০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৬৮)

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 18

শ্রী নিখিলনাথ রায়

সেইরূপ ঘটনার জন্য, অনেক সময়ে হতভাগ্য প্রজাগণ অশেষ কষ্টভোগ করিয়াছে। হেষ্টিংসের উৎকোচের বিবরণ দুই জনে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতেন। বাঙ্গলা দেশের প্রায় সমস্ত বিবরণ কান্ত বাবু বাঙ্গলাতে লিখিতেন এবং উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের সমস্ত বিবরণ ফার্সী মুন্সী লিখিয়া রাখিতেন।

কোম্পানীর আয়-ব্যয়াধ্যক্ষ (Accountant General) লার্কিন্স সাহেব পরিশেষে তাহা সংশোধন করিয়া রাখিতেন। হেষ্টিংস অনেক লোককে উৎকোচ গ্রহণে নিযুক্ত করিয়ছিলেন; কিন্তু তাঁহার এমনই কৌশল ছিল যে, কেহ কাহারও বিষয় বলিতে পারিত না। বাঙ্গলা দেশের অনেক বন্দোবস্ত কান্ত বাবুর জ্ঞাতসারে হইয়াছিল, সে সমস্ত বিষয় হেষ্টিংসের অন্যান্য অনুচরেরা অজ্ঞাত ছিলেন।

হেষ্টিংসের বাঙ্গলাসংক্রান্ত প্রায় সমস্ত বিষয়ের হিসাব কান্তবাবুকে রাখিতে হইত। সুতরাং বাঙ্গলার উৎকোচগ্রহণ সম্বন্ধে, অনেক বিষয় তিনি জ্ঞাত ছিলেন এবং তাহা হইতে ৩ হার নিজেরও অনেক লাভ হইত।

বঙ্গের নবাব মোবারক উদ্দৌলার অভিভাবক ও দেওয়ান নিযুক্ত করিবার সময়, মণিবেগমের এবং রাজা গুরুদাসের নিকট হইতে হেষ্টিংস যে সমস্ত উৎকোচগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই সমস্ত ব্যাপারে কান্তবাবু ও তদীয় ভ্রাতা নৃসিংহ বাবু বিশেষরূপে জড়িত ছিলেন। এই উৎকোচ লইয়া সর্ব্বাপেক্ষা হেষ্টিংসকে অধিক লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হয়।

মহারাজ নন্দকুমার ১৭৭৫ খৃঃ অব্দের ৮ই মার্চ তারিখে কলিকাতা কাউন্সিলের নিকট হেষ্টিংস সাহেবের নামে যে অভিযোগ উপস্থিত করেন, তাহাতে তিনি স্পষ্ট করিয়া উল্লেখ করিয়াছেন যে, নৃসিংহের……

১৪ জুলাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৬৮)

১১:০০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শ্রী নিখিলনাথ রায়

সেইরূপ ঘটনার জন্য, অনেক সময়ে হতভাগ্য প্রজাগণ অশেষ কষ্টভোগ করিয়াছে। হেষ্টিংসের উৎকোচের বিবরণ দুই জনে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতেন। বাঙ্গলা দেশের প্রায় সমস্ত বিবরণ কান্ত বাবু বাঙ্গলাতে লিখিতেন এবং উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের সমস্ত বিবরণ ফার্সী মুন্সী লিখিয়া রাখিতেন।

কোম্পানীর আয়-ব্যয়াধ্যক্ষ (Accountant General) লার্কিন্স সাহেব পরিশেষে তাহা সংশোধন করিয়া রাখিতেন। হেষ্টিংস অনেক লোককে উৎকোচ গ্রহণে নিযুক্ত করিয়ছিলেন; কিন্তু তাঁহার এমনই কৌশল ছিল যে, কেহ কাহারও বিষয় বলিতে পারিত না। বাঙ্গলা দেশের অনেক বন্দোবস্ত কান্ত বাবুর জ্ঞাতসারে হইয়াছিল, সে সমস্ত বিষয় হেষ্টিংসের অন্যান্য অনুচরেরা অজ্ঞাত ছিলেন।

হেষ্টিংসের বাঙ্গলাসংক্রান্ত প্রায় সমস্ত বিষয়ের হিসাব কান্তবাবুকে রাখিতে হইত। সুতরাং বাঙ্গলার উৎকোচগ্রহণ সম্বন্ধে, অনেক বিষয় তিনি জ্ঞাত ছিলেন এবং তাহা হইতে ৩ হার নিজেরও অনেক লাভ হইত।

বঙ্গের নবাব মোবারক উদ্দৌলার অভিভাবক ও দেওয়ান নিযুক্ত করিবার সময়, মণিবেগমের এবং রাজা গুরুদাসের নিকট হইতে হেষ্টিংস যে সমস্ত উৎকোচগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই সমস্ত ব্যাপারে কান্তবাবু ও তদীয় ভ্রাতা নৃসিংহ বাবু বিশেষরূপে জড়িত ছিলেন। এই উৎকোচ লইয়া সর্ব্বাপেক্ষা হেষ্টিংসকে অধিক লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হয়।

মহারাজ নন্দকুমার ১৭৭৫ খৃঃ অব্দের ৮ই মার্চ তারিখে কলিকাতা কাউন্সিলের নিকট হেষ্টিংস সাহেবের নামে যে অভিযোগ উপস্থিত করেন, তাহাতে তিনি স্পষ্ট করিয়া উল্লেখ করিয়াছেন যে, নৃসিংহের……