সত্যেন্দ্রকুমার বসু
হিউএনচাঙের যাওয়া যখন স্থিরই হল, তখন রাজা কু-ওয়েন-তাই তাঁর স্বভাবসিদ্ধ প্রচণ্ডভাবে যাত্রার আয়োজন ক’রে দিলেন। তিএন-শান্ ও পামির অতিক্রম করবার জন্যে যা যা দরকার, ঐ এক মাসের মধ্যে সমস্ত তৈরি হল।
পোশাক-পরিচ্ছদ সোনা-রুপা সাটিন-রেশম ইত্যাদি জোগাড় হল। তিরিশটা ঘোড়া আর চব্বিশ জন চাকর নিযুক্ত হল। আর পশ্চিম তুরুস্কদের সম্রাটের সভায় ধর্মগুরুকে নিয়ে যাবার জন্যে একজন কর্মচারীও নিযুক্ত হল।
এইটাই হল তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান সাহায্য। কারণ তুরুস্করাই এ সময়ে এ দেশে সবচেয়ে প্রবল ছিল। দুইখানা যান, পাঁচ শত প্রন্থ সাটিনবস্ত্রে পূর্ণ করে তিনি তুরুস্ক সম্রাটকে এই সঙ্গে উপঢৌকন পাঠালেন, আর তার সঙ্গে একখানা চিঠি দিলেন, ‘ধর্মগুরু আপনার নফরের কনিষ্ঠ ভ্রাতা।
ইনি বৌদ্ধধর্মের মূল-গ্রন্থগুলির অন্বেষণে ব্রাহ্মণদের দেশে যাচ্ছেন। আমার নিবেদন যে, এই প্রণামপত্রের লেখক নফরকে সম্রাট যে দয়ার চোখে দেখেন ধর্ম-গুরুকে সেই দয়ার চোখে দেখুন।’
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-২৪)