সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- সোনালী ব্যাংকের কৃষিভিত্তিক প্রকল্প অর্থায়ন বিভাগ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণ
- কোম্পানিটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে
- ১ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে এবং ৮ কোটি টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করা হয়
- এগ্রোর রাজস্ব ৩৯% বৃদ্ধি পেয়ে ৯৬.৫৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, একই সাথে নিট মুনাফা ১৭১% বৃদ্ধি পেয়ে ৭.২৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে
সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মূল্য প্রস্তাব জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিলামটি মানি লোন কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৩ এর বিধান অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ময়মনসিংহে অবস্থিত ২২২.২৫ শতক জমি, ওরাইজা এগ্রোর কারখানা ভবন এবং এর অভ্যন্তরে থাকা যন্ত্রপাতি নিলামে তোলা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত সম্পত্তি কোম্পানির মালিকানাধীন।
কোম্পানির প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, ওরাইজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৫ সালে সোনালী ব্যাংকের কৃষিভিত্তিক প্রকল্প অর্থায়ন বিভাগ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণ এবং ২০১৭ সালে ৯.৫০ কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণ গ্রহণ করে।
সোনালী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকতা জানান, বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোম্পানিটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ, ব্যাংকটি এখন ব্যাংকিং নিয়মাবলী অনুযায়ী কোম্পানির সম্পদ নিলামের মাধ্যমে ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ওরাইজা এগ্রো একটি ফিড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, যা প্রাণী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে বিশেষজ্ঞ।
২০২১ সালে, কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার ইস্যু করে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, এই অর্থের মধ্যে ১ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে এবং ৮ কোটি টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করা হয়।
ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করে।
গতকাল কোম্পানির শেয়ার মূল্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৪.৮০ টাকায় বন্ধ হয়, যা আগের সেশনের তুলনায় ৪.২৩% বেশি।
আর্থিক কার্যক্রম
২০২৩-২৪ অর্থবছরে, ওরাইজা এগ্রোর রাজস্ব ৩৯% বৃদ্ধি পেয়ে ৯৬.৫৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, একই সাথে নিট মুনাফা ১৭১% বৃদ্ধি পেয়ে ৭.২৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
গত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১.০৫ টাকা। এই মুনাফা বৃদ্ধির ভিত্তিতে, এটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
তবে, এই লভ্যাংশ এখনও বিতরণ করা হয়নি।
এর প্রতিক্রিয়ায়, ডিএসই বিলম্বের বিষয়ে একটি প্রশ্ন জারি করেছে, তবে কোম্পানিটি এখনও কোনো উত্তর প্রদান করেনি।
এর আগে, নভেম্বর ২০২৪ সালে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওরাইজা এগ্রোকে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের অনুমোদিত লভ্যাংশ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও সতর্ক করে যে, যদি কোম্পানিটি এটি পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে প্রতিটি পরিচালককে ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এই সতর্কতার পর, ডিএসই অনুযায়ী, ওরাইজা এগ্রো ১৫ ডিসেম্বর তার মুলতুবি লভ্যাংশ বিতরণ করে।