০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি ঢাকায় দিনের আলোয় গুলিতে নিহত একজন স্ট্রিমিং যুগে হলিউড: নাম নয়, কারিগরি ও ধারাবাহিকতা শিক্ষায় সরলীকৃত চীনা: অনমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজন বাস্তব সংস্কার মাইক্রো-ড্রামা: ছোট পর্বে পূর্ণ কাহিনি সমাধিক্ষেত্রের পদচিহ্নে ইতিহাস ও কল্পনার ছায়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উঠছে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ — ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ঢাল নাকি এক মহাকল্পনার সাম্রাজ্য? তানজিন তিশা: আলো, প্রতিভা আর আত্মনির্ভরতার দীপ্ত গল্প জাপানের ট্রেডিং হাউসগুলো ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলছে অ্যানথ্রপিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসা: ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্বেগ

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 26

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

দেখলুম, দাঁড়কাক বক্তৃতা শেষ করার মুখে একটা হাত তুলে গলা চড়িয়েছেন।

আমি চে’চিয়ে ডাকলুম:

“সেমিওন ইভানোভিচ! এই যে, সেমিওন ইভানোভিচ!’

কাছেই কে একজন আমার দিকে ‘শৃশ্’ করে উঠল। পেছনে খোঁচা লাগাল একটা হাত। কিন্তু আমি কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ না-করে আরও জোরে পাগলের মতো চেচিয়ে উঠলুম:

‘সেমিওন ইভানোভিচ!’

এবার দেখলুম অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়কাক হাত দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তারপর দ্রুত কথা শেষ করে তিনি সিড়ি দিয়ে নামতে লাগলেন।

জনতার মধ্যে থেকে একজন লোক চটে উঠে হাতটা ধরে আমায় একপাশে টেনে আনলেন।

কিন্তু গালিগালাজ কিংবা ধস্তাধস্তির দিকে আমার এতটুকু নজর ছিল না। আমি তখন আনন্দে পাগলের মতো হাসছি।

যে-মজুরটি আমার হাত ধরেছিলেন তিনি আমায় এক ঝাঁকানি দিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘এ্যাই, মাস্তান, তোর মতলবখানা কী?’

‘আমি তো মাস্তান নই,’ পরম সুখে একগাল হেসে আর ঠান্ডায় জমে-যাওয়া পায়ে তিড়িং-তিড়িং নাচতে-নাচতে জবাব দিলুম। ‘আমি দাঁড়কাককে পেয়ে গেছি। সেমিওন ইভানোভিচ…’

আমার মুখে এমন একটা কিছু ছিল যা দেখে লোকটিও না-হেসে পারলেন না।

‘দাঁড়কাক কে আবার?’ আগের চেয়ে নরম গলায় তিনি বললেন।

‘না-না, দাঁড়কাক নয়। সেমিওন ইভানোভিচ। ওই তো তিনি আসছেন…’

ভিড় ঠেলে দাঁড়কাক এসেই আমার কাঁধ চেপে ধরলেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৭)

০৮:০০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

দেখলুম, দাঁড়কাক বক্তৃতা শেষ করার মুখে একটা হাত তুলে গলা চড়িয়েছেন।

আমি চে’চিয়ে ডাকলুম:

“সেমিওন ইভানোভিচ! এই যে, সেমিওন ইভানোভিচ!’

কাছেই কে একজন আমার দিকে ‘শৃশ্’ করে উঠল। পেছনে খোঁচা লাগাল একটা হাত। কিন্তু আমি কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ না-করে আরও জোরে পাগলের মতো চেচিয়ে উঠলুম:

‘সেমিওন ইভানোভিচ!’

এবার দেখলুম অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়কাক হাত দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তারপর দ্রুত কথা শেষ করে তিনি সিড়ি দিয়ে নামতে লাগলেন।

জনতার মধ্যে থেকে একজন লোক চটে উঠে হাতটা ধরে আমায় একপাশে টেনে আনলেন।

কিন্তু গালিগালাজ কিংবা ধস্তাধস্তির দিকে আমার এতটুকু নজর ছিল না। আমি তখন আনন্দে পাগলের মতো হাসছি।

যে-মজুরটি আমার হাত ধরেছিলেন তিনি আমায় এক ঝাঁকানি দিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘এ্যাই, মাস্তান, তোর মতলবখানা কী?’

‘আমি তো মাস্তান নই,’ পরম সুখে একগাল হেসে আর ঠান্ডায় জমে-যাওয়া পায়ে তিড়িং-তিড়িং নাচতে-নাচতে জবাব দিলুম। ‘আমি দাঁড়কাককে পেয়ে গেছি। সেমিওন ইভানোভিচ…’

আমার মুখে এমন একটা কিছু ছিল যা দেখে লোকটিও না-হেসে পারলেন না।

‘দাঁড়কাক কে আবার?’ আগের চেয়ে নরম গলায় তিনি বললেন।

‘না-না, দাঁড়কাক নয়। সেমিওন ইভানোভিচ। ওই তো তিনি আসছেন…’

ভিড় ঠেলে দাঁড়কাক এসেই আমার কাঁধ চেপে ধরলেন।