার জনের। মোট আশ্রয়প্রার্থীর ৫৮ শতাংশ আবেদন করেছেন ইতালিতে। আর ফ্রান্সে আবেদন করেছেন ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ইতালিতে শরণার্থী হিসেবে ঢোকা অভিবাসীদের উৎস দেশের তালিকায় এরই মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত বছর দেশটিতে আর কোনো বাংলাদেশীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয় ইতালি। বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে ইতালি সরকার গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি নাগরিকদের অনুকূলে সব ওয়ার্ক পারমিটের বৈধতা স্থগিত করেছে, যা যথাযথ যাচাইকরণ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সার্বিয়ার শ্রম ভিসা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য অযৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না।’ তার এই সাক্ষাৎকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।

এ প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে অযৌক্তিক কিছু দেখি না। মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে এসে তা করা উচিত হবে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি। আপনি সরকারের থেকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বক্তব্যে দেবেন। আবার দল গঠন করে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন, তাহলে তো নিরপেক্ষতা হলো না। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে।

বিএনপি যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলেও জানিয়েছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের সঙ্গে আছে অসংগতি

০৮:৩০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের সঙ্গে আছে অসংগতি”

এবারের সপ্তম শ্রেণির নতুন একটি বইয়ে ‘লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও একই শ্রেণির একই বিষয়ের পুরোনো বইয়ে ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা হয়েছিল। আবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ে ৩০ লাখ শহীদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির আরেকটি বই থেকে ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের নতুন পাঠ্যবইয়ে এ রকমভাবে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ভুল ও অসংগতিও চিহ্নিত হচ্ছে। কিছু কিছু ভুল সংশোধনও করেছে বিনা মূল্যের বই তৈরি ও বিতরণ সংস্থা এনসিটিবি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যেসব ভুল ধরা পড়ছে, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে পিডিএফ বা অনলাইন ভার্সনে সংশোধন করা হচ্ছে। আর যেসব বই ইতিমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে, সেখানে সংশোধনী পাঠানো হবে। কিন্তু যেসব বই এখনো ছাপানোর প্রক্রিয়ায় আছে, সেগুলো সংশোধন করে ছাপা হচ্ছে।

১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে। এনসিটিবি ৪১ জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করেছে। এতে অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। গল্প-কবিতা, সংকলন, ছবি ও গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে: নাহিদ ইসলাম”

বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এক-এগারো এবং মাইনাস টুর আলাপটা বেশ কিছুদিন আগে সর্বপ্রথম বিএনপি রাজনীতির মাঠে এনেছে। বিএনপি কেন জানি মনে করে, এই সরকার হয়েছে শুধু একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য। এই সরকারকে তারা নির্বাচিত বলে না, এটি তাদের ভুল বক্তব্য। নির্বাচনের মাধ্যমে পটপরিবর্তন হলে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। এখানে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পটপরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার এসেছে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য। যে সরকার বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন করবে। বিচার ও সংস্কার আমাদের সমান প্রায়োরিটি। ছাত্ররা সরকারে এসেছি ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে। যাতে করে সরকার গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাত একটি কথা বলেছে, এই সরকার অবৈধ ও অনির্বাচিত। তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একই টোনে বিএনপিও কথা বলছে। এটি কিন্তু সন্দেহের সৃষ্টি করে। আমি মনে করি না, এটি তারা ওই উদ্দেশ্য থেকেই বলেছে। তবে তাদের কথার টোন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ সরকার মানে এই নয় যে আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিতে হবে।

গত বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ থাকতে না পারলে নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’ ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে ‘বেরিয়ে আসা উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”মানব পাচার সিন্ডিকেট সব সরকারের আমলেই রেহাই পেয়ে যায়”

বৈশ্বিক অভিবাসীর উৎস তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন গড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। উন্নততর কর্মসংস্থান ও জীবিকার খোঁজে বিদেশ পাড়ি দিতে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ সুযোগের ফায়দা নিতে গড়ে উঠেছে সক্রিয় সিন্ডিকেট। দালাল চক্রকে কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হচ্ছে অবৈধ পথে কর্মী পাঠানো, মানব পাচারের মতো অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে এসব অপরাধ ঘটছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। পাচার হওয়া কর্মীরা বিদেশে গিয়ে শ্রমশোষণ, নির্যাতন এমনকি অপহরণ ও হত্যারও শিকার হচ্ছেন। এতে বিপত্তিতে পড়ছে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রফতানি খাত।

মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলো। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে ওমান, বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, মিসর, রোমানিয়া, ব্রুনাই ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও গত বছর জুলাই থেকেই ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। একই সময়ে মালদ্বীপের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়াও নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা গ্রহণের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মানব পাচারের অভিযোগে সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের বাংলাদেশীদের জন্য ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ করারও নজির রয়েছে। ২০১৭ সালে একইভাবে ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় বাহরাইন। বারবার অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারের অভিযোগে এসব দেশে নিয়মিতভাবেই বৈধ ভিসা নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদেরও হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে মানব পাচার, অবৈধভাবে সাগর পাড়ি এবং অভিবাসন গমনেচ্ছুদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের বাজারেও এখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশীরা প্রতি বছরই শরণার্থী হিসেবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপে বাংলাদেশীদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনার সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে দুই হাজার জনের। মোট আশ্রয়প্রার্থীর ৫৮ শতাংশ আবেদন করেছেন ইতালিতে। আর ফ্রান্সে আবেদন করেছেন ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ইতালিতে শরণার্থী হিসেবে ঢোকা অভিবাসীদের উৎস দেশের তালিকায় এরই মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত বছর দেশটিতে আর কোনো বাংলাদেশীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয় ইতালি। বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে ইতালি সরকার গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি নাগরিকদের অনুকূলে সব ওয়ার্ক পারমিটের বৈধতা স্থগিত করেছে, যা যথাযথ যাচাইকরণ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সার্বিয়ার শ্রম ভিসা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য অযৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না।’ তার এই সাক্ষাৎকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।

এ প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে অযৌক্তিক কিছু দেখি না। মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে এসে তা করা উচিত হবে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি। আপনি সরকারের থেকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বক্তব্যে দেবেন। আবার দল গঠন করে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন, তাহলে তো নিরপেক্ষতা হলো না। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে।

বিএনপি যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলেও জানিয়েছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।